somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কথা-৩৮

১২ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলছে.......
চমনের সাথে কথা হলো কিছুক্ষণ, রানা সামনে বসা সে নানা কথা শিখিয়ে দিচ্ছে আমাকে। আমিও বলছি।
কথা বলতে বলতে হঠাৎ চমন দেখা করার কথা বললো। আমি বললাম না সেটা সম্ভব না।
তারপর থেকে রানা নিজেও কথা বলতো মেয়েদের সাথে আর আমাকেও অন্য ছেলের সাথে কথা বলার জন্য জোর করতো। আমি কথা বলতে না চাইলে ঝগড়া হতো। বলতো এটাতো শুধু ফান সমস্যা কি কথা বলতো? আমিতো সামনেই আছি, শুধু কাঁদতাম আর ভাবতাম এ কেমন আবদার।
তারপর থেকে রানা মাঝে মাঝে ফোন করে দিতো চমনের সাথে কথা বলতে, ঝামেলা এড়াবার জন্য আমিও মাঝে মাঝে কথা বলতাম, তবে আমি ফোন নাম্বার জানতাম না, রানাই ডায়াল করে দিতো।
এখন মনে হয় হয়তো রানা তার পথ পরিষ্কার রাখার জন্যই চমনের সাথে আমাকে কথা বলতে বাধ্য করেছিলো, আমি যেনো তাকে কথা বলতে বাধা না দেই।
আমার সাথে দেখা করার জন্য অস্থির হলো চমন, দেখা করাটা একদম ঠিক হবে না, মুখে বললাম ঠিক আছে। তারপর রানাকে বললাম আর কথা বলা উচিত না, ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ করে দিলাম কথা । তারপরও রানা বলেছিলো কথা বলতে কিন্তু আমি না করেছি। তবে জটিলতার কথা ভেবে হয়তো পরে আর জোর করেনি।

নিরামিষ জীবন চলছে, আমি প্রকাশ্যে হাসি আর গোপনে কাঁদি আর ভাবি জীবন কি এভাবেই যাবে?
রানা মাঝে মাঝে উল্টা পাল্টা নাম্বার ঘুরিয়ে আমাকে কথা বলতে বলে, আমি বলতে চাই না তাতে সে রেগে যায়,
একটা অপরিচিত ছেলের সাথে কি কথা বলবো, নিরিবিলি ছিলাম সে এক রকম এ কোন যন্ত্রণায় পরলাম,
তাছাড়া আমার কোনো ইচ্ছা নাই? শুধু তার ইচ্ছায় আমার কথা বলতে হবে?
আমি কি তার কৃতদাসী? তাইতো ভাবে আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজের অতি শিক্ষিত পুরুষগুলিও। বউটি আমার সম্পত্তি।
রানা শিক্ষিত একটা ছেলে কেনো সে এমন আমি জানি না। এই নিয়ে শুরু হলো ঝগড়া আমি কথা বলবো না আর সে বলছে কথা বলতেই হবে। দিনের পর দিন মাসের পর মাস চললো এই ঝগড়া।
আমি ক্লান্ত পরিশ্রান্ত একটু স্থিরতা চাই ভীষণ ক্লান্ত লাগে বুকের মধ্যে অসহ্য একটা যন্ত্রণা হয়,
আমি কোথায় আমি কি করবো কাকে বলবো! অস্থির মন নিয়ে স্থির হয়ে বসে আছি একটা যন্ত্রচালিত পুতুলের মত!
শেষ পর্যন্ত রানার কথায় রাজি হলাম ঝগড়া থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্য। একটা মেয়ের জীবনের অবক্ষয় শুরু হলো।
হার মানলো সে। একটুখানি সুখের আশায়। হায়রে নারী কি বোকা আমি...জোর করে কি সুখ পাওয়া যায়?

রানা একটা মেয়ের সাথে কথা বলতো তার নাম বিউটি, ওদের বাসায় ফোন করলে মাঝে মাঝে ওর ভাই ফোন ধরতো তখন
আমি চেয়ে দিতাম বিউটিআপাকে।
রানা বললো ঐ ছেলের সাথে কথা বলতে হবে। যথারীতি রানা ডায়াল করলো আমি যেনো নাম্বারটা না দেখি, ছেলেটা ফোন ধরলো সাথে সাথে রানা আমাকে ফোনটা দিয়ে দিলো।
বললো কথা বলো...
অশ্রু শিক্ত চোখে তার দিকে তাকালাম শুধু, ঘৃণায় সংকুচিত হলো আমার মন, শুরু হলো যান্ত্রিক জীবন।
শুরু হলো অভিনয়...
হ্যালো.....কে বলছেন?
কাকে চাচ্ছেন?
ঠিক কাউকে না। আপনার সাথে কথা বলতে পারি?
আপনাকে আমি চিনি না
তাতে কি চিনবেন.... আপনার নাম কি?
হাসান
আপনি কে বলছেন?
বললাম আমাকে চিনবেন না। আমার নাম সীমানা।
আপনি কি আমার বোনের বান্ধবী?
নাতো। কেনো?
বিশ্বাস করলো না বললো জানেন একবার আমার বোনের বান্ধবী আমার সাথে দুষ্টুমী করেছিলো আমি বুঝতে পারিনি। পরে যখন জানলাম অনেক লজ্জা পেয়েছিলাম। তেমন কেউ নাতো আপনি?
বলছি তো না। কিছুতেই কথা বলতে রাজি হচ্ছে না ও।
রানাকে ইশারায় বললাম কথা বলতে চাচ্ছে না। রানা চোখ রাঙ্গালো, চেষ্টা করো।
বুকের মধ্যে একটা যন্ত্রণা চাপ বেঁধে আছে। হঠাৎ কি যে হলো আমার রানার উপর রাগ হলো, অভিমান হলো, জেদ হলো,
একটা ছেলেকে কথা বলানো কোন ব্যাপার হলো। চেষ্টা করে সুখ হয় না ঠিকই তবে অনেক কিছুই হয়। কথা বলতেই হবে তাকে।
বিভিন্ন কথার মধ্য দিয়ে এক সময় হাসান কথা বলতে শুরু করলো।
ও জানতে চাইলো আমি কি করি, কোথায় পড়ি?
আমি বললাম চারুকলায়, বললাম তুমি?
ডিগ্রি পরীক্ষা দেবো।
ইচ্ছা করেই বলে দিলাম আমি বিবাহিত,
যদিও কথাটা বলে ফেলায় রানা রাগ হয়েছিলো, আমি বলেছিলাম তুমিতো বলে দাওনি যে এটা বলা যাবে না।
কথার এক পর্যায়ে রানা লাইন কেটে দিলো তার ইচ্ছামত, আমাকে না জিজ্ঞেস করেই।
আবার কয়েকদিন পর ফোন করে দিলো
ফোন ধরেই হাসান বললো মাঝপথে ফোন কেটে দিলে কেনো বললাম কিছু মনে করো না, কেউ এসে পরেছিলো তাই।

চলবে.....
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×