দিনটি ছিল ২৫ মার্চ। ১৯৭১ সাল। দিন গড়িয়ে রাত আসল। ঘন কালো অন্ধকার। খেটে খাওয়া মানুষেরা দু-মুঠো খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।
আচমকা ধ্রুম্ ধ্রুম্ শব্দ। পাকিস্তানি হানাদার সশস্ত্র বাহিনী ঝাপিয়ে পড়েছে এদেশের নিরীহ জনতার উপর।
বাঙ্গালীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলল। দীঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে হটিয়ে দিল বর্বর পাকিস্তানি হানাদারদের। তারা বাঙ্গালীদের কাছে আত্নসমর্পণ করল ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। এর মধ্যে চলে অসংখ্য টগবগে যুবক, বৃদ্ধ, শিশুর প্রাণ, অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রম। অনেক প্রাণ আর ইজ্জতের বিনিময়ে এ জাতি মুক্তি পেল পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষন, নিপীড়ন, অত্যাচার থেকে।
মূলত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তির এ যাত্রা শুরু হয়েছিল আরও অনেক আগে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফা, এরপর ১১ দফা সর্বোপরি ১৯৭১ সালের ৭-ই মার্চে তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়াদী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর ভাষন এক এক করে জাতিকে নিয়ে গেছে মুক্তির সিংহ দরজায়। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১।
এই ৫২ থেকে ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কোন একটি জায়গায়ও কি আমরা "ধর্মনিরপেক্ষতা" এর কথা বলেছি । একটিবারও কি শব্দটি উচ্চারন করছি। আমরা চেয়েছি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের শোষন থেকে মুক্তি।
কৃষক, শ্রমিক, তাতী, কামার, কুমার সহ খেটে খাওয় মানুষ কি সেদিন ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিস্ঠার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। তারা তো "ধর্মনিরপেক্ষতা" বিষয়টি সম্পর্কে জানতই না। এর আগে কখনই শব্দটি তারা শোনে নাই।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। তিনি কি কখনো বলেছেন _ ভাইয়েরা আমার! ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তোমরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো। বরং তিনি এদেশের অধিকার বহ্ঞ্চিত ও শোষিত মানুষের অধিকার আদয়ের জন্য, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ডাক দিয়েছিলেন।
তাহলে, কেন যুদ্ধের পড়ে এদেশের সংবিধানের মূলনীতি "ধর্মনিরপেক্ষতা" করার জন্য এত নগ্নতা?
কারো কাছে মূলনীতি "ধর্মনিরপেক্ষতা" হওয়ার পক্ষে কিছু জানা থাকলে যদি দয়া করে জানান, উপকৃত হব।
আলোচিত ব্লগ
জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?
জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়
১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷
চলুন গল্পটা শুনে আসি৷
বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া
একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো
রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন