somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুক্তিহীন সত্য ঘটনা (ভৌতিক গল্প)

১৩ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনাটা আমার খালাতো ভাই এর কাছ থেকে শোনা।চাকুরী সূত্রে আমার খালু লতিফ বাওয়ানী জুট মিলের ডেমরার স্টপ কোয়াটার বাসায় থাকতেন।তাই রনি ভাইয়ার (আমার খালাত ভাই ) ছেলেবেলা কেটেছে ঐ কোয়াটারে।ভাইয়াদের বাসার একটু দূরে অন্য এক কোয়াটারের ৪ তলার বাসাটায় বেশিদিন কোন অফিসার থাকতেন না।
তার কারন বাসাটার নাকি সমস্যা আছে।সমস্যা বলতে রাতে অনেক শব্দ হত নাকি বাসাটায় আর বাসাটায় ১টা বাথরুম আছে যেখান থেকে সবসময় দূর্গন্ধ আসতো এবং শতবার পরিষ্কার করলেও বাথরুম নোংরাই থাকতো।

তো দেখা যেতো কোন অফিসার ঐ বাসায় উঠার ৩-৪ মাসের মধ্যে বাসা ছেড়ে দিতো।তাই বছরের বেশিরভাগ সময় বাসাটা ফাঁকাই পড়ে থাকতো এবং কর্তৃপক্ষ বাসা তালা দিয়ে রাখতো।

এই বাসা নিয়ে রনি ভাইয়া ও কোয়াটারের অন্য বড় ভাইদের জল্পনা কল্পনার শেষ ছিলো না,তাই তারা সবাই মিলে ঠিক করলো একদিন যাবে ঐ বাসার ভিতরে কিছু আছে কিনা তাই দেখতে।

সবাই মিলে যেদিন ঐ বাসায় যাবে বলে ঠিক করলো সেদিন কোন ১টা সমস্যার কারণে রনি ভাইয়া যেতে পারলো না তাই রনি ভাইয়াকে রেখেই যাওয়া স্থির হলো।
মোট ৬জন যাবে ঠিক হলো।যেহেতু বাসাটা সবসময় তালা মারা থাকে আর বড়োরা জানতে পারলে রাগারাগি করবে তাই সবার চোখ এড়িয়ে রাত ১২টার যাবে ঠিক হলো।সাথে লাঠি ছাড়া আর কিছুই নেওয়া যাবে না আর ওখানে যা-ই ঘটুক না কেন চিৎকার করা যাবে না এই শর্তে যারা রাজি ছিলো তাদের নিয়ে রাত ১২-৩০টায় ঐ বাসার নিচে জড়ো হলো তারা।
হিমেল আর রুবেল ভাই থাকবে সবার সামনে আর বাকীরা পিছনে।সিঁড়ি দিয়ে উঠে ৪তলায় পৌছে গেলো সবাই।জং ধরা দরজার কড়াটা খুলতে বেশিক্ষণ লাগলো না তাদের।তারপর নিঃশব্দে ভিতরে ঢুকলো একে একে সবাই।বাসাটায় মোট ৪টা রুম
আর ১টাই মাত্র বারান্দা যাকে করিডরও বলা যায় কারণ বাসার সব গুলো রুম থেকে বারান্দায় যাওয়ার দরজা রয়েছে।যে রুমটায় ঐ আলোচিত বাথরুমটি ছিলো সে রুমটা ছিলো সর্বশেষে।

তো সবাই মিলে একে একে সব রুম সার্চ করলো কিন্তু কোথাও কিছু দেখতে পেলো না বা অলৌকিক কিছু ঘটলোও না।সবাই মোটামুটি সতর্ক ছিলো কিছু ঘটবে এই আশায়।কিছুই যখন ঘটলো না তখন তারা আর সময় নষ্ট না করে চলে যাবে ঠিক করলো তখনি বেশ জোরে সবশেষের রুমের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পরার শব্দ শোনা গেলো।ভাইয়ারা সবাই মোটামুটি ভয় পেলেন কারণ তারা মাত্রই ঐরুম সার্চ করে এসেছেন এবং কিছুই ছিলো না ঘরে।সবাই তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য মূল দরজায় আসলো তখনি সশব্দে সবশেষের রুমের দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো।ভাইয়ারা আর দেরি না করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন।
কিভাবে জানলার কাঁচ ভাঙলো আর কিভাবে দরজা বন্ধ হলো তা নিয়ে কেউ আর গবেষনা করলেন না।
রনি ভাইয়া যখন শুনলো এই ঘটনা তখন সে ঐ বাসায় যাবে বলে ঠিক করলো।পূর্বের ঘটনার কারণে প্রথমে কেউ-ই যেতে রাজি হচ্ছিলো না কিন্তু পরে ৩জন রাজি হলো যেতে।রনি ভাইয়া আর ঐ ৩জন মিলে আগের মতই রাত পৌনে ১টায় একদিন ঢুকলো ঐ বাসায়।
৪জনে আবার আগের মতই সব রুম সার্চ করে সবশেষের রুমে ঢোকার পর রুমের মধ্যে ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলো।ঘরের সবগুলো জানালা ও দরজা বন্ধ ছিলো তাহলে বাতাস আসলো কোন রাস্তা দিয়ে?।ভয় পেলেও ৪জন কোন কথা না বলে দরজা খুলে বারান্দায় গেলো।

দরজাটা তখন বিকট আওয়াজ তুলে বন্ধ হয়ে গেলো।ভাইয়ারা তখন বারান্দা ধরে সামনের রুমের দিকে এগোতে লাগলো।হঠাৎ ভাইয়ার ১ বন্ধু ভাইয়াকে ইশারা করলো কিছু দেখতে।এই মুহুর্তে ভাইয়ারা যে রুমের দরজার সামনে দাড়ানো সেদিকে তাকাতেই দেখতে পেলো দরজার নবটা কোন কারণ ছাড়াই ঘুরছে কিন্তু দরজার ওপাশে তো কেউ নাই।।

আর অপেক্ষা না করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো তারা এবং অবশেষে তারাও স্বীকার করলো কিছু একটা রয়েছে ঐ বাসায় কারণ প্রথমে ভাইয়ারা কেউ-ই এটা মেনে নিতে রাজি ছিলো না।।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

বামিঙ্গিয়ান উপাখ্যান

লিখেছেন যুবায়ের আলিফ, ১০ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২০




মাঝ রাতে কড়া একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভাঙলো জ্যাকের৷ ঘুমের ঘোরে দেখতে পেল কেউ চোখ ধাঁধানো পোষাক পরে ডাইনিংয়ে একটা চামচ রেখে দরজা গলিয়ে চলে যাচ্ছে৷ গা ও পোষাকের উজ্জ্বলতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×