somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নব্য ব্যাংকারদের জন্য- ১ (কারো কাজে লাগলে লেখা চলবে)

১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুম করে কেউ সত্যিকারের ব্যাংকার হতে পারে না। ব্যাংকার হতে হলে চাই সুদৃঢ় ইচ্ছা, একাগ্রতা, সততা, সহনশীলতা, এবং জানার ইচ্ছা। সবার আগে জানতে হবে। বলা হয়ে থাকে ব্যাংকিং এর কাজ একজন এসএসসি পাশ ছাত্রই করতে পারে। যারা একথা বলে তাদের বলতে চাই , শুধু কাস্টমার সার্ভিস মানেই ব্যাংকিং না। ব্যাংকিং মানে আরো বেশি কিছু। কারণ গোটা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে এই ব্যাংক ব্যাবস্থা।

কথাগুলো বলছিলেন আনোয়ার সাহেব নামের এক রিটয়ার্ড ব্যাংকার। আমাদের পাড়ায় নতুন এসেছেন। আজ মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে তার সাথে দেখা ও পরিচয়। আমি যেহেতু খুব সম্প্রতি ব্যাংকে ঢুকেছি তাই উনার পরিচয় জেনেই আগ্রহী হলাম। তার কাছ থেকে যদি কিছু শেখা যায়। ফিজিক্স থেকে ব্যাংকে ঢুকেছি। বুঝতেই পারছেন ব্যাংকিং সম্পর্কে কিছু জানি না। আমাদের ব্যাংকগুলোর কথাও বলে লাভ নেই। যতোসব আনাড়ি লোকদের এপয়েন্টমেন্ট দিয়েই যুদ্ধে নামিয়ে দেয়। ট্রেনিং এর কোন বালাই নেই। আমার শেখার ইচ্ছোর কথা বলতেই আনোয়ার সাহেব বেশ খুশী হলেন। একাউন্ট ওপেনিং দিয়েই তিনি তার লেকচার শুরু করলেন। তার কাছ থেকে সেদিন যা কিছু জানতে পেরেছিলাম তা এখানে তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি।

একজন ব্যক্তি ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলার মাধ্যমে ঐ ব্যাংকের একজন গ্রাহকে পরিণত হয়। তাই ব্যাংকে একাউন্ট খোলার কাজটি সবচেয়ে গুরু্ত্বপূর্ণ।

একটি একাউন্ট খুলতে প্রথমে কাস্টমারকে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বরাবর একটি এপ্লিকেশন করতে হয়। ব্যাংকে যে একাউন্ট ওপেনিং ফর্ম থাকে সেটাই কাস্টমারের এপ্লিকেশন। ফর্মে প্রধানত নিম্নোক্ত তথ্যগুলি দেয়া হয়:
1. নিজের নাম।
2. বাবা-মা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর নাম।
3. ঠিকানা।
4. পেশা।
5. প্রাথমিক জমা দেয়া টাকার পরিমাণ।
6. ইন্ট্রোডাকশন।
7. নমিনী।
8. কে.ওয়াই.সি।
9. রিস্ক গ্রেডিং।
10. স্পেসিমেন সিগনেচার।
11. টি.পি বা ট্রানজেক্শন প্রোফাইল।
12. লেটার অব থ্যাংকস।
13. লেটার অব ওয়েলকাম।
উপরের বিষয়গুলোর মধ্যে যেগুলো সম্পর্কে জানার আছে:
1. ইন্ট্রোডাকশন: যে কোন ব্যক্তি ব্যাংকে একাউন্ট খোলার অধিকার রাখলেও তাকে কিছু শর্ত পালন করতে হয়। যে ব্যাক্তি একাউন্ট ওপেন করবেন তার পক্ষে সেই ব্যাংকের যে কোন একাউন্টধারী নির্ধারিত এপ্লিকেশন ফর্মে ঘোষনা করবেন যে তিনি ব্যক্তিটিকে চিনেন। এ কাজটি করা হয় সতর্কতার জন্য। একাউন্ট করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিটি কোন এলাকায় একেবারে অজানা কেউ নন বা কোন ফ্রড নন- এ নিশ্চয়তার জন্যই ব্যাংক চায় তার একজন পরিচয়দানকারী থাকুক, যিনি আগে থেকেই ব্যাংকের কাছে পরিচিত।
2. কে.ওয়াই.সি: নোউ ইওর কাস্টমার। আপনার কাস্টমারকে জানুন। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কোন ধরনের ফ্রডিং বা মানি লন্ডারিংএড়াবার জন্য কাস্টমার সম্পর্কে ভালভাবে জানা আপনার কর্তব্য। সেজন্য এপ্লিকেশন ফর্মের এই অংশ দিয়ে কাস্টমারকে জানার চেষ্টা করা হয়।
3. রিস্ক গ্রেডিং: রিস্ক গ্রেডিং অংশটি বর্তমানে ফর্মের কে.ওয়াই.সি অংশের ভেতর সংযুক্ত। এ অংশটির দ্বারা নির্ধারন করা হয় অলোচ্য কাস্টমার ব্যাংকিংএর জন্য কতোটা রিস্কি। দুটি ক্যাটাগরীতে রিস্ক ফ্যাক্টরটি ভাগ করা হয়ে থাকে। লো রিস্ক ও হাই রিস্ক। নিচের সাতটি পয়েন্টের ভিত্তিতে এই ক্যাটাগোরাইজেশন করা হয়:
1. Occupation or nature of customers’ business.
2. Net worth/ Sales turnover of the customer
3. Mode of opening of the account
4. Expected value of monthly transaction
5. Expected number of monthly transaction
6. Expected value of monthly cash transaction
7. Expected number of monthly cash tansaction
প্রতিটি পয়েন্টের মূল্যমান থাকে ০ খেকে ৩ পর্যমত্ম। সর্বমোট মান ১৪ এর উপর হলে ঐ নির্দিষ্ট একাউন্টটিকে ‘হাই রিস্ক’ ধরা হয়। এই হাই রিস্কের একাউন্টগুলিকে আলাদা নজরদারীতে রাখতে হয় সবসময় এবং এইসব একাউন্টের কে.ওয়াই.সি এবং টি.পি নিয়মিত আপডেটেড রাখতে হয়।
4. নমিনী: ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ এ বর্ণিত আছে যে কোন একাউন্ট হোল্ডার তার একাউন্টে এক বা একাধিক নমিনীর নাম ঘোষনা করতে পারবেন। এ নমিনী একাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যুর পর একাউন্টের সমুদয় জমাকৃত অর্থের মালিক হবেন। ঘোষিত নমিনী যেন প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়। তবে নমিনী প্রাপ্তবয়ষ্ক না হলে আরেকজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যক্তির নাম ঘোষনা করতে হবে যিনি নমিনীর প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়া পর্যমত্ম তার দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
5. টি.পি: ট্রানজেকশন প্রোফাইল। একজন ব্যক্তি একাউন্ট করার সময় ঘোষনা দিবেন তিনি মাসে কত টাকা লেনদেন করবেন এবং তিনি এক ভাউচারে সর্বোচ্চ কত টাকা জমা দিবেন বা উত্তোলন করবেন। খেয়াল রাখতে হবে এ হিসেব যেন অতিরঞ্জিত না হয়, মানে হিসেবটা যেন একাউন্ট হোল্ডারের চাকরী বা ব্যবসার সাথে সামঞ্জস্য থাকে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সবসময় তার ট্রানজেকশন প্রোফাইলের সাথে লেনদেন যাচাই করে দেখবেন এবং কোন প্রকার সন্দেহের উদ্রেক ঘটলেই একাউন্ট হোল্ডারকে ডেকে কারন জিজ্ঞেস করবেন এবং প্রয়োজনে টি.পি আপগ্রেড করবেন।
6. লেটার অব থ্যাংকস: এএমএল(এন্টি মানি লন্ডারিং আইন) মেনে চলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম এই লেটার অব থ্যাংকস। এটি রেজিষ্টার্ড চিঠির মাধমে পাঠাতে হবে ইন্ট্রডিউসারের কাছে। এর প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি ফর্মের সাথে রাখতে হবে। যদি চিঠিটি ফেরত আসে তবে ধরে নিতে হবে ইন্ট্রোডিউসারের একাউন্টে ঊল্লিখিত ঠিকানাটি ভুল। এ বিষয়ে জরুরী অনুসন্ধান চালাতে হবে।
7. লেটার অব ওয়েলকাম: এএমএল মেইনটেনেন্সের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। এটিও রেজিষ্টার্ড ডাক ব্যবস্থার মাধমে পাঠাতে হবে একাউন্ট হোল্ডারের কাছে। লেটার অব থ্যাংকসের মতো এই কাজটিও করা হয় মূলত ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য। যদি চিঠিটি ফেরত আসে তবে ধরে নিতে হবে একাউন্টে উল্লিখিত ঠিকানা ভুল। তখন প্রয়োজনীয় ইনভেস্টিগেশন করতে হবে।

এবার আসা যাক একাউন্টের অন্যান্য ডকুমেন্টেশনের ব্যাপাওে। একেক ধরনের একাউন্টে একেক ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:

সেভিংস একাউন্ট: ১. একাউন্ট হোল্ডারের ছবি, ইন্ট্রোডিউসার সত্যায়িত করে দেবেন।
২. নমিনীর ছবি, সত্যায়িত করা একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক।
৩. ইন্ট্রোডিউসার।
৪. ভোটার আইড কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা)। অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র। ইদানিং অবশ্য ভোটার আইডি কার্ডটিকেই অত্যাবশ্যকীয় করে ফেলা হচ্ছে।

জয়েন্ট একাউন্ট: ১. একাউন্ট হোল্ডারের ছবি, ইন্ট্রোডিউসার সত্যায়িত করে দেবন।
২. নমিনীর ছবি, সত্যায়িত করা একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক।
৩. ইন্ট্রোডিউসার।
৪. ভোটার আইডি কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা)। অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র
৫.মেথড অব অপারেশন ( জয়েন্ট সিগনেচার রিকোয়ার্ড অথবা ক্যান বি অপারেটেড বাই এনি ওয়ান)

প্রপ্রাইটরশিপ ফার্ম: : ১. একাউন্ট হোল্ডারের ছবি, ইন্ট্রোডিউসার সত্যায়িত করে দেবন।
২. নমিনীর ছবি, সত্যায়িত করা একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক।
৩. ইন্ট্রোডিউসার।
৪. ভোটার আইডি কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা)। অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র।
৫. ট্রেড লাইস্যান্সের ফটোকপি (অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত)
৬. প্রোপাইটরশিপ সিল।

পার্টনারশিপ ফার্ম: : ১. একাউন্ট হোল্ডারের ছবি, ইন্ট্রোডিউসার সত্যায়িত করে দেবন।
২. নমিনীর ছবি, সত্যায়িত করা একাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক।
৩. ইন্ট্রোডিউসার।
৪. প্রত্যেক পরিচালকের ভোটার আইডি কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা)। অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র।
৫. মেথড অব অপারেশন ( কার বা কাদের সিগনেচারে একাউন্টটি পরিচালিত হবে)
৬. পার্টনারশিপ ডিডের সার্টিফাইড কপি। যাতে পার্টনারদের সিগনেচার থাকবে।


ট্রাস্ট: : ১. একাউন্ট হোল্ডারের ছবি, ইন্ট্রোডিউসার সত্যায়িত করে দেবন।
২. ইন্ট্রোডিউসার।
৩. একাউন্ট পরিচালকদের ভোটার আইডি কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা)। অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র।
৪. মেথড অব অপারেশন ( জয়েন্ট সিগনেচার রিকয়ার্ড অথবা ক্যান বি অপারেটেড বাই এনি ওয়ান)
৫. ডিড অব ট্রাস্টের সার্টিফাইড কপি।
৬. রেজুলেশনের সার্টিফাইড কপি। একটি রেজুলেশনে মূলতঃ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ লেখা থাকে। এখানে লেখা থাকবে প্রতিষ্ঠানটি একটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেকোন ব্যাংকে একাউন্ট খোলা হবে এবং একাউন্টটি কার দ্বারা পরিচালিত হবে।
৭. যারা একাউন্ট পরিচালনা করবেন তাদের ডেজিগনেশন উল্লেখ করে সিল।


ক্লাব সোসাইটি স্কুল কলেজ: ১. একাউন্ট হোল্ডারের ছবি, ইন্ট্রোডিউসার সত্যায়িত করে দেবন।
২. ইন্ট্রোডিউসার।
৩. ভোটার আইডি কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা) অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র।
৪.বাই লজ ও রেগুলেশন বা কন্সটিটিউশনের সার্টিফাইড কপি।
৫. রেজুলেশনের সার্টিফাইড কপি( চেয়ারম্যন বা সেক্রেটারী সত্যায়িত করে দেবেন।)
৬. কর্মকতাদের নামের তালিকা।
৭. যারা একাউন্ট পরিচালনা করবেন তাদের ডেজিগনেশন উল্লেখ করে সিল।
৮. মেথড অব অপারেশন ( কার বা কাদের সিগনেচারে একাউন্টটি পরিচালিত হবে)


প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী: ১. একাউন্ট হোল্ডারের ছবি, ইন্ট্রোডিউসার সত্যায়িত করে দেবন।
২. ইন্ট্রোডিউসার।
৩. একাউন্ট পরিচালনাকারীদের ভোটার আইড কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা)। অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র
৪. আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন এর সার্টিফাইড কপি। (এম ডি বা চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত)
আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন হল একটি কোম্পানীর সংবিধান স্বরূপ। এটি নির্ধারন করে দেয়, একটি কোম্পানীর উদ্দেশ্য কি হবে এবং কোম্পানীটি কিবভাবে কাজ করবে এবং ডিরেক্টরদের নিয়োগ কি প্রকারে হবে এবং কোম্পানীর অর্থনৈতিক বিষয়াদি কিভাবে পরিচালনা করা হবে।
৫. মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশনের সার্টিফাইড কপি। (এম.ডি বা চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত)। এটিও কোম্পানীর সংবিধানের একটি অংশ। এতে কোম্পানীর সাথে বাইরের অন্যান্যদের সম্পর্ক কিভাবে হবে তা নিরূপণ করে থাকে । এতে থাকে কোম্পানীর নাম, শেয়ারহোল্ডারদের নাম ও শেয়ারের সংখ্যা, অফিসের ঠিকানা এবং কোম্পানী কি ধরনের চুক্তিতে আবদ্ধ হবে তা।
৬. সার্টিফিকেট অব ইনকোর্পরেশন। এটি একটি কোমপানীর জন্মসনদ। এখানে কোম্পানীর আইন সম্মত নাম এবং ইনকোরপোরেশনের তারিখ লেখা খাকে। এটি আর.জে.এস.সি ইস্যু করে থাকে।
৭. রেজুলেশনের সার্টিফাইড কপি( চেয়ারম্যন বা সেক্রেটারী সত্যায়িত করে দেবেন।
৮. সিগনেচারসহ ডিরেক্টরদের নামের তালিকা (কোম্পানীর লেটার হেড পেডে)
৯. ট্রেড লাইসেন্সের সত্যায়িত কপি।
১০. যারা একাউন্ট পরিচালনা করবেন তাদের ডেজিগনেশন উল্লেখ করে সিল।


পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী: প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে যেসব ডকুমেন্ট লাগে এখানেও তাই লাগবে। অতিরিক্ত যা লাগবে তা হল, সার্টিফিকেট অব কমেন্সমেন্ট অব বিজনেস এর সার্টিফইড কপি।


মাইনর একাউন্ট: কোন কারণবশত যদি মাইনরের নামে একাউন্ট করতে হয় তবে প্রাপ্তবয়ষ্ক কোন গার্ডিয়ান সেটা পরিচালনা করবেন একাউন্ট হেল্ডার সাবালক হওয়া পর্যমত্ম।
১. যিনি একাউন্ট পরিচালনা করবেন তার দুই কপি ছবি।
২. ইন্ট্রোডাকশন।
৩. একাউন্ট পরিচালনাকারীর ভোটার আইড কার্ডের (ব্যাংক অফিসার দ্বারা সত্যায়িত) ফটোকপি। অথবা পাসপোর্ট (প্রথম সাত পৃষ্ঠা) অভাবে অন্য কোন গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র
৪. মাইনরের জন্মনিবন্ধনপত্র।
এক্ষেত্রে মাইনর এবং একাউন্ট পরিচালনাকারী উভয়ের তথ্যাদি সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রথম দিনে আনোয়ার সাহেবের কাছে থেকে অনেকটাই জানা গেল যার অনেককিছুই আমি জানতাম না। বাকিটার জন্য আগামী মর্নিং ওয়াক পর্যন্ত অপেক্ষা আমাদের করতেই হচ্ছে।

বি.দ্র: কোন ভুল ভ্রান্তি চোখে পড়লে নিঃসংকোচে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×