somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আয়ু জানাবে জিন

০৫ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগেও কেউ হলফ করে কারো আয়ু বলে দিতে পারে না। কারণ মৃত্যুর প্রাথমিক রহস্য এখনো চিকিৎসকদের ধারণার বাইরে। আয়ু বিষয়টি পুরোটাই ভবিতব্যের ওপর ছেড়ে না দিয়ে কিছু মার্কিন গবেষক এই নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। তাদের সাম্প্রতিক খোঁজ ওঠে এলো 'সায়েন্স' বিজ্ঞান পত্রিকায়।

আমেরিকার বোস্টন ইউনিভার্সিটির কিছু গবেষক জানাচ্ছেন, নাড়ির নিদান বলে না দিতে পারলেও কোনো ব্যক্তি পৃথিবীর আলো-হাওয়াকে একশ বছর দেখে যেতে পারবে কিনা, তা মোটামুটি বলে দেওয়া যায়। সে কথা ওই মানুষটির জিনই বলে দেয় বলে তাদের দাবি। আয়ু নির্ধারণকারী ওই জিনের কার্যকারিতা নিয়েই বোস্টন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণা চালিয়েছেন। তারা খুঁজে পেয়েছেন ঠিক কিভাবে কাজ করে যায় ওই জিনটি। ১৮৯০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া ১ হাজার ৫৫ ব্যক্তির জিন বিশ্লেষণ করেন এই সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে পেঁৗছেছেন। তারা ওই সময়ের জন্মানোর সঙ্গে পরবর্তী সময়ে জন্ম নেওয়া ১ হাজার ২৬৭ জনের জিনের তুলনা করেছেন। দেখা গেছে, শতায়ুদের সবার জিনের একই মিল পাওয়া গেছে। সর্বক্ষেত্রেই আয়ু জিনের সমরূপ দেখতে পাওয়া গেছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, বয়সজনিত রোগের জন্য যে জিন দায়ী তার কার্যকারিতা আদপে দমিয়ে রাখে ওই আয়ু নির্ধারক জিন। গবেষক দলের মুখ্য বিজ্ঞানী ড. টমাস পার্ল বলছেন, 'এখন যদি কেউ বলেন, বয়স হলেই রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধে শরীরে। তা নিয়ে কে বাঁচতে চাইবে। আমি বলব, এটা সত্যি নয়। শতায়ুদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আয়ু নির্ধারক জিন কার্যকর থাকলে রোগ-ব্যাধির আশঙ্কা কমে যায়।' ১৯৯৫ সালে শুরু এই গবেষণায় প্রথমবার শুধু ককেশীয়দের ওপর চালানো হয়েছে। এরপর মঙ্গোলয়েডদের ওপর বিশেষত জাপানিদের ওপর চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ জাপানেও শতবর্ষী লোকের সংখ্যা বেশি। মজার ব্যাপার হলেও সত্যি, আমেরিকায় শতায়ু মানুষের অধিকাংশই মহিলা। এই হার ৮৫ শতাংশ। বাকিরা পুরুষ।

ধূমপান, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান আর বেশি খাওয়ার পরেও যদি কেউ শতায়ুর কামনা করেন তা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। গবেষকদের দাবি, বেশিদিন বাঁচার ক্ষেত্রে জীবনযাপন পদ্ধতি একটু-আধটু নিয়ন্ত্রণ করাটা জরুরি। দেখা গেছে, শতায়ুরা বেশিরভাগই নেশাগ্রস্ত নন। তারা প্রথম জীবনে নিয়মিত শরীরচর্চা করেছেন বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে এত কিছু করার পরেই গবেষকরা কিন্তু কি পদ্ধতিতে আয়ু পরিমাপ করা যেতে পারে তার হদিস দেননি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:০৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×