ছোট ছোট ভাবনা ,ছোট ছোট স্বপ্ন আর ছোট ছোট কাজের সমষ্টিই জীবন।আর প্রতিটি চিন্তা,প্রতিটি স্বপ্ন প্রভাবিত করে জীবনকে। মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দেখে।স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। স্বপ্ন সাধারণত দুই রকমের হয়। যার একটি হলো স্বাভাবিক স্বপ্ন, যা আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখি, যে স্বপ্নের কোন মানেই থাকে না । আর অনেকে সেই স্বপ্ন মনেও রাখেন না। আরেক ধরনের স্বপ্ন আছে যা স্বপ্ন বা মনছবি অথবা আমরা বলতে পারি জীবন ছবি।আর এটা হলো বড় হওয়ার স্বপ্ন,জীবনে একটা কিছু করার স্বপ্ন। এ রকমের স্বপ্নই আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন:-ডাক্তার ,লেখক,ব্যবসায়ী,গায়ক,নায়ক,শিক্ষক ইত্যাদি হওয়ার স্বপ্ন ।
মানুষ তার আশার সমান সুন্দর ও বিশ্বাসের সমান বড় হতে পারে। প্রত্যেকের হৃদয়ে একজন মানুষ বসবাস করে। সে কথা বলে, আত্মনিমগ্ন হয়ে কান পাতলে তার কথা শোনা যায়। সে যা বলে ঠিক সে অনুযায়ী কাজ করলেই জীবনে সফল হওয়া যায়,বড় কিছু করা যায়। কারণ সেখানে আমি বা আপনি সম্পূর্ণ একা। আপনার বা আমার বাবা-মা, ভাই-বোন,বন্ধু-বান্ধব কেউ নেই।একেবারে রাজার মত একা। রাজা নিঃসঙ্গ, কারণ একই সিংহাসনে একসাথে দুইজন বসতে পারেন না। দুই হাজার মাইল হিমালয় পর্বতমালায় হয়তো কোটি কোটি লোকের জায়গা হতে পারে।কিন্তু শৃঙ্গের সর্বোচ্চ শিখরে দুইজন লোক এক সাথে আরোহণ করতে পারে না।একজনকে আগে উঠতে হয়। এজন্য তেনজিং এবং হিলারি এক সাথে শিখরে আরোহণ করতে পারেননি। তেনজিং আগে উঠার কারণে সর্বপ্রথম এভারেষ্ট শৃঙ্গ আরোহণকারী হিসেবে একনাম্বারে তেনজিং এর নাম চলে এসেছে।
বাইবেলে আছে টপ অব দ্যা হিলে যেতে হয় একা। আসলেই তাই।যে মানুষ প্রতিকুলতা এড়িয়ে একাকী চলতে শুরু করে সে-ই পথ পেয়ে যায়,সে-ই এগিয়ে যায়। তার কথাই ইতিহাসে লেখা থাকে।
পূর্বে প্রকাশিত
সম্পূর্ণ অংশ পড়তে-মানুষ বড় হয় তার স্বপ্নের সমান