আমার ফ্লাটের পড়শী পেয়েছিলাম মিশরী পরিবার।তারা আরবী ছাড়া কিছুই বুজতোনা,তাই তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা খুব বেশী এগুতোনা।কিন্তু তাদের চালচলন গিন্নী দূর থেকেই লক্ষ্য করে অনেক কিছু শিখে ফেললো।যেমন বৃহষ্পতিবার রাত এলেই ঘড়ে রান্না বন্ধ। সেদিন ঘড়ওয়ালীদেরও নাকি ছুটি।তাই কেউ হোটেল কেউবা কর্নিশে গিয়ে চিকেন, ফিস বা মা্টন বারবিকিউ করে খাবে!আর তার সব কাজের দায়িত্ব থাকে আমাদের পুরুষদের। মহিলারা একপাশে বসে গল্প চালাবে আর আমরা পুরুষরা থাকবো রান্না নিয়ে ব্যস্ত!
রাতে বারবিকিঊ বানানো
এছাড়া রাত জেগে গাল-গল্প আর টিভি ভিসিআরে(আজকাল ডিভিডি-ব্লু-রে)সিনেমা দেখে দুপুর অব্দি ঘুমিয়ে নেবে।প্রবাসে মহিলাদের মুটিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারন নাকি তাদের এই লম্বা ঘুম।
মহিলাদের পর্দা সম্পর্কেও অনেক কিছু শিখে ফেললো।কিন্তু আরবীদের মতো বাস্তবে এতটা অনুসরন করা আমাদের মতো লোকদের পক্ষে সম্ভব হয়না।তবুও এই দেশের আইনকে মেনে চলতে যতটুকু প্রয়োজন আমরা তা অনুসরন করে চলতে শুরু করলাম।
এদিকে মাস কয়েকের মধ্যে আমরা টের পেলাম আমাদের সংসারে নুতন অতিথী আসছে।খাবজী ন্যাশনাল হাসপাতালে এক ফিলিপিনো ডাক্তারকে দিয়ে চেক-আপ করিয়ে নিলাম।ডাক্তার আমাদের উপদেশ দিলেন ভাল ফলমুল তাজা সাকশব্জি,মাছ-মাংস খাওয়াতে আর দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াতে।কিন্তু এই শহরটা ছিল একদম ছোট্ট ।একদিকে ধু ধু বালির কুয়েত বর্ডার অন্যদিকে শান্ত সাগরের কর্ণিশ দশ মিনিট গাড়ীতে ঘুরলেই শহর শেষ
তাই চেস্টা করে বদলী হয়ে চলে এলাম আল-খুবারে,যেন ঠাকুরগাও থেকে ঢাকাতে!এবার আমার প্রতিবেশী পেলাম ভারতের হায়দ্রাবাদের এক মুসলিম পরিবারকে।
সৌদি আরবে আমাদের প্রথম কুরবানী দেয়া
এখানে এসেই সরকারী ক্লিনিকে গিন্নীর নাম রেজিস্ট্রি করে ফেললাম।খাফজীতে আমি জানতামই না যে এদেশে পারিবারিক ক্লিনিক আছে যাতে ফ্রি মেডিসিনসহ চিকিৎসা দেয়া হয়।আর বেশিরভাগ জিপি ডাক্তারগুলোই আবার বাংলাদেশী।এই ডাক্তারদের থেকেই অন্যান্য বাংলাদেশী ফ্যামিলীর ঠিকানা নিয়ে তাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া শুরু করলাম।
আগের পর্ব
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২