somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: রূপা চাকমার গান

১৫ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই যে শুনছেন।
পিছন থেকে কিশোর কন্ঠ শুনে ঘুরে দাঁড়াল অরূপ । তখন প্রান্তিক হ্রদের চার ধারের পাহাড়ে সূর্য অস্ত যাচ্ছিল।
অরূপ পিছন ফিরে তাকাতেই চোখে পড়ল ১৪/১৫ বছর বয়েসি এক কিশোরের হলদে মুখে বেলা শেষের রক্তিম আভা ছড়িয়ে আছে। দূরের বৌদ্ধমন্দির থেকে ঘন্টা ধ্বনি ভেসে আসল। কিশোর ছেলেটিকে চাকমা বলেই মনে হল। ছেলেটি বলল, এই যে -আমার দিদি আপনাকে ডাকছে।
কে তোমার দিদি? অরূপ রীতিমতো বিস্মিত হয়ে যেতে থাকে।
কিশোর হাত তুলে দেখাল, ঐ যে।
কাছেই একটি দীর্ঘ ইউক্যালিপটাস গাছের নিচে লাল রঙের সারং পরা একজন চাকমা তরুণী কে নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অরূপ অবাক হয়ে যায়।
ক’দিন হল বান্দরবানের এই সব প্রত্যন্ত পাহাড়িয়া এলাকায় একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটছে অনেককিছুই ...ওর মনে হল ইউক্যালিপটাস গাছের নিচে ওই নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা চাকমা মেয়েটি ওকে এক বিস্ময়ের জগতে নিয়ে যাবে ...
অরূপ এগিয়ে যায়।
এগিয়ে যেতেই মেয়েটি বলল, নমস্কার দাদা, আমি রূপা চাকমা।
আমি অরূপ হায়দার। অরূপ বলল। ঘিয়ে রঙের অদ্ভূত সুন্দর মুখোশ্রী রূপা চাকমার। নিভৃতচারী বনবালার মতন স্নিগ্ধ রূপ । অনেকটা সুন্দরী থাই এয়ারলাইন্সের এয়ারহোস্টেসেদের মতন ।
ঘুরতে এসেছেন বুঝি? প্রশ্নের সঙ্গে হাসির ঝিলিক। অরূপ অভিভূত হয়ে যায়।
হ্যাঁ।
আমাদের এই সব প্রত্যন্ত পাহাড়িয়া এলাকার নির্জনতা আর রইল না।
অরূপ কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইল: কেন- অচেনা আগন্তকের পদচারনায় পাহাড়িয়া এলাকার নির্জনতা ভেঙে গেলে আপনার কোনও আপত্তি আছে?
না, না। আপত্তি কী সের। রূপা চাকমা সপ্রতিভ হয়ে উঠতে চায়। বলে, আমাদের নিরিবিলি সবুজ উঠানে পৃথিবীর সব মানুষ আসুক, আমাদের নিভৃত প্রাঙ্গন ভরে উঠুক প্রাণের মেলায় ... এই আমার প্রার্থনা।
আপনি কিন্তু বেশ ভালো বাংলা বলেন ।
তাই? রূপা চাকমা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।
হ্যাঁ। অরূপ মাথা ঝাঁকাল।
রূপা চাকমা হাত তুলে দূরের সেই কিশোরকে দেখিয়ে বলল, ও আমার ভাই, ওর নাম অঢং।
ও।
একবার আমাদের বাড়ি এলে খুশি হব কিন্তু।
আপনাদের বাড়ি কি কাছে?
দূরে হলেই কি? বলে সুন্দরী চাকমা মেয়েটি হাসি চাপতে মুখে আঙুল চাপা দিল।
অরূপ থতমত খেলেও নিশ্চিন্ত হল। কেননা, তখন প্রান্তিক হ্রদের আশেপাশে সূর্যটা অস্তমিত হয়ে আসছিল। আর জাত ভবঘুরের দিনের বেলাটি নিশ্চিন্তে কাটলেও -রাত্রিতে কোথাও না কোথাও ঠাঁই নেওয়ার কথা ভাবতেই হয়।
আপনার আতিথ্য আমি বরণ করলাম। অরূপ হেসে বলল।
ইউক্যালিপটাস গাছের পাশ দিয়ে লাল মাটির চড়াই-পথ।
ওরা পাশাপাশি উঠতে থাকে।
ইউক্যালিপটাস গাছের ডালপালার ফাঁকে চৈত্রের পূর্ণ বয়স্ক চাঁদ উঁকি দেয়।
হঠাৎই রূপা চাকমা গম্ভীর কন্ঠে বলল, খুঁজলে ওই ইউক্যালিপটাস গাছের গুঁড়িতে পাবেন বুলেটের দাগ।
অরূপ চমকে ওঠে। ওর রাজনীতির আলোচনা ভালো লাগে না।
রূপা চাকমাদের বাড়িটা টিলার ওপর। বাড়ি মানে বাঁশের টং ঘর। কাছেই কোথাও একটি পাহাড়ি ঝোরা বয়ে যাচ্ছে। পানির গড়িয়ে যাওয়ার ক্ষীণ ঝিরঝির শব্দ কানে এল। এখানে দাঁড়ালে প্রান্তিক হ্রদের অনেকটা চোখে পড়ে।
বাঁশের সিঁড়ির ধাপে পা দিয়ে রূপা চাকমা বলল, জানেন, আমি কিন্তু ঢাকায় ছিলাম।
তাই?
হ্যাঁ।
কলাবাগানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম।
ও।
বাঁশের টং -ঘরটির বারান্দাটি ছোট হলেও ছিমছাম। চাঁদ উঠেছে। জোছনা ফুটছে। প্রান্তিক হ্রদের দিক থেকে সুমধুর বাতাস বয়ে আসছে। আমি এখানেই বসি। অরূপ বলল।
হ্যাঁ, হ্যাঁ, বসুন। বলে ভিতরে চলে যায় মেয়েটি। হয়তো আরও সুন্দর করে সেজে আসবে। আজ মেয়েটির নারীজন্ম সার্থক হল। আজ সুদর্শন অতিথি এল ঘরে ।
অরূপ পা ছড়িয়ে বাঁশের বেড়ায় হেলান দিয়ে বসল। অঢং গেল কই? ওর কিশোর বয়েস, হয়তো হ্রদের পাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতক্ষণে স্বস্তি লাগছে অরূপের। অরূপ ঢাকায় একটা পত্রিকা অফিসে চাকরি করে; পত্রিকাটির সুনাম থাকলেও পেমেন্ট ভালো না, এ নিয়ে সংসারে অশান্তি ... ওর বউ রুমানা আলটিমেটাম দিয়েছে ...এক দলা বিষাদ সঙ্গে করে পাহাড়ে পালিয়ে এসেছে অরূপ... প্রান্তিক হ্রদের কথা ওর এক ডাক্তার বন্ধুর কাছে শুনেছে ...ক’দিন ধরে একা একাই ঘুরছে ... অবচেতন মনে ভীষণ বিপদে পড়তে চাইছে ...যেন মধ্যরাত্রির অন্ধকার চিড়ে বুনো শূকরের দল ওর আঠাশ বছরের শরীরটি ছিঁড়ে খুঁড়ে খাক ...কিংবা, যেসব শান্তিবাহিনীর সদস্য আজও অস্ত্র জমা দেয়নি তারা স্টেনের ব্রাশ ফায়ারে এই ক্ষয়ে যাওয়া বুকের পাঁজরখানি ঝাঁঝরা করে দিক ...অথচ ... অথচ কী সহজে মায়াবী এক বনবালার আতিথ্য পেয়ে গেলাম ... জীবনানন্দের কবিতার সেই রহস্যময় চরণটি মনে এল অরূপের-

এ জীবন যেন এক হংসীর মতন ...

কী এর মানে!
সিগারেট ধরাতে ইচ্ছে হল। ধরালো না। টিলার ওধারে কারা যেন আগুন জ্বেলেছে। চৈত্রের রাতের বাতাসে পোড়া কাঠের গন্ধ ভাসছে । অনেকটা বার্মিজ চুরুটের গন্ধ যেন। জোছনার আলোর বিপরীতে অন্ধকারও ফুটে উঠছে পাহাড়ের ঢালে। দূরে প্রান্তিক হ্রদের রূপালি জলের বিস্তার যেন সে জল ফুঁড়ে উঠে আসবে অতিকায় রূপা বর্ণের চিতল।
রূপা চাকমা ফিরল।
বুনো ফুলের গন্ধ নিবিড় হয়ে উঠল।
আমি কিন্তু দাদা রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারি।
তাই নাকি! (আমি কি স্বপ্ন দেখছি? বাস্তবে এমনও হয়? তীব্র হতাশায় আক্রান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল প্রান্তিক হ্রদের কিনারে ...বিকেল কখন শেষ হয়ে এল। ঢাকায় ফিরে যাবে কিনা ভাবছিল ...ঠিক তখনই ... এই যে শুনছেন।
পিছন থেকে কিশোর কন্ঠ শুনে অরূপ ঘুরে দাঁড়াল। তখন প্রান্তিক হ্রদের ওপারের পাহাড়ে সূর্য অস্ত যাচ্ছিল ...)
রূপা চাকমা বলল, আপনাকে দেখে কবি বলে মনে হয়।
হুমম।
তা হলে নিন। বলে রূপা চাকমা একটি বোতল বাড়িয়ে দিল।
কি?
দোচোয়ানি। আমার বড়দার ... আগে খাননি?
ওঃ। হ্যাঁ, আগে খেয়েছি। তবে গন্ধটা কড়া।
রূপা চাকমা হাসল। বলল, বুনো জিনিস তো। তা দাদা আমি যখন ঢাকায় ছিলাম তখন রবীন্দ্রসংগীত শিখেছি।
কার কাছে?
আমার এক দিদির বর, সেই দীপু ভাই য়ের কাছে। আমার সেই দিদির বাড়ি রাঙামাটি। দিদি ঢাকায় আর্ট কলেছে পড়ত। দীপু ভাইও পড়ত। দিদি ভালোবেসে দীপু ভাই কে বিয়ে করল । ওরা এখন ঢাকার কলাবাগানে থাকে। গেল বছর আমি ওদের ওখান থেকে বেড়িয়ে এলাম। দীপু ভাই চমৎকার রবীন্দ্রসংগীত গায়। রবীন্দ্রসংগীত শুনে এত ভালো লাগল যে কী বলব। তারপর দীপু ভাই য়ের কাছে শিখলাম।
শুনব।
অবশ্যই শোনাব। সে জন্যই তো আপনাকে ডেকে আনলাম।
কথাটা ভালো লাগল অরূপের। জিগ্যেস করল, তা অঢং গেল কই?
ঝর্না পাড়ে। রূপা চাকমা বলল। আজ চৈত্র পূর্ণিমা। আজ রাতের আলো অনেক স্বচ্ছ হবে। অঢং ওর বন্ধুদের সঙ্গে মাঝরাত অবধি থাকবে ঝর্না পাড়ে ।
ও। এরা কি সুখি! শহরে থাকলে টিভি দেখতে বসত। রুমানা এখন কি করছে? সম্ভবত টিভি দেখছে। বিয়ের আগে রুমানা কত নরম ছিল মধুর ছিল বিয়ের পর পালটে গেল-কেন? হোমইকোনমিক্সে পড়ত, অরূপ রাত জেগে ওর টিউটোরিয়াল করে দিত ...ঢাকা ছাড়ার আগে রুমানার জ্বর ছিল, এ সময়ে জ্বর ...
রূপা চাকমা বলল, আমার মায়ের জ্বর। নৈলে মা আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসত। রূপা চাকমার কন্ঠে বিষন্নতা ঝরে ঝরে পড়ে।
ওহ্। অরূপ কী রকম কষ্ট টের পায়। রুমানার সঙ্গে অরূপের মায়ে অ্যাডজাস্ট হয়নি। মা এখন দেশের বাড়ি কষ্টেসৃষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এত কষ্ট ... এত কষ্ট ...জীবনে এত কষ্ট কেন ...অথচ এই চৈত্রের রাত্রিখানি কী সুন্দর ...
আর আমার বাবা গেছে প্রান্তিক হ্রদে মাছ ধরতে। রূপা চাকমা বলল। আমার বাবার আবার মাছ ধরার খুব শখ।
ও।
আজ রাতে চাঁদের আলো নির্মল থাকবে। জলের নিচে মাছের কালচে পিঠ পরিস্কার দেখা যাবে। শোনা যায় চৈত্র পূর্ণিমার রাত্তিরে হ্রদের অতল তলদেশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে উঠে আসে অতিকায় মহাচিতল। কেবল সুযোগ্য মৎস্যশিকারী তা টের পায়। আমার বাবা দক্ষ জলশিকারী, মহাচিতলের ঝাঁক সহজে বাবার নৌকটি উল্টিয়ে ফেলতে পারবে না। রূপোলি রঙের মহাচিতলের সন্ধান তিনি ঠিকই পাবেন।
ওহ্।
টং ঘরে বারান্দায় নীরবতা জমে উঠল।
একটু পর অরূপ জিগ্যেস করে, তা কী গান শোনাবে আমায়?
আমার সবচে ভালো লাগা গানইি শোনাব।
কোন্টি?
রূপা চাকমা গাইতে লাগল:

দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে
আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে।।

গান শেষ হল।
অরূপ কোন্ মগ্ন চোরাস্রোতের টানে কোন্ সুদূরে ভেসে যেতে থাকে। চৈত্রের রাতের বাতাসে পোড়া কাঠের গন্ধ ভারী হয়ে ওঠে। যে পোড়া কাঠের গন্ধ অনেকটা বার্মিজ চুরুটের গন্ধের মতো। সে দূরে তাকিয়ে দেখল ... জোছনার আলোর বিপরীতে অন্ধকারও ফুটে উঠছে পাহাড়ের ঢালে। সেই সঙ্গে প্রান্তিক হ্রদের দিক থেকে বাতাস বয়ে আসে। সে হ্রদের রূপালি জলের বিস্তার যেন সে জল ফুঁড়ে উঠে আসবে একটি অতিকায় রূপাবর্ণের চিতল। রূপা চাকমার শরীরের বুনো ফুলের গন্ধ নিবিড় হয়ে উঠল।
অরূপের ঘোর লাগে।
...আজ এ মুহূর্তে সে বুঝতে পারল রবীন্দ্রনাথকে কেন বিশ্বকবি- রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি এই জন্য নন যে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কবি বরং রবীন্দ্রনাথ এই জন্য বিশ্বকবি যে তিনি বিশ্বের কবি, বিশ্বের সবার কবি, তিনি যদ্দিন বেঁচে ছিলেন বিশ্বকে নিয়েই বেঁচেছিলেন। রবীন্দ্র জগতের বাইরেও রবীন্দ্রনাথকে মানায়। এই বনপাহাড়ের বৌদ্ধ-চাকমা আবহে কাঠপোড়া গন্ধের ভিতরে দোচোয়ানির মৃদু নেশায় রূপা চাকমার কবোষ্ণ সান্নিধ্যে রবীন্দ্রনাথ মোটেও বেমানান নন-এই জন্যেই রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি।
অরূপ একটি নিবন্ধ লেখার তাগিদ অনুভব করে।
রূপা চাকমা আবার গাইতে লাগল:

ও বঁধু, কোন্ আলো লাগল চোখে !
বুঝি দীপ্তিরূপে ছিলে সূর্যলোকে !

অরূপ চমকে ওঠে।
এই গানটি ওর ভীষণ প্রিয় ... গলায় দোচোয়ানি ঢালে অরূপ। কাল ভোরে আবার নরকের উদ্দেশে রওনা হতে হবে; নরক-ঢাকায় ফিরতে হবে। তবে ভিতরে সামান্যতম হতাশাও টের পেল না ও। আশ্চর্য! সন্তানসম্ভাবা রুমানা ওর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চাইছে।
অরূপ এখন জানে রুমানা ওর জীবন থেকে হারিয়ে যাবে না ...
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
৩০টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×