somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কথা-৩৯

১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলছে.....

এরকম চলছে কথা মাঝে মাঝে
হাসান বললো আমাকে সবাই হাসু নামে ডাকে.
তুমিও হাসু বলে ডেকো
হাসু বলেই ডাকতাম আমি,
হাসু আমাকে একদিন জিজ্ঞেস করলো তুমি দেখতে কেমন?
আমি বললাম দেখতে মোটামুটি, গালে একটা তিল আছে আর লম্বায় ৫’২”।
আমার কথাতো জানলে তুমি দেখতে কেমন বলো?
উজ্জল শ্যামলা দেখতে মোটমুটি লম্বা ৬’ ২”।
এতো লম্বা তুমি, তুমিতো অমিতাভ বচ্চন?
হাসলো ও।
হাসু গান গায় গীটার বাজায়। অনেক মজার মজার গল্প করে।
আস্তে আস্তে হাসুর সাথে আমার একটা ফ্রেন্ডশীপ তৈরি হয়ে গেলো।
রানা সেটা বুঝতে পারলো এর পর থেকে সে একেকদিন একেক ছেলের সাথে কথার জন্য জোর করতে লাগলো।
তবে হাসুর সাথেও কথা হতো খুব কম। আমার কাছে নাম্বার নাই তাই রানা ফোন করলেই ওর সাথে কথা হতো।

রানা হঠাৎ একদিন আমাকে বললো হাসুর সাথে অন্যরকম কথা মানে সেক্সুয়াল কথা বলতে, আমার মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পরলো, এটা কি করে সম্ভব, স্বামী তার বউকে বলছে অন্য ছেলের সাথে এইরকম কথা বলতে?
এ কোথায় আছি আমি, এ কি জীবন পেলাম আমি, আমার স্বপ্ন হারিয়ে যাবে চীরতরে। তাইতো যাচ্ছে!
যদি আমার ভালোলাগা থাকতো তবে অন্য কথা কিন্তু কিছুতেই মানতে পারলাম না আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা ছেলের সাথে...
না.না. এটা কি করে সম্ভব আমি ভাবতে পারছি না কিছুতেই মানতে পারছি না।
প্রচন্ডভাবে না করলাম, আমি পারবো না কিছুতেই না। আমাকে মেরে ফেলো, আমি মরতে চাই তবু না। তোমার মত একজন মানুষকে আমি কি করে ভালোবাসলাম সেটাই ভাবছি!
রানা খুব রেগে গেলো আমি যে তোমাকে বিয়ে করেছি সেটা তোমার ভাগ্য,
সেটা মনে করার কোন কারণ নাই, তুমি আমাকে বিয়ে না করলে আমি বেঁচে যেতাম।
এই রকম নানা বাগ বিতন্ড চলতে থাকলো, ঝগড়ার বর্ণনা দিয়ে লাভ নাই, ঝগড়া হয়েছিলো এটাই বড় কথা সব কথা এখন মনেও নাই ঝগড়ার সময় কত কথাই হয়।
রানা ঝগড়ার কোনো এক পর্যায়ে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো তার মাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসলো।
আমি অবাক উনি এসে কিছু না জেনে আমাকে নানা কথা বলতে শুরু করলো গালাগালি করতে থাকলো এভাবে থাকতে পারলে থাকবে তা না হলে চলে যাবে-
সেদিন প্রথম রানার মায়ের সাথে উঁচু গলায় কথা বললাম -আপনি কেনো আমাদের কথার মধ্যে এসেছেন, এটা স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার তাছাড়া বিয়ে করার সময় আপনার ছেলে কি আপনাকে জিজ্ঞেস করে বিয়ে করেছিলো যে এখন ছাড়বে কিনা সেটা আপনার কাছে জানতে হবে। প্লিজ আপনি যান।
তারপর সারা রাত চললো ঝগড়া আর কান্না। অসহ্য হয়ে উঠলো জীবন আমার।
চলতে থাকলো প্রতি রাতে মানসিক নির্যাতন ছেলেদের সাথে বাজে কথা বলার জন্য। কিন্তু আমি রাজি হচ্ছি না আর তখনই শুরু হয়ে যাচ্ছে ঝগড়া। ঘুম নেই সুখ নেই ভালোবাসা নেই নিঃস্পৃহ জীবন।
প্রতিটি মূহুর্তে চলতো নিজের সাথে দ্বন্দ, নিজেকে অনুভুতিহীন একটা মাটির মানুষে পরিণত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকলাম,
জীবনের ভালোলাগাগুলো মুছে ফেলতে চাইলাম, জীবন চালাতে হবে তাই চালাচ্ছি এমন একটা অনুভূতি চলে আসলো ভিতরে। আমার সব চাওয়া আর স্বপ্নগুলো ঘুম পারিয়ে রাখলাম সোনার কাঠি আর রূপার কাঠি দিয়ে এই রাক্ষসপুরীতে।

চারুকলায় গেলে একটু মন ভালো হতো কিছুক্ষণের জন্য ভুলে যেতাম আমার কষ্টের কথাগুলো।
খোলা আকাশের নিচে কিছুক্ষণ প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতাম, আবার কিছুক্ষণ পরেইতো ঢুকতে হবে সেই রাক্ষসপুরীতে। আমার স্বপ্নের রাজকুমারকে খুঁজতে যেয়ে শেষে কিনা রাক্ষসপুরীতে আটকে গেলাম। এমনতো হওয়ার কথা ছিলো না। তবুতো এমনই হলো।
প্রচন্ড সুখি হতে চেয়েছিলাম আর দিতে চেয়েছিলাম নিজেকে উজার করে যতটুকু আছে আমার, নিতে চেয়েছিলাম অল্পই কিন্তু কিছুই যে পেলাম না। ভেবেছিলাম পাওয়ার কোনো কমতি থাকবে না যাকে আমি দেবো। তবে ভুলটা কোথায় হলো? ভাবনায় নাকি কাজে।
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি এ আমার বড় অন্যায় নাকি স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো এ আমার দুর্ভাগ্য।

চলবে........
২৩টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×