somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বড় হয়ে গেলাম...... ১ম কিস্তি

২৩ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৫ই এপ্রিল, ২০০৬ ।

ভার্সিটি তে ক্লাস শুরুর দিন । নিজেকে বেশ বড় বড় মনে হতে লাগলো । লাগবে নাই বা কেন, ভার্সিটির স্টুডেন্ট আমি এখন । আল্লাহর অশেষ রহমতে পাবলিক ভার্সিটিতে chance পেয়েছি । ভাবতেই পেটটা ভরে যায় । ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি, এই department এ আগামী দিনগুলোতে আমার এ ছোট্ট তরীর জন্য কতগুলো সুনামি , নার্গিস , আইলা , লাইলা প্রভৃতি অপেক্ষা করছে । (এগুলা কোন মেয়ের নাম না)

১ম দিন যাদের সাথে কথা হয়েছিলো, এদের মধ্যে নিয়াজের সাথেই ঘনিষ্টতা গড়ে উঠেছিলো । আর এখন পর্যন্ত সেই সুসম্পর্ক রয়েছে । ইনশাল্লাহ থাকবেও । আমার সাথে এখন পর্যন্ত যাদেরই friendship হয়েছে এদের মধ্যে ওই সবচেয়ে consistent . (Consistent word টার অর্থ পুরোপুরি বুঝতে পারি stat এ ভর্তি হবার পর । কথাটা বললাম কারন এক পাগলায় আমার কাছে stat এ ভর্তি হবার উপকারিতা জানতে চেয়েছিল)।

আমি বরাবরই কিছুটা বাইন মাছ টাইপের , অর্থাৎ বেশ পিছলা । তখন ragging এর প্রচলন ছিল । কিন্তু আমার এ স্বভাবের কারনে আমি এক বারও rag খাইনি । একে একে বন্ধু সংখ্যা বাড়তে থাকে । but quantity never assures quality. আর আমার সবচেয়ে ভাল friend এর দেখা পাই ১৭ই জুলাই । সেদিনই প্রথম ক্লাস করতে আসে । বুঝতে পারিনি ১ বছরের মধ্যেই ও আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের একজন হয়ে যাবে । এক পর্যায় ১০ জনের এক বিশাল circle হয় । এই ১০ জনের মধ্যে intimacy বাড়ার কারন হলো , আমরা সবাই ঢাকা থেকে যাতায়াত করতাম , hall এ থাকতাম না । এই intimacy যে সাময়িক তা বুঝতে পারিনি ।

ক্লাস করতে এসে দেখি ভয়াবহ অবস্থা । স্যারদের হিব্রু ভাষায় লেকচার দেয়া দেখে বুঝলাম…খবর আছে । tutorial গুলোতে mark দেখেই লজ্জা লাগে । এর মাঝে স্বান্তনা ছিল friend রা । যাদের সাথে “ just had a blast “ . ফাঁক পেলেই আড্ডা , ক্লাস এ বসে সবাই সবাইকে missed call দেয়া , সন্ধ্যা বেলায় চা ও সিগারেটময় জম্পেশ আড্ডা, hall এ থাকলে সারা রাত জুড়ে পুরো campus ঘুরে বেড়ানো, শহীদ মিনারে বসে গান গাওয়া, মাঝে মাঝে ফ্রেন্ডদের বাসায় আকশ্মিক আক্রমণ । সব মিলিয়ে এত মজা আর কখনও করিনি । তখন আল্লাহর কাছে শোকর করতাম এই ফ্রেন্ড দের জন্য ।

মজা লাগা আর ভাল লাগার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য । একদিকে অন্য সব ফ্রেন্ডদের সাথে থাকলে যেমন অনেক মজা করতাম, তেমনি এদেরই একজনের সাথে থাকতে অসম্ভব ভাল লাগত । ভাল লাগাটা এতটাই প্রকট ছিল যে অন্যদের সাথে বসে মজা করার সময়ও সেই বিশেষ ভালো লাগাটাকে miss করতাম । তখন এটাকে বিশেষ পাত্তা দেইনি । কিন্তু পরবর্তীতে এই ভালোলাগাটাই আমার জন্য আক্ষরিক অর্থেই সবকিছু হয়ে দাঁড়ায় ।

এত আড্ডা শয়তানি, বাঁদরামির ফলাফল যা হবার তাই হল । 1st year final রেজাল্ট হল ভয়াবহ খারাপ । ফ্রেন্ডদের মধ্যে আমার GPA সবচেয়ে খারাপ । হিংসা হয়নি একটুও । বুঝলাম , আমি বাদে সবাই জাতে মাতাল তালে ঠিক ।

পড়ালেখার ব্যাপারে ফ্রেন্ডদের উপর অনেক depend করতাম । কোনকিছু বুঝতে সমস্যা হলে ওদের কাছে চলে যেতাম । ওরা খুবই আন্তরিকতার সাথে help করত । অবশ্য help যে আমি একেবারেই করতাম না তা না । ক্লাস এ সবসময় lecture তুলতাম । ওদের কারও লেকচার দরকার হলে আমি নিজে গিয়ে ওদের বাড়িতে দিয়ে আসতাম । এদের একজনের বিপদের সময় একবার কম সাহায্য করিনি । একজন ছ্যাকা খেয়ে দেবদাস হলে যথাসম্ভব ওকে mental support দিয়েছি । তারপরও আমার কপালে যে বিশ্বাসঘাতকতা লেখা আছে তা জানতাম না । এসব অবশ্য আরও পরের কথা । সব মিলিয়ে ১ম বছরটা অনেক ভালভাবেই কেটে যায় । বুঝিনি যে আমার কপালে পরের বছরটায় একই সাথে SURPRISE ও SHOCK দুটোই লেখা আছে ।




২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×