ভাইগ্না থাকে তার মামার বাড়িতে। মামা খুব নামাজী ব্যক্তি। তো একদিন মামা'র এক প্রতিবেশীর একখান মূরগী হারায়া গেল। মূরগীটা খুইজা পাইলো ভাইগ্না। নাদুস-নুদুস মূরগীটারে দেইখ্যা ভাইগ্নার খুব লোভ লাগলো। ফেরত দিতে আর ইচ্ছা করলোনা। আবার খাইতেও মন চাইলো না। কারণ, মূরগীটাকে এই অবস্থায় খাওয়া চুরি করারই শামিল। মূরগীটা তার জন্য হারাম হবে। কারণ, সে জাইনা শুইনা পাশের বাড়িতে না জানায়া মূরগীটারে খাইতেছে। তো ভাইগ্না ব্যাপক কনফিউজড্ হয়া মামার কাছে গেল।
মামারে সব খুইল্যা কওনের পর মামা একটু সময় চোখ বন্ধ কইরা সমস্যাটারে নিয়া ভাবলো। তারপরে চোখ খুইল্যা সমাধান দিল।
মামা: ভাইগ্না, তুই একটা বিরাট সমস্যায় পড়ছোস। মূরগীটা তোর জইন্য হারাম হবে। তয় আমি তোরে একখান সমাধান দিবার পারি।
ভাইগ্না: তাই নাকি মামা! তাড়াতাড়ি কও...
মামা: তুই মূরগীটারে লয়া বাসার ছাদে যাবি। তারপরে তিনবার কইবি, "মূরগী কার?" যদি কেউ না আহে তাইলে তুই ঐটা রান্না কইরা খাইবি। তোর লিগা মূরগীখান হালাল হয়া যাইবো...
ভাইগ্না: মাথা খারাপ নিহি মামা! আমি একবার কইলেইতো পাশের বাসা থিকা মূরগী দেইখ্যা আইসা লয়া যাইবো। তখন মূরগী খামু কেমনে???
মামা: তাইলে এক কাম কর। "মূরগী" কথাটা কইবি জোরে কইরা আর "কার" কথাটা কইবি আস্তে কইরা...
ভাইগ্না খুব খুশি হয়া মামার কথামতো কাজ করলো। কেউ ই মুরগী নিতে আসলো না। তখন ভাইগ্না খুব মজা কইরা মূরগীটারে রানলো...
তো খাওনের টেবিলে রান্না করা মূরগীটারে রাইখা ভাইগ্না মজা মাইরা খাইতে লাগলো। মামারেও খাইতে কইলো কিন্তু মামা রাজি হইলোনা। এতোকিছুর পরেও মামার মনে হইতে লাগলো মূরগীটা আসলে হালাল হয়নাই। আবার ভাইগ্নারে মজা মাইরা খাইতে দেইখ্যা তারও লোভ লাগলো। তাই সে একটা ফন্দি আটলো। ভাইগ্নারে বললো...
মামা: ভাইগ্না, তুই যে মূরগীটা রানছোস; এর মইদ্যে যে পানি দিছোস তাতো আমার বাসা থিকা নেওয়া। তাই না?
ভাইগ্না: হ মামা।
মামা: তুই এইর মইদ্যে যে মশলা দিছোস। সেইটাওতো আমার বাসার... নাকি???
ভাইগ্না: হ মামা। তোমার বাসার।
মামা: তাইলেতো মূরগীর ঝোল আমার লিগা হালাল। আমি খাইতে পারি... তুই এক কাম কর। আমারে একটু ঝোলই দে...
ভাইগ্না এই কথা শুইনা চামচ দিয়া মামারে ঝোল দিতে গেল। সেইটা দেইখা মামায় কইলো, "আরে চামচ দিয়া দিস না! পাতিল থিকা ঢাইল্যা দে।" ভাইগ্না এই কথা শুইনা কইলো, "কিন্তু মামা, ঢাইল্যা দিলেতো ঝোলের লগে মাংস্ও পড়বো।" এই কথা শুইনা মামায় কইলো, "হালালের টানে যা যা আইবো তার সবই হালাল হয়া যাইবো..."
=========================================
ঘরের অপ্রয়োজনীয় সব লাইট ফ্যান বন্ধ আছেতো? কোথাও কোন কল ছাড়া নেইতো?? একবার একটু চেক করে দেখুন না... বিদ্যুৎ এবং পানি সাশ্রয় করুন... দেশটাতো আমাদেরই। এই দেশটাকে বদলাতে হবেই। আমরা বদলাবো একে...
মামা ভাইগ্না-কে নিয়া হালাল-হারাম সংক্রান্ত একখান চরম+এক্সক্লুসিভ জুকস্.... (টিচারের কাছে শোনা...)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪০টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?
জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন
মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়
১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷
চলুন গল্পটা শুনে আসি৷
বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া
একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন
সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!
~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো
রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন