এই পোস্টে আগে ছবিগুলো দেখুন ।
১. ছবিগুলি দেখে বিএনপি আমলে শামসুন্নাহার হলের ঘটনা মনে পড়ল। সব আমলেই একই অবস্থা। পুলিশের অভিব্যক্তি খেয়াল করুন। কি আনন্দ ছাত্রীদের মারতে!
২. পুলিশ কখনো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়া একশনে যায় না । আবার বিশ্ব: প্রশাসন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ছাড়া এই নির্দেশ দেয় না । ব্যপারটা হয় এভাবে...ভিসি, বিশ্ব: প্রশাসন ও পুলিশের বিভাগীয় কমিশনার>পুলিশ সদর দপ্তর, আইজিপি>স্বরাস্ট্র সচিব>স্বরাস্ট মন্ত্রী>প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা>প্রধানমন্ত্রী।
৩. সহকারী প্রক্টর কাল বললেন ভাংচুরের ঘটনা শিবির ঘটিয়েছে। (খাতুনের বক্তব্য কস্ট করে উনিই বলে দিয়েছেন! আমাকে আবার কেউ শিবির সমর্থক ভাববেন না !!) যদিও আমি আসল ঘটনা জানি না, তবে আমার মনে হয়েছে এটা সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের দাবী আদায়কে রাজনৈতিক প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা। কেন?? উচ্চপর্যায়ের অনুমতির জন্য আর নিজের দায় এড়ানোর জন্য। তার মানে আসল সিদ্ধান্ত ওনারাই নেন শুধু অনুমতির অপেক্ষা!
৪. অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত বিশ্ব: প্রশাসন হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। একেকটা পদ পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা নেতাদের পায়ের কাছে পড়ে থাকে। সে কি পা চাটাচাটি আর ঘষাঘষি ! তারমানে আ'লীগ আমলে আ"লীগের প্রতিনিধিরাই সেখানে আছে। বিশ্ব: প্রসংগ আসলেই সবাই ছাত্র রাজনীতির দোষ দেয়। শিক্ষক রাজনীতি যে কত ভয়ংকর কেউ দেখে না । :-&
৫. প্রশাসন পুলিশকে একটি লিস্ট দিয়েছে। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের লিস্ট। এই লিস্টই ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ককে শেষ করে দিল। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক, এমনটাই জানতাম। এখন দেখছি অভিযোগকারীও বটে। শিক্ষকদের প্রতি এমন অভিযোগ কিন্তু ছাত্রছাত্রীদেরও আছে। তার ব্যপারে কি করছে সরকার?? সেশনজট কি কমেছে?? ক্লাস কি হচ্ছে ঠিকমতো??
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর ছাত্র-শিক্ষকদের অবস্থা দেখলেই বোঝা যায় একটা দেশ বর্তমানে কোথায় আছে । আমরা যে কত পিছিয়ে আছি তা বোধহয় নতুন করে জানান দেয়া হল।