ইসলামের জন্য দাওয়াত দিতে গিয়ে যুগে যুগে কত নবী রাসূল আর সাহাবীরা কত রকম কস্ট সহ্য করেছেন, তার ইয়াত্তা নাই! আধুনিক যুগে এই দাওয়াতের দায়িত্ত্বটা নিয়েছে আমাদের তাবলীগী ভাইয়েরা।
তাদেরই দাওয়াতপর্বের আধুনিক কাহিনী শুনুন-
১.
তাবলীগী ভাই: “ভায়া, শুনলাম আপনি নাকি নাস্তিক?”
নাস্তিক: “হ, ভাই,। আর আপনি নিশ্চয় আস্তিক।”
তাবলীগী ভাই: “শুনেন ভাই, আমি জানি আপনি হয়ত কাউকে গ্রহণ করতে পারেন না, কারণ সবাই আপনাকে ঘৃণা করে আপনি নাস্তিক বলে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, অধিকাংশ আস্তিক এর তুলনায় আপনি সৃষ্টিকর্তার সেবা আরো বেশি করছেন?”
নাস্তিক: “তাই নাকি, ভাই? কেমনে বলেন তো?”
তাবলীগী ভাই: “কারণ আপনি নাস্তিকতার পক্ষে যুক্তি বের করার জন্য বিভিন্ন ধর্মবই পড়েন, যার মধ্যে কোরান, বাইবেল এসব নিশ্চয়ই আছে। কাজেই আপনি নিজের অজান্তেই বিভিন্ন লাইনে পড়ার সময় বার বার আল্লাহর/গড-এর নাম নিচ্ছেন। কাজেই আপনি নিজের অজান্তেই সৃষ্টিকর্তার সেবা করছেন।”
নাস্তিক: “তাহলে, ভাই, পর্নোস্টাররা সারাক্ষণ যে ওহ গড ওহ গড মাই গড ইত্যাদি বলে চিল্লাচিল্লি করে, ওরা নিশ্চয়ই আরো গভীরভাবে উপরওয়ালার এর সাধনা করে, তাই না?”
২.
তাবলীগী ভাই: আমরা দুনিয়ার রাস্তায় কত সময় ব্যয় করি, চলেন ভাই আল্লার রাস্তায় কিছু সময় লাগাইয়া আসি!
অচেনা যুবক: ভাই, আমিতো নতুন বিয়া করছি।
তাবলীগী ভাই: ভাই সাহাবীরাও নতুন বউ ঘরে রাইখা ইসলামের জন্য জান কোরবান করছেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে সামিল হইছেন। এমনও হইছে, বাসর রাতেও জিহাদের ডাক আসছে, তবু বাসর রাত ফালাইয়া তারা আল্লাহর রাস্তায় বের হইয়া গেছে!
অচেনা যুবক: সেই যুগ আর এই যুগ তো এক না।
তাবলীগী ভাই: আগে যেই আল্লাহ ছিল এখনওতো ভাই একই আল্লা। আল্লাহই ভাল করবেন।
অচেনা যুবক: জ্বী আল্লাহতো ভালই করবো। আমি যদি তবলীগে যাই, আর পাবলিক যদি আমার বউয়ের সাথে তবলীগ করা শুরু করে- সেইটাওতো আল্লায় ভালই করব নাকি বলেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭