somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোবাইল বিভীষীকা কি এভাবেই আমাদের তরুন প্রজন্মকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিবে.....আমাদের কি কিছুই করার নেই?? প্লিজ লেখাটা একটু পড়ুন এবং মতামত দিন।

১৮ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"রোহান, চট্টগ্রামের সবার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র। হ্যান্ডসাম এবং পারিবারিকভাবে ভাল পরিবেশ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর অন্তভুক্ত। ক্লাস এইটে ট্যালন্টপুলে বৃত্তিও পায় সে। বাবা আমেরিকায় থাকে। ৩ মাস ধরে হটাৎ তার আচরনে বাজে পরিবর্তন আসে। কি যেন সে লুকাতে চাই সবার কাছ থেকে। পড়ালেখায় মনযোগ যেন হারিয়েই ফেলে। তার মা তার চাচাকে জানাই ব্যাপারটা। চাচা স্কুলে গেল শিক্ষকদের সাথে ব্যাপারটা আলোচনা করতে। গিয়ে চাচা হতবাক, গত ৩ মাসে সে মাত্র ক্লাস করেছে ১২ দিন। চাচা বাসায় ফিরলো, তার মাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে মা বলে সে নিয়মিত টাকা নিয়ে স্কুলে ক্লাস করতে গিয়েছে। চাচা রোহানকে জিজ্ঞাসা করলে সে মুখ খোলেনা। এলাকায় যাদের সাথে সে চলাফেরা করে তাদের থেকে তার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারাও মুখ খোলেনি। যাহোক পরে চাচা তার মাক জিজ্ঞাসা করে সে মোবাইল ইউজ করে কিনা?? তার মা জানায় না, তবে মাঝে মাঝে মায়ের মোবাইল ইউজ করে। পরের দিন থেকে চাচা রোহানকে স্কুলে নিয়ে যায়। কিন্তু সে টিফিন পিরিয়ডের পরে পালিয়ে যায়। চাচা কি মনে করে টিফিন পিরিয়ডে আবার স্কুলে গিয়ে তাকে না পেয়ে প্রচন্ড রাগ করে বাসায় ফিরে। বাসায় এসে তাকে প্রচন্ড মারধর করে তার পকেটে থেকে তার পারসোনাল মোবাইল (যেটা সে লুকিয়ে ইউজ করতো) উদ্ধার করে। তারপরেই তার পড়ালেখা এবং খিটখিটে মেজাজের আসল কারন বের হয়ে আসতে থাকে। যখন তার থেকে মোবাইল উদ্ধার করা হয় ঠিক তখনই একটা মেসেজ আসে..... "ei tomi amar massage er reply dissona keno?? ajib ta...... এরপর চাচা কৌশল করে তাকে(মেসেজ সেন্ডারককে) এসএমএস করে...... o sorry, ashole ekto bz cilam...ar amar Balance ses.... plz ekta call dao ta...important kotha ase... সাথে সাথে কল আসে ওপার থেকে, চাচা কথা না বলে চুপ করে থাকে। ওপার থেকে এক মেয়ের কন্ঠে ভেসে আসে "হ্যালো, হ্যা বলো কি জরুরী কথা? হ্যালো হ্যালো.....এই তুমি কথা বলোনা কেন?? হ্যালো কি হয়ছে তোমার?? কথা বলো..প্লিজ প্লিজ। ধ্যাত...... এরপর মেয়েটি লাইনটা কেটে দেয়। চাচা পুরা কথাটি রেকর্ড করে রাখে। এরপর চাচার আর বুঝতে বাকি রইলোনা যে রোহানের মাথা এই মেয়েই খেয়েছে। পরে চাচা মেয়েটির পরিচয় উদগাটন করে কিছুটা সারপ্রাইজ এবং আশ্চর্য হয়। কারন মেয়েটা পড়ে দশম শ্রেনীতে এবং এই মেয়ে আরেক ছেলের সাথে কিছুদিন আগে প্রেম করতে গিয়ে এলাকায় এক দাড়োয়ান এর হাতে ধরা পড়ে। পড়ে চাচা জানতে পারে মেয়েটার নাম সায়মা, পড়ে চট্টগ্রামর মেয়েদের নামকরা প্রতিষ্ঠান বাওয়া স্কুলে এবং যেই ছেলেটার সাথে তার সম্পর্ক ছিল মুলত তাকে দিয়েই সে রোহানের সাথে গোপনে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ঐ ছেলে এটা জানতে পেরে রোহানের সাথে কথা কাটাকাটিও হয়। যাহোক চাচা রোহানকে মেয়েটার সকল ব্যাপার নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে এবং মেয়েটার সব অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে অবগত করে। রোহান নিজ ভুল বুঝতে পারে এবং ক্ষমা ছেয়ে ঠিক হয়ে যাবে বলে প্রতিজ্ঞা করে। ঐদিকে চাচা ব্যাপারটা মেয়েটার ফ্যামিলিকে জানালে মেয়েটার ফ্যামিলি তাদের মেয়েকে ভাল বলে এসব মিথ্যা বলে রোহানের চাচাকে অপমান করলে রোহানের চাচা মেয়েটার রেকর্ড করা কথা শুনালে মেয়েটার পরিবার এরপরেও বলে আপনাদের ছেলেই আগে হয়তো আমাদের মেয়েকে বিরক্ত করতো , তাই হয়তো সে কথা বলেছে ওর সাথে। যাহোক রোহানের চাচা মেয়েটার পরিবাররে মনোভাব বুঝতে পেরে বলে আসে যাহোক আপনাদের মেয়েই ভাল, আমার ভাতিজা খারাপ। তবে ভবিষ্যতে আপনাদর মেয়ের দিক হতে যাতে রোহানের সাথে কোন যোগাযোগের চেষ্ট্রা করা না হয় এবং আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি আমার ভাতিজার পক্ষ থেকে কোন যোগাযোগ করা হবেনা। রোহানের অবষ্থা আপাতত ভালই মনে হচ্ছে, তবে তার চাচা জানতে পেরেছে মেয়েটি এখনো রোহানকে কনভিন্স করার ট্রাই করছে।"

এটা সত্য ঘটনা বং খুবই সম্প্রতিই হয়েছে। ঘটনা বিশ্লেষন করলে দেখা যায় মোবাইলই যোগাযোগের উৎস এবং নষ্টের মুলে। সাথে রয়েছে দুই পরিবারে দুই রকম সমস্যার। রোহানের পরিবার তার প্রতি নজর না দেয়ায় সে এতদুর যেতে পেরেছে আর মেয়েটার পরিবার থেকে মোটামোটি মেয়েটাকে ব্যাকাপ দেয়ায় হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো ক্লাস ৯-১০ বা স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েকে কেন মোবাইলের মত ভয়ংকর অস্র তুলে দেয়া হবে??? যার ফলাফল খারাপ বৈ ভাল নয়???







৩৮টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×