somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেই খবরটা শুনে অবাক হলাম। এখন ব্র্যাকের পেছনেও ঢাবি.....

৩০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনলাইন প্রকাশনায় বিশ্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫,৫৩১ তম স্থানে। এমনকি 'এশিয়ার শীর্ষ-১০০ বিশ্ববিদ্যালয়'-এর তালিকায়ও জায়গা করে নিতে পারেনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এর অবস্থান ৭৬।

স্পেনের সবচেয়ে বড় পাবলিক গবেষণা সংস্থা 'কনসেজো সুপেরিয়র ডি ইনভেসটিসিওন সিয়েন্টিফিকাস'র এক গবেষণায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে। গত ১০ জুলাই এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

প্রতিবছর জানুয়ারী ও জুলাই মাসে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

বিশ্বের ২০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে বাছাই করে ১২ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করে এই গবেষণা সংস্থাটি। র‌্যাংক নির্ধারণে অনলাইনে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক প্রকাশনার পাশাপাশি শিক্ষকদের ব্যক্তিগত প্রকাশনাকেও বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। দ্বিতীয় অবস্থানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।

গোটা বিশ্বে বুয়েট ২,৯১৬ তম স্থানে এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ৪,৫৭৭ তম স্থানে রয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বর্তমানেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর কাজ হয়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এর অধিকাংশই অনলাইনে যায় না। ফলে অনলাইনের সঙ্গে বাস্তবের একটি ব্যবধান তৈরি হয়েছে। আমরা এ ব্যবধান কমাতে কাজ করে যাচ্ছি।"

তিনি আরো বলেন, সময়ের সাথে প্রযুক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভ হয়ে উঠছে। বর্তমানে লাইব্রেরিকে ডিজিটাইজ করার কাজ চলছে। সা�প্রতিককালে টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি স্থানকে তারবিহীন ইন্টারনেটের আওতায় আনা হয়েছে। শিগগিরই এটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বি�তৃত করা হবে। এ সবের মাধ্যমে অনলাইনে প্রকাশনার সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

বিশ্বের সামগ্রিক তালিকায় 'শীর্ষ ৫'এ স্থান করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হচ্ছে- হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ম্যাচাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে, করনেল ইউনিভার্সিটি।

দক্ষিণ এশিয়ার 'শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়' এর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ৬টি । এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২৩), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (৫৬), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৭৬), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (৮৭), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৯৫), ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৯৯)।

দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৭২টিই ভারতের। এছাড়া পাকিস্তানের ১৪টি, শ্রীলঙ্কার ৭টি এবং নেপালের ১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

তবে এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।

তালিকায় জায়গা করে নেওয়া অপর বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ (৫৮৮২ তম স্থান), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৬২১০), ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৬৩৫৯), ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৬৮৬০), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (৭০৭৮), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৭১৯৬), ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (৮৭৫৯), জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় (৮৭৮৯), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৯৪০৯), আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০২০৩), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (১০৪৭৪), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০৫০৩), ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক বাংলাদেশ (১০৫১৮), চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১০৬৪৭), এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (১০৬৬৭), ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (১১০৪৩), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (১১১৪২),
ঢাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১১২৩৫), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১১৪২২) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (১১৬৪৩)।

Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×