somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেমন আছি সৌদি আরবে – পনেরতম পর্ব

২৩ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৌদি আরবে ফ্যামিলি নিয়ে এসে যেন বিশাল ঝামেলা থেকে মুক্তি পেলাম।আগে আমি নিজে রান্না করে বা হোটেলে গিয়ে খাবার খেতাম।তাছাড়া মাঝে মধ্যেই মুরগী রান্না করে ফ্রিজে রেখে দুই-তিনদিন চালাতাম।আবার কখনো কখনো হোটেলে গিয়ে আরবীয় খাবসা বা সাউথ ইন্ডিয়ান ফুড বা পাকিস্তানী খাবার খেতাম।সকালের নাস্তা চালাতাম ক্যাফেটেরিয়াতে,যাকে স্থানীয়রা বুফিয়া বলে থাকে।তখন বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট এখনকার মতো যেখানে সেখানে পাওয়া যেতনা। আমি গিন্নীকে নিয়ে আসার পর রান্না করার মতো একটি বাজে কাজ থেকে আমি রেহাই পেলাম। সকালে ঘুম থেকে জেগেই চা নাস্তা সেরে অফিসে যাই আর লাঞ্চ আওয়ারে ফিরে এসে রেডি খাবার!প্রবাসে আছি সে কথা কিছুদিন মনেই এলোনা।
আমার ফ্লাটের পড়শী পেয়েছিলাম মিশরী পরিবার।তারা আরবী ছাড়া কিছুই বুজতোনা,তাই তাদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা খুব বেশী এগুতোনা।কিন্তু তাদের চালচলন গিন্নী দূর থেকেই লক্ষ্য করে অনেক কিছু শিখে ফেললো।যেমন বৃহষ্পতিবার রাত এলেই ঘড়ে রান্না বন্ধ। সেদিন ঘড়ওয়ালীদেরও নাকি ছুটি।তাই কেউ হোটেল কেউবা কর্নিশে গিয়ে চিকেন, ফিস বা মা্টন বারবিকিউ করে খাবে!আর তার সব কাজের দায়িত্ব থাকে আমাদের পুরুষদের। মহিলারা একপাশে বসে গল্প চালাবে আর আমরা পুরুষরা থাকবো রান্না নিয়ে ব্যস্ত!

রাতে বারবিকিঊ বানানো
এছাড়া রাত জেগে গাল-গল্প আর টিভি ভিসিআরে(আজকাল ডিভিডি-ব্লু-রে)সিনেমা দেখে দুপুর অব্দি ঘুমিয়ে নেবে।প্রবাসে মহিলাদের মুটিয়ে যাওয়ার একটা বড় কারন নাকি তাদের এই লম্বা ঘুম।
মহিলাদের পর্দা সম্পর্কেও অনেক কিছু শিখে ফেললো।কিন্তু আরবীদের মতো বাস্তবে এতটা অনুসরন করা আমাদের মতো লোকদের পক্ষে সম্ভব হয়না।তবুও এই দেশের আইনকে মেনে চলতে যতটুকু প্রয়োজন আমরা তা অনুসরন করে চলতে শুরু করলাম।
এদিকে মাস কয়েকের মধ্যে আমরা টের পেলাম আমাদের সংসারে নুতন অতিথী আসছে।খাবজী ন্যাশনাল হাসপাতালে এক ফিলিপিনো ডাক্তারকে দিয়ে চেক-আপ করিয়ে নিলাম।ডাক্তার আমাদের উপদেশ দিলেন ভাল ফলমুল তাজা সাকশব্জি,মাছ-মাংস খাওয়াতে আর দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াতে।কিন্তু এই শহরটা ছিল একদম ছোট্ট ।একদিকে ধু ধু বালির কুয়েত বর্ডার অন্যদিকে শান্ত সাগরের কর্ণিশ দশ মিনিট গাড়ীতে ঘুরলেই শহর শেষ
তাই চেস্টা করে বদলী হয়ে চলে এলাম আল-খুবারে,যেন ঠাকুরগাও থেকে ঢাকাতে!এবার আমার প্রতিবেশী পেলাম ভারতের হায়দ্রাবাদের এক মুসলিম পরিবারকে।

সৌদি আরবে আমাদের প্রথম কুরবানী দেয়া
এখানে এসেই সরকারী ক্লিনিকে গিন্নীর নাম রেজিস্ট্রি করে ফেললাম।খাফজীতে আমি জানতামই না যে এদেশে পারিবারিক ক্লিনিক আছে যাতে ফ্রি মেডিসিনসহ চিকিৎসা দেয়া হয়।আর বেশিরভাগ জিপি ডাক্তারগুলোই আবার বাংলাদেশী।এই ডাক্তারদের থেকেই অন্যান্য বাংলাদেশী ফ্যামিলীর ঠিকানা নিয়ে তাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া শুরু করলাম।
আগের পর্ব ;)
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×