এই লেখাটা অনেকদিন ধরেই লিখতে চাইছিলাম। কিন্তু পারছিলাম না । এখন হাতে কিছু সময় আছে । তাই লিখতে বসে গেলাম । এবার যা নিয়ে লিখব সেই বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যেই দিধা থাকতে পারে । যাই হক, আমাদের দেশ এর মধ্যেই বিরজমান সমস্যা নিয়া আজকের এই লেখা শুরু করলাম। বাংলাদেশে এখন একটা কথা খুব বেশি শোনা যায় । সেবামুলক প্রতিস্থান গুলো নাকি সেবার চেয়ে টাকার পিছনে বেশি ছোটে !!! এই বিষয় নিয়েই আজকে থেকে শুরু করলাম আমার ধারাবাহিক প্রতিবেদন।
আজ শুক্রবার সকালে আমার এক ভাগ্নি মারা গিয়েছে । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আম্মা বলল । খুব কষট পেয়েছি । গত ২ বছর ধরে সে কষট শয্য করে গেছে । কিন্তু এ দেশি ডাক্তার গুলো এর কাছে তারা ছিল বন্দি । আমার ভাগ্নিরা খুলনা বাগেরহাট থাকে।। ঢাকা থেকে বাগেরহাট যাওয়া ১ দিন পরেই সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। জীবনের শেষ কয়টা দিন সে অনেক কষট করে গেছে ।
তারপর ও কিছুটা আসা নিয়ে পরিবার টার পথ চলা থেমে ছিল না। একটা পরিবার কি করে যে তচনছ হয়ে যায় সেটা চোখের সামনে না দেখলে বিস্বাস করা যায় না। ডাক্তাররা ঠিক মত বলেও না যে কতদিন বাচবে বা কিছু। তারা শুধু বলত , হা ভাল হয়ে যাবে । এই ওষুধ গুলা খেতে থাকেন । ঠিক হয়ে যাবে ।
কিন্তু বিস্বাস করেন, শেষ এই ১ মাস এ তার কোন উন্নতি দেখি নাই। বরং দিন কে দিন অর অবস্থা খারাপ এর দিকে যাচ্ছিল। খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল । এত অল্প বয়সে কি কষট টাই না সে ভোগ করে গেল। আর আমরা আর তার পরিবার শুধু দেখা ছারা কিছুই করতে পারলাম না ।
তার এই অবস্থার জন্য দায়ি করব ডাক্তার দের ই। ২ বছর আগে পেঠ এ একটা টিউমার ধরা পড়েছিল । তখন তাকে খুলনা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ওখানেই অপারেশন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ডাক্তাররা বায়ওপ্সি না করেই সেলাই করে রেখেছিল।
কিন্তু হাসপাতালে থাকা অবস্থাতেই অপারেশন করার যায়গা থেকে খুব ব্যাথা শুরু হল। তারপর ডাক্তাররা সেলাই আবারে খুলে ............। না আর বলতে পারছি না । কষট হচ্ছে খুব ।
এরকম অবহেলার শিকার হয়ে ডাক্তাররাই বলল যে ঢাকা নিয়া যেতে । এরপর থেকে তাদের শুরু হল জীবনের সাথে যুদ্ধ ।
সে সময় তাদের কে বলেছিলাম বাংলাদেশ এর বাহিরে নিয়ে যেতে । কিছু তারা গেল না। ঢাকায় দেখানো হল ডাক্তার । তারাই বলল কেমো দেয়ার জন্য। একের পর এক রক্ত দেয়া, হাজার হাজার টাকার ওষুধ কেনা, ১৫ দিন পর পর অথবা ৩০ / ৬০ দিন পর পর ঢাকা আশা, বিভিন্ন রকম টেসট করা এসবই চলছিল ।
মাঝে কমেও গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তার অপারেশন এর জায়গা থেকে আবার টিউমার হল। সেটা পরে এত বড় হল যে ডাক্তার অনেক দেখিয়েও কিছুই করা গেল না । আর তা কে ঢাকা এনেও বাচান গেল না...............।