somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অ আ ই ঈ থেকে শুরু করে ডিগ্রী/অনার্স/মাষ্টার্স/বি.বি.এ/এম.বি.এ/ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/শিক্ষক / সাহিত্যিক ইত্যাদি তথা আরো কতই না পেশাজীবি মানুষ তৈরী হয় আমাদের সমাজে।সবার ই শিক্ষাব্যবস্থা শুরু বর্ণমালা থেকে তারপর পাঠশালা, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে থাকে। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবেছি যে আমাদের এই তথাকথিত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের কি শেখাচ্ছে?আমরা অধিকাংশ মানুষ কি জানার জন্য শিখছি ? আমার উত্তর “না”। প্রথমত আমরা লেখাপড়া শিখি একটি ভাল চাকুরীর জন্য অথবা জীবনটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য। আমাদের দেশে যে পরিমান শিক্ষার্থী রয়েছে ঐ পরিমান ভাল স্কুল নেই, নেই পর্যাপ্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। আর গতানুগতিক এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শুধু মুখস্ত বিদ্যায় তোতা পাখির মত বুলি শেখানো হয়। যার অধিকাংশ ই বাস্তব ক্ষেত্রে কখনো ই কাজে লাগে না। এসব কারনে ৫ম শ্রেণী পাশ করার আগেই অনেকের লেখাপড়ার ইতি ঘটে যারা টিকে থাকে তারা ও ঝরতে থাকে এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং সর্বশেষ ডিগ্রি অথবা অনার্স পর্যায়ে। যাদের লেখাপড়া মাঝ পথেই থেমে যায় তাদের জন্য কারোই কোন মাথা ব্যথা নেই, নেই তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার কোন উদ্যোগ। তারা যে এদেশের জঞ্জালে পরিণত হচ্ছে এটাও কারো ভাবার অবকাশ নেই।আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা টাই একরকম বিজাতীয় ধরনের একঘেয়ে। মাষ্টার্স পর্যন্ত যেতে যেতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়ার প্রতি একটা বিরুপ ভাব চলে আসে। অথচ “প্রমথ চৌধুরী” তার বই পড়া প্রবন্ধে বলেছিলেন লেখাপড়া হতে হবে আনন্দের সহিত, যেন শিক্ষার্থীর হৃদয় পর্যন্ত সেটা পৌছতে পারে। কিন্তু এই শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীর হৃদয়ের দরজার সন্ধান আজো পেয়েছে কি না তা প্রশ্নাতীত। তার পর ও অনেক শিক্ষার্থী স্কুল কলেজের আঙিনা পেরিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু এই পর্যায়ে ও এই ব্যবস্থা নাকাল। শিক্ষক রাজনীতি, ছাত্র রাজনীতি ও বিভিন্ন শিক্ষাবহির্ভূত কার্যক্রমের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার চরম আকার বিদ্যমান হচ্ছে। আর কয়েকশত শাখা বিস্তারকারী এবং লাখ শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংশকারী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়”। যেখানে পড়ালেখা কোন সিস্টেমের মধ্যে পড়ে না। চার বছরের অনার্স, সাত বছরে ও উনারা শেষ করতে পারে না। অথচ প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা (একই সময়ের) ততদিনে মাস্টার্স শেষ করে ফেলে। পরিশেষে আমি বলতে চাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়ন দরকার। * প্রথমত কারীগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে যে সব শিক্ষার্থীর লেখাপড়া মাঝ পথে শেষ হয়ে যায় তাদের কে সম্পদে পরিণত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। * দ্বিতীয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যে শিক্ষাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরী করতে হবে। * তৃতীয়ত শিক্ষক রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতির মত শিক্ষাবহির্ভুত কাজ শিক্ষাঙ্গনে প্রয়োগ না হয় সেই দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। চতুর্থত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক, সময়োপযোগী এবং সেশন জট মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। * কারিগরী শিক্ষার জন্য পৃথক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে হয়ত যে সকল শিক্ষার্থীরা মাঝ পথে তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থার রশি ধরে ঝুলে থাকতে না পারে তারা আর জঞ্জালে পরিণত হবে না।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বেনজিরের হালচাল

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০৫

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।




স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালী মেয়েরা বোরখা পড়ছে আল্লাহর ভয়ে নাকি পুরুষের এটেনশান পেতে?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০


সকলে লক্ষ্য করেছেন যে,বেশ কিছু বছর যাবৎ বাঙালী মেয়েরা বোরখা হিজাব ইত্যাদি বেশি পড়ছে। কেউ জোর করে চাপিয়ে না দিলে অর্থাৎ মেয়েরা যদি নিজ নিজ ইচ্ছায় বোরখা পড়ে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করায় আপনার কেন দুঃখিত হওয়া উচিত নয়।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:০৮

সোহান ছিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঈশ্বরা গ্রামের মহাসিন আলীর ছেলে ও স্থানীয় শহিদ নূর আলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে ঈশ্বরবা জামতলা নামক স্থানে তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেন্ডার ও সেক্স

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

প্রথমে দুইটা সত্যি ঘটনা শেয়ার করি।

২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে জেলা পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মৌখিক পরীক্ষার ঘটনা। দুজন নারী প্রার্থী। দুজনই দেশের নামকরা পাবলিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×