somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ চুয়াডাংগায় স্থানীয় শহীদ দিবস ---

০৫ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭১ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গার অদুরে বর্তমান মুজিব নগর থানাধীন ধান ক্ষেতে পাক বাহিনীর সাথে সাহসী সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করে স্থানীয় ০৮ জন বীর সন্তান শহীদ হন; আহত হন প্রায় ১১ জন। পৃথিবীতে যুগে যুগে সম্মুখ যুদ্ধের ইতিহাস অত্যান্ত সম্মানজনক এবং বিরল বীরত্বের বহি:প্রকাশ ।অথচ আজকের অবহেলিত জনপদ চুয়াডাংগার কতিপয় বীর সন্তান সেই বিরল কুতিত্বের কাজটি জীবনের বিনিময়ে করে দেখিয়েছিল।মেহেরপুরের অনর্তগত বর্তমান জগন্নাথপুর গ্রামে ১৯৭১ সালের এই দিনে মোট ৮ জন বীর শহীদ হন , তারা হলেন-চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর গ্রামের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে রবিউল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা শহরের মাঝেরপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম, চুয়াডাঙ্গা শহরের শেখপাড়ার মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে আলাউল ইসলাম খোকন, আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের মৃত রহিম মণ্ডলের ছেলে কিয়ামুদ্দিন, আলমডাঙ্গার গোকুলখালী গ্রামের মৃত ইয়াকুব হোসেনের ছেলে হাসান জামান, আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে রওশন আলম, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আফাজ উদ্দিন ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কাষ্টদহ গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে খালেদ সাইফুদ্দিন আহমেদ তারিক। ৮ শহীদের মধ্যে একমাত্র তারিককে দেয়া হয় বীরবিক্রম খেতাব। এ ৮ শহীদের লাশ পাকহানাদার বাহিনী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর মাঠে এনে দু’টি গর্তে মাটিচাপা দেয়।তারপর কালের অতলে অনেকটা চাপা--ই পড়ে গিয়েছিল আমাদের এই বীরত্বগাথাঁ। ।অবশেষে ৯০-এর দশকে চুয়াডাংগার কৃতি সন্তান , শক্তিমান সাহসী সাংবাদিক রাজিব আহমেদ "সম্মুখ সমরে" নামে একটি গ্রন্হ প্রকাশ করেন --যা ঐ যুদ্ধের একটি প্রামাণ্য দলিল হিসাবে কাজ করে ।বইটি প্রকাশের সাথে সাথে সর্ব মহলে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে । যার প্রেক্ষিতে ওই গণকবরের ওপরই মেহেরপুর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ১৯৯৮ সালে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এক একর জমির ওপর নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি, ৯টায় আলোচনাসভা, ১০টায় দোয়া মাহফিল ও দুপুরে কাঙালিভোজের আয়োজন করেছে ।
--------------
বৃহত্তর কুষ্টিয়ার চুয়াডাংগা জনপদ বরাবর-ই বীর প্রসৃতী। কিন্তু অবহেলা আর প্রচার-প্রসারের অভাবে এই অঞ্চল আজো দৈন্যতার প্রতীক বৈ কিছুই নহে । অথচ এই অঞ্চল থেকেই সরকার একটা বড় অংকের রাজস্ব আয় করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিধৃত ভুমি বলেই চুয়াডাংগা সর্ব স্বীকৃত। তোফায়েল আহমেদ, মো:নাসিম , কর্ণেল অলি আহমেদ এমনকি বর্তমান দেশনেত্রী শেখ হাসিনা সহ বহু বড় বড় নেতা চুয়াডাংগাতে এসে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্টানে মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাংগার অবদান এবং এই জনপদের মানুষের বীরত্বগাথা--আন্তরিকতা নানান রং দিয়ে বর্ণনা দিয়ে গেছেন। তাদের সেই প্রশংসা বাণীতে চুয়াডাংগা বাসীর অন্তর ভিজেছে বহুবার --কিন্তু ঐ পর্যন্তই । বর্তমানে , চুয়াডাংগার দুই আসনেই সরকারী দলের সাংসদ তারপরেও ---জেলাবাসী পাইনি এতটুকু নাগরিক সুবিধা। বিদ্যুত-এর জন্য এলাকাবাসীকে রাস্তায় নামতে হয়েছে , এলাকার রাস্তাঘাটর-ও পড়ে আসে সেই মধ্যযুগে।।
------
দেশ কে ভালোবাসার পূবশর্ত নিজের জনপদ-কে সত্যিকারের ভালোবাসা ।। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নেতারা যখন নিজের অঞ্চল সমূহ সোনা দিয়ে মুড়ে দিতে ব্যস্ত সেখানে আমাদের চুয়াডাংগার জন নেতা গণ বিশেষ করে দুই সাংসদ যাদের আমরা অনেক আশাকরে ভোট দিয়েছিলাম তারা কী নিয়ে এত ব্যস্ত তা আমার মত সাধারণ মানুষের বোধ গম্য হযনা । দলের চেয়ে দেশ বড় তাই আসুন দেশের জন্য তথা নিজের জনপদের উন্নয়নে স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে কাজ করি না হলে বোকা সরল জনগণ ছেড়ে দিলে-ও নিজের জনপদের মাটিটুকুর অভিশাপ থেকে বাচাঁ কঠিন হয়ে যাবে।সকল অমনিশা কেটে চুয়াডাঙ্গায় হেসে উঠুক ভোরের সূর্য্য।।
-------
জয়তু চুয়াডাংগা ; বাংলাদেশ সুখী হোক ।।।।।।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×