somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারে কর্মকর্তা

২৭ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারী কর্মকর্তার তথা সরকারী দফতরে যেতে হয়েছিল দাপ্তরিক কাজে। এজেন্ট এর মাধ্যমে কয়েকদিন পুর্বে জানতে পারি আমাদের জন্য সাক্ষাতের সময় দেয়া হয়েছে সকাল ১০(দশ)টায়। আমার অন্য সহকর্মী জানালেন "ফেরদাউস ভাই দেরি কইরেন না। ওনারা সময়ের ব্যপারে বিশেষ যত্নবান"। সেটা খেয়াল করত বাসা থেকে নিজের দপ্তরে না গিয়ে ১৫০টাকায় সিএনজি ভাড়া করে সরাসরি ঐ সরকারী দপ্তরে পৌঁছলাম পনেরো মিনিট আগে। আগে পৌঁছলাম, দূর্ভাগ্যক্রমে কোন জ্যম রাস্তায় পেতে হয়নি। টাইম কিল করি রেস্তোঁরায় প্রয়োজন না থাকাতেও এক কাপ চা সেবনে।

১০টা বাজার পাঁচ মিনিট পূর্বে নির্ধারিত সাক্ষাত দাতা সরকারী কর্মকর্তার দপ্তরের বাইরে খোলা আহ্বান কক্ষে বসতে বলা হল এজেন্ট এর পক্ষ থেকে। আহ্বান কক্ষে বিদ্যুৎ চলে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা হয় নি। তবুও উনারা জনগনের সেবায় নিয়োযিত। সংগে সহকর্মী, "সার ব্যস্ত আছেন মিটিংএ দেরী হবে" উত্তর এলো বাহিরে থাকা এমএলএসএস এর পক্ষ থেকে। এর মধ্যে আমাদের এজেন্ট সরকারী কর্মকর্তার গুনগান গাইতে শুরু করলেন। "সার খুব সৎ, উনি এই ঢাকায় আছেন গত বার বছর ধরে।" সরকারী কাজে কাজ করে সৎ থাকা এক ধরন, আর কাজ না করে সৎ থাকা আরেক ধরন, আমাদের এজেন্ট কোনটা বোঝালেন বা বোঝাতে চাইলেন বোঝা গেল না।

সরকারের বহু বিভাগ আছে যেখানে কয়েক কাপ চা সেবন করে দৈনিক পত্রিকাটি উপর-নিচ প্রতিটি বাক্য পড়ে (কোন কাজ না করে), "এই দেশে আর থাকা গেলনা " উক্তি করেও দিন পার করা যায়। অনেক বিভাগ আছে যেখানে সরকারী কর্মীরা শুধুমাত্র হাজিরা দিয়ে নিজের কাজে বেরিয়ে পরেন। এই দ্বিতীয়টার সংখ্যাই অধিক বলে আমার ধারনা।

দশটার জায়গায় ১১টায় এক ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পর "অতিরিক্ত কমিশনার" আমাদের সাক্ষাত দিলেন। দেরি করার জন্য কোন দূঃখ প্রকাশ তো করলেন ই না, সাক্ষাতের জন্য কোন ভাল অবস্থানে আসনও দেখিয়ে দিলেন না বসার জন্য। যেটাতে বসতে ইঙ্গিত করা হোল ওটাতে বসলে ওনাকে সরাসরি দেখা যায় না; এটা আবার কোন ধরনের সাক্ষাত। আমি আমার দপ্তরের আবেদন পরিবেশন শুরু করলাম। কিছুক্ষন বক্তব্য দাঁড়িয়ে উপস্থাপন করার পর উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কে?" মুখে বলার পর আমি আমার বিসনেস কার্ড ওনাকে দেই। ঐ কার্ড এ আমি বিসিএস ৮২র সদস্য লেখা আছে। তিনি বিসনেস কার্ড দেখলেন না। আমি ভাল করে জানি ওনারা (আরও চার জন উপবিস্টি ছিলেন) বিসিএস ৮২ এর পূরবের নন।
প্রায় আধ ঘন্টা যাবত এইচ এস কোড এর সপক্ষে বক্তব্য পরিবেশন করার পরও মনে হোল না ওনারা আমার বক্তব্যে একমত হলেন। বলার চেষ্টা করলাম আমাদের কোম্পানী অবকাঠামো তৈরী করনের কোম্পানী, যা মালামাল আনা হয়েছে এগুলো নতুন প্রযুক্তির, অনেকগুলো আপনার এইচ এস কোডের মাঝে স্বমন্নিতও করা যায় না। ওনারা যা বোঝালেন কোডের মধ্যেই ফেলতে হবে। ওনার সামনে বিমান বন্দরের ক্যমেরা প্রদর্শিত করনের একটি মনিটর আছে দেখলাম। আর আছে এইচ এস কোডের বিস্তারিত প্রদর্শনের ডাটাবেসের পাতাটি।

ভালই আছেন সিদ্ধান্ত বিহীন বা নিজ সময় অনুসারে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারী কর্মকর্তা।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×