প্রতিবন্ধী হাফিজুরের জয় হোক ?
বগুড়ার ধুনট উপজেলার এনইউ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হাফিজুর শিক্ষার আলো দিয়ে পঙ্গুত্বকে জয় করতে চায়। তাই তার এই সংগ্রামী যাত্রা। গতকাল রোববার ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের একটি ঘরের বারান্দায় মাদুরে বসে মুখে ধরা কলম দিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখছে হাফিজুর।
ধুনট উপজেলার বেলকুচী গ্রামের দিনমজুর মফিজ উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর। তার জন্ন ১৯৯৩ সালের ১৫ জানুয়ারি। জন্নগতভাবে প্রতিবন্ধী হাফিজুর। মা-বাবা, আর চার ভাইয়ের অভাবের সংসার। বাবার পাশাপাশি তিন ভাইয়ের উপার্জনে চলে তাদের সংসার।
হাফিজুর জানায়, গ্রামের ছেলেমেয়েদের সহযোগিতায় প্রথমে সে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাকের স্কুলে লেখাপড়া শুরু করে। সেখান থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করে ধুনট এনইউ উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। বাড়ি থেকে তার স্কুলের দুরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। দীর্ঘ পথ তাকে রিকশাভ্যানে যাতায়াত করতে হতো। অর্থাভাবে প্রায়ই স্কুলে যেতে পারেনি। নিয়মিত ক্লাস করতে না পারলেও পাড়ার সহপাঠীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে সে সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করত। পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতেও তাকে ব্যবহার করতে হয় রিকশাভ্যান।
মুখ দিয়ে লেখার কৌশল রপ্ত করা সম্পর্কে হাফিজুর বলে, ‘হাতে শক্তি না থাকায় প্রথমে পা দিয়ে লেখার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে মুখে কলম ধরে লেখার চেষ্টা করতে থাকি। অনেক দিনের চেষ্টায় একসময় এই অধ্যবসায় সফল হয়।’ হাফিজুর বলে, ‘আমি জীবনযুদ্ধে হারতে চাই না। অন্যের সহযোগিতা নিয়ে বাঁচতে চাই না। শিক্ষার আলো দিয়ে আমার পঙ্গুত্বকে জয় করতে চাই।’
কেন্দ্র সচিব ও ধুনট এনইউ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, স্কুলে লেখাপড়ার জন্য হাফিজুরের কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেওয়া হয়নি। তাকে বিনা খরচে শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষা উপকরণসহ যাবতীয় প্রয়োজনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সহযোগিতা করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্যও তার কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক বলেন, হাফিজুরের স্কুল পরীক্ষার ফলাফল ভালো ছিল। সে এসএসসি পরীক্ষাতেও ভালো ফলাফল করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।
রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন