চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫-এর সংখ্যা। বোর্ডে এবার পাসের হার ৭২ দশমিক ৬২ শতাংশ—যা গতবারের চেয়ে ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম। জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৬১৮ জন। ২০০৯ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার ৪৩ হাজার ৩০৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৩১ হাজার ২২৪ জন। বহিষ্কার হন ২৯ জন। এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে শতভাগ পাস এবং জিপিএর-৫-এর দিক বিবেচনায় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ প্রথম হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার পাসের হার বেশি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে, যা ৭৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। সবচেয়ে কম মানবিকে ৬১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার আট হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ছয় হাজার ৩৭৯ জন। এ বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ১৯৩ জন। মানবিক বিভাগে ১৩ হাজার ৩৫৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন আট হাজার ২৬০ জন। ৪৫ জন পেয়েছেন জিপিএ-৫। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২০ হাজার ৯৩১ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১৬ হাজার ৫৮৫ জন। এর মধ্যে ৩৮০ জন পেয়েছেন জিপিএ-৫।
বরাবরের মতো এবারও চট্টগ্রামের শহর এলাকার চেয়ে গ্রামের কলেজগুলোয় পাসের হার কম। শহর এলাকার কলেজে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮২। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পীযূষ দত্ত বলেন, গ্রামের কলেজগুলোয় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর হার কমায় এর প্রভাব পড়েছে পুরো ফলাফলে। গতবারের চেয়ে সামগ্রিক ফলাফলে পাসের হার কমেছে। অথচ শহর এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাসের হার গত বছরের চেয়ে বেড়েছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮২, মহানগর বাদে ৬৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জেলাভিত্তিক পাসের হারে এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম। জেলায় পাসের হার ৭৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে পাসের হার যথাক্রমে ৭২ দশমিক ৭৪, ৬১ দশমিক ৬৮, ৬০ দশমিক ২০ ও ৫৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।