somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রমিকদের আন্দোলনের ব্যাপারে শ্রমিকদের বলির পাঠা না করে সালাম মুর্শিদি আর মিশুকে জিগ্গাসাবাদ করা হোক

০৩ রা আগস্ট, ২০১০ ভোর ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রোববার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে মালিক প্রতিনিধি ও শ্রমিকদের ৪২টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। এতে মালিক ও শ্রমিক উপভয়পক্ষই ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি কাঠামো মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান মন্ত্রী।

গত ৩সেপ্টেম্বর ২০০৯ "বিজিএমইএ"র সভাপতি সালাম মূর্শিদি খান সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দিয়েছিল তাদেরকে ৩হাজার কোটি টাকা সরকারের থেকে সাহায্য দেয়ার জন্য। এই টাকা দিয়ে তারা শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দিবে। অন্যথায়, শ্রমিকদেরকে তারা বেতন বা বোনাস দিতে পারবে না(নাকি দেবে না??)। আর বেতন বোনাস না পেয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করলে তা সামাল দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। সালাম মুর্শিদি আরো বলেছেন, বিদুৎ এবং গ্যাসের জন্য তাদের প্রতি বছর লোকশান হচ্চে ১হাজার ৮শত৭৫কোটি টাকা। তাই সরকার তাদেরকে এই ক্ষতিপুরন দিতে হবে ।

সে ঈদের আগে এই কাজ করেছিল । অথচ এর আগের কোন সরকারের সময় এই দাবি সে কেন করলনা ?
ঘুনাক্ষরেও সে দাতের ফাক দিয়া কোন কথা বার করেনাই এই বিষয়ে ।

বিশ্বমন্দায় আমাদের গার্মেন্টস খাতে তেমন প্রভাব পড়েনি।আর যদি কিছু প্রভাব পড়েও থাকে তাতে সরকার কেন লোকশান দিবে।এত বছর পর্যন্ত যে টাকা কামিয়েছে সেগুলো থেকে খরচ করলেইতো হয়। কোটি টাকা দামের গাড়ি নিয়ে ঘুরেন তিনারা, একটা গাড়ি বিক্রি করে দিলেইতো সব ঝামেলা খতম।

আগে থেকেই গার্মেন্টস খাত ব্যাপক সাহায্য পেয়ে আসছে। তদের রপ্তানিতে কোন প্রকার ট্যাক্স দিতে হয় না, তাদের আমদানিতেও কোন ট্যাক্স নেই। শুধুমাত্র আয়কর দিয়েই তারা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন সুবিধা দুনিয়াতে্ আর কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না। শ্রমিকের মুল্য দিতে হয় কম, সেইদিকেও তারা প্রচুর লাভবান। তারপরেও তাদের এই চাওয়া কতটুকু নৈতিক এবং যৌক্তিক।


সরকার যদি বিজিএমইএকে সাহায্য দেয় তাহলে অবশ্যই বিশ্ব মন্দার দ্বরা ক্ষতিগ্রস্থ্ সবাইকে সাহায্য দিতে হবে।


২৩ শে জুন ২০১০ ::


সালাম মুর্শিদী বলেছে ,

শ্রমিক অসন্তোষ ছাড়াও গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। নির্ধারিত সময়ে পোশাক তৈরি করতে না পারার পেছনে এটি বড় সমস্যা। একদিন ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকলে গ্যাস ও বিদ্যুতের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা তো পুষিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। কারণ পরের দিন বিদ্যুৎ ও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চাইলেও ওভারটাইম করিয়ে কাজ শেষ করা যাবে এমন হচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতের সমস্যা বড় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের কোন ব্যবস্থা নেই। এখন নতুন সংযোগ হচ্ছে না- এটাও একটি সমস্যা। এসব কারণে ক্ষতি যা হচ্ছে তা কেবল অর্থ দিয়ে বিচার করলে হবে না। সবদিক থেকেই ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের লোকসান আরও বাড়বে। গত চার মাস ধরে আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। ফলে গত চার মাসে দেশের বিভিন্ন পোশাক প্রস্তুতকারী ১৩ শ’ কোটি টাকা কেবল পণ্য পরিবহনে উড়োজাহাজ ভাড়া গুনেছেন। অথচ সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারলে কোন খরচ হতো না। কারণ বায়াররাই জাহাজের ভাড়া পরিশোধ করেন। তারা তাদের ভাড়ায় পণ্য নিলে আমাদের এ খাতে অতিরিক্ত খরচ হয় না। কিন্তু সময়মতো না দিতে পারলে তখন কমিটমেন্ট রক্ষার জন্য বায়ারদের সঙ্গে আমাদের কথা রাখতে উড়োজাহাজে পাঠাতে হয়। গত চার মাসে ১৩ শ’ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এখন যেভাবে কাজ চলছে এভাবে নির্ধারিত সময়ে অনেকের পক্ষেই পণ্য পরিবহন সম্ভব হবে না। বায়ারদের কাছ থেকে কয়েকদিন সময় চেয়ে পেলেও খুব বেশি দিন তারা সময় দেবেন না।

তিনি আরেও বলেন যে ,

আমরা ক্ষতিটাকে অর্থ দিয়ে বিবেচনা করছি না। কারণ আর্থিক ক্ষতির চেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে- আমাদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে, বিশ্ব বাজারে একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে- সেখানে এই ধরনের বাধা বারবার এ শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, বায়াররা অসন্তুষ্ট হলে আগামী বছরে তারা এই ধরনের অবস্থা বিবেচনা করে নতুন করে অর্ডার দেবেন না। আগস্টেই আগামী বছরের জন্য নতুন অর্ডার পাওয়ার কথা। সেপ্টেম্বরে তেমন কাজ থাকবে না। এদিকে সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আশুলিয়াতে বিভিন্ন কারখানা চালু হলেও ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত হতে পারছেন না। তারা ভাবছেন এই ধরনের পরিস্থিতি আবারও হতে পারে। সালাম মুর্শিদী বলেন, যখন এই সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কাজ চলছে, খুব শিগগিরই এটা হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে- সেখানে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের বিষয়টিকে তারা একেবারে সাদামাটাভাবে দেখছেন না। এর পেছনে কারা কাজ করছে, তাদের কারা উস্‌কে দিচ্ছে আন্দোলন করতে ও তাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করাচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্যও সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে এটা বের করা সম্ভব হবে না। গোয়েন্দারা বের করতে পারবে। তা বের করে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে সব এলাকায় পোশাক শিল্প রয়েছে সেসব এলাকায় সরকার স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে আঞ্চলিক ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করেছে। চারটি অঞ্চলে এ কমিটি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও নতুন কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই। দেশের অর্থনীতি ও শিল্পের স্বার্থে আমরা কারখানা চালু করেছি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখতে সরকারের কাছে আমরা নিরাপত্তা চাই। এর বেশি আপাতত আর কিছু চাওয়ার নেই। ন্যূনতম মজুরি সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার এ সংক্রান্ত একটি বোর্ড গঠন করেছে। আগামী ২৮শে জুলাইয়ের মধ্যে তারা এটা ঘোষণা করবেন। আইনগতভাবে আমি এটার ব্যাপারে কিছু বলতে পারি না। বর্তমান সময়ের বাজার পরিস্থিতি, জিনিসপত্রের দাম, মূল্যস্ফীতি পোশাক শিল্পের বর্তমার পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন অবস্থা বিবেচনা করে এ ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা দরকার। তবে শ্রমিকদের ন্যূনতম এ মজুরি বাড়া উচিত। ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে কিছু কিছু অর্থনীতিবিদের ব্যাখ্যা সম্পর্কে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা শুধু ন্যূনতম মজুরি ১৬৬২ টাকার কথা বলে থাকেন। কিন্তু এ পরিমাণ মজুরি পোশাক শিল্পের ৫ থেকে ৭ শতাংশ শ্রমিক পেয়ে থাকেন। তাও আবার মাত্র প্রথম তিন মাসের জন্য, যখন সে কোন কাজে দক্ষ থাকে না। তারপর সে কাজ শিখে গেলে যে কোন মজুরিতে কাজ করতে পারে। তবে একথাগুলো তারা প্রচার করেন না। তিনি বলেন, এমনিতেই গ্যাস, বিদ্যুতের অভাবে পোশাক শিল্পে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এছাড়া, সূতা সহ বিভিন্ন ধরনের কাঁচামালের দাম অনেক বেশি, ব্যাংকের চড়া সুদসহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা উৎপাদনে ব্যাহত করছে। "

তেল গ্যাসের দাম তো এই সরকারের সময় বারেনি । যে সরকারের সময় তেল গ্যাসের ক্রাইসিসের জন্ম হল তখন তো সে সময় সে কেটা টু শবদ পর ?

আর মিশু কোন গার্মেন্সের কর্মী ছিল বা আছে ??

৬০ঝাজার গার্মেন্টস কর্মীর নামে মামলা হল অথচ এই দুজনের কিছু হলনা । এই ২জনকে অ্যারেষ্ট করে রিমান্ডে নিলে সব তথ্য বার হেয় আসবে আমার মনে হয় । আপনারা কে কি ভাবে দেখেন ব্যাপারটা ।
আর গোয়েন্দা ব্যার্থতার কথা পরে বলব ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×