খুলনা থেকে বাগেরহাট যাওয়ার পথে খুন হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা।
Published : 18 May 2013, 05:37 AM
শনিবার খুলনার রূপসা উপজেলায় তার সঙ্গী মোটর সাইকেল চালককেও দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খান জাহিদ হাসান (৫৩) আওয়ামী লীগের ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তিনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
খুলনায় জাহিদের বাসা রয়েছে। সেখান থেকে ফকিরহাটে ফেরার পথে সকাল পৌনে ১০টার দিকে খুলনা-বাগেরহাট সড়কে আমদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাকে হত্যা করা হয় বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
জাহিদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-বাগেরহাট সড়ক সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে।
পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দিলে গাড়ি চলাচল শুরু হয় বলে জানান ফকিরহাট থানার ওসি মাসুদ আলম।
জাহিদ হাসান নিহত হওয়ার খবর আসার পরপরই ফকিরহাট উপজেলা সদর ও ফকিরহাট বাজারের সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়।
কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।
ওসি মাসুদ বলেন, “হত্যাকাণ্ডের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি, তবে বিস্তারিত কোনো খবর এখনো পাইনি।”
নিহত অন্যজনের নাম মুন্না (৩০)। তিনি ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালাতেন।
ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাহিদ খুলনার বাড়ি থেকে পূর্বপরিচিত ওই চালকের মোটর সাইকেলে করে ফকিরহাট আসতেন।
চেয়ারম্যান জাহিদের মাথায় ও শরীরে তিনটি গুলি লাগে।
রূপসা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জাহিদ ফকিরহাট উপজেলা সদরের সাতশৈয়া গ্রামের খান ইলিয়াস হাসানের ছেলে। তিনি এনিয়ে তৃতীয়বার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জাহিদ হাসান খুলনার মহানগরীর দোলখোলা শীতলাবাড়ী মন্দিরের কাছে বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।