somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

I HAVE NO WORD....

১২ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছাত্রলীগের প্রতি পত্রিকার মায়াবি আচরণ
সাকিব ফারহান

সোমবার দৈনিকগুলোর জন্য দুটি হট নিউজ। একটি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অন্যটি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায়। প্রথম সংবাদটি ইত্তেফাক ছাড়া সবগুলো পত্রিকার প্রধান শিরোণাম হয়েছে। সমকালের প্রথম পাতায় সবার উপরে চার কলামের একটি ছবি। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, দেখে মনে হতে পারে সবুজ ঘাসের ওপর শুয়ে কিছু যুবক বর্ষাস্নাত সকাল উপভোগ করছে। বস্তুত তা নয়। গতকাল জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু‘গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে- বেরুণী হলের চার তলার ছাদ থেকে ওদের নিচে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।

ঠিক এর নিচে তিন কলামে লালকালিতে হেডলাইন,‘বেপরোয়া ছাত্রলীগের লঙ্কাকান্ড জাবিতে’। এর পাশে এক কলামে আরো একটি ছবি। ছবির ক্যাপশনে লেখা, সংঘর্ষকালে চাপাতি হাতে এক ক্যাডার। যদিও ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একাধিক ছাত্রলীগ ক্যাডারের হাতে ধারালো অস্ত্র।

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের সংবাদটি সমকাল দ্বিতীয় প্রধান শিরোণাম করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, রাজধানীতে পুলিশ হেফাজতে পৃথক তিনটি মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সাত দিনের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশ বা অপর কোনো আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যকে এ তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করে বেসামরিক ব্যক্তি দিয়ে তা গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসব ঘটনার ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করে এর মধ্যেই কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানানোর জন্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে তা অবহিত করতে ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পরদিন প্রথম আলোর প্রধান সংবাদ ছিল জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যেসংঘর্ষের কারণ নিয়ে। তারা শিরোণাম করেছে, ‘চাঁদাবাজি ও জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব’। পত্রিকাটি বিস্তারিত উঠিয়ে এনেছে। জাবি ছাত্রলীগ পরিবহনের চাঁদা, জমি দখল বুঝিয়ে দেওয়াসহ নানা ধরনের অবৈধ অর্থ আহরণে জড়িয়ে আছে। টাকা ভাগাভাগি নির্ভর করে শক্তি অনুযায়ী। যার অধীনে যতবেশি ক্যাডার বা যতবেশি হলের নিয়ন্ত্রণ সে ততবেশি টাকা বাগাতে পারে। এজন্য নেতাদের মধ্যে হল ও ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটছে। প্রতিবেদনের একটি বিষয় লক্ষণীয় ছিল। বিশ্ববিদ্যলয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুটি গ্রুপ। এ দুটি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হোলিখেলা। কর্মী বাহিনী ও ক্যাডাররা জান দিচ্ছে কিন্তু এ দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক। তারা সংবাদমাধ্যমে একই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। কেউ কারো বিরুদ্ধে কিছু বলেন নি।

এখন পত্রিকার পাতায় হত্যা গুম রাহাজানি ধর্ষণের ঘটনা স্বাভাবিক। যদিও পত্রিকাগুলো এগুলো স্রেফ সংবাদ হিসেবে তুলে ধরছে। এজন্য তারা সরকারের ব্যর্থতার কথা একেবারেই বলছেনা। নয়া দিগন্ত এই দিনের পত্রিকার দ্বিতীয় পাতায় খুন হত্যার ঘটনাগুলো একসঙ্গে কম্পাইল করেছে। শিরোণামগুলো ছিল যতাক্রমে, ভালুকায় যুবকের লাশ উদ্ধার, ডোমারে অচেনা যুবকের লাশ উদ্ধার, ছাতকে মহিলার গলাকাটা লাশ উদ্ধার, রাজেন্দ্রপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার, দেবিদ্বারে ভাসমান লাশ উদ্ধার, ধামরাইয়ে নদী থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার, মোড়েলগঞ্জে মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার, গোবিন্দগঞ্জে পিটিয়ে স্ত্রী হত্যা এবং হোমনায় দুই সন্তানের জননী হত্যা। এগুলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে। যেখানে পুলিশ একে একে মানুষ হত্যা করে চলেছে সেখানে এসব হত্যাকান্ড তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা নয়।

বৃহস্পতিবার বিএনপির মানববন্ধনের সংবাদটি বেশিরভাগ পত্রিকার মতো সমকাল দ্বিতীয় প্রধান শিরোণাম করেছে। তারা শিরোণাম করেছে, রাস্তায় দঁড়াতেই পারেনি বিএনপি। ঠিক একই শিরোণাম করেছে কালের কণ্ঠ। রাজনৈতিক কর্মসূচীটি কেবলমাত্র পুলিশি বাধার মুখে পন্ড হয়ে গেছে এধরনের মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করেছে পত্রিকা দুটি তাদের প্রতিবেদনে। অন্যদিকে সংগ্রাম লিখেছে, পুলিশি বাধার মুখে দেশব্যাপী বিএনপি ও জামায়াতের মানববন্ধন পালিত। তারা হাইলাইট করেছে, নওগায় বিএনপি নেতা নিহত, তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষ নাজেহাল এবং শতাধিক গ্রেফতার।

এদিকে জামায়াতের শীর্ষ তিন নেতার ১৬ দিনের রিমান্ড চলছে। পত্রিকাগুলো এ নিয়ে দেদারছে প্রতিবেদন রচনা করছে। একটির সাথে অন্যটির কোনো মিল নেই। যতটা পত্রিকা ততটি স্টোরি মনে হচ্ছে। ইনকিলাব লিখেছে, জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াত নেতার শিকার করেছেন দলটির ২৫ জন রোকন জেএমবির হয়ে কাজ করে। কালের কণ্ঠ লিখেছে জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন জামায়াতের প্রকাশ্য নেতা কর্মীদের অনেকে গোপনে জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সমকাল লিখেছে জামায়াত জেএমবি কানেকশান নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মুজাহিদ মুখ খোলেনি। যেই জেএমবির এহসার সদস্য সৈকতকে মুখোমখি করা হয় মুজাহিদ মুখ খুলতে বাধ্য হয়।

এদিন নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার মাঝামাঝি একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে চার ব্যক্তিকে চোখ বেধে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, বরিশালের অফোর্ড মিশন রোড এলাকার একটি মেসে গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এভাবেই ঘুম থেকে তুলে চোখ বেঁধে ছাত্রদের থানায় নিয়ে যায়। তবে তাদের অপরাধ কি তা জানা যায়নি। অন্যান্য পত্রিকায় এ সংবাদটি এসেছে অন্যভাবে। পত্রিকাগুলো লিখেছে বরিশালে নাশকতার আশংকায় শিবির নেতাকর্মী গ্রেফতার।

এর পরের দিন নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার মাঝামাঝিতে আরেকটি ছবি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একদল আইনজীবীসহ উচ্চ আদালতের বারান্দায় হাটছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তার ডানপাশে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক এবং সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব উদ্দিন। তার বা পাশে মওদুদ আহমেদ। দুই কলাম ছবিটির বাম দিকে এক কলামের শিরোণাম, মাহমুদুর রহমান আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।

সংবাদের বিস্তারিত বিবরণে পত্রিকাটি লিখেছে, আদালত অবমাননার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক কারাবন্দি মাহমুদুর রহমান ক্ষমা চাইবেন না। আদালতের দেয়া রুলের জবাব দেয়ার মাধ্যমে তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। প্রকাশিত সংবাদে সত্য ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতার জন্য তিনি লড়বেন। উল্লেখ্য, আমার দেশে ‘চেম্বার জাজ মানে স্টে’ শিরোণামে একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক এবং সম্পাদককে দায়ি করে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। এ মামলায় মাহমুদর রহমানের আইনজীবী সময় প্রার্থনা করলে আদালত ১২ আগষ্ট পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেন। প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে ফুল বেঞ্চে এর শুনানি হয়। মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যরিস্টার মওদুদ এবং ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। খবরটি অন্য পত্রিকাগুলোতে দেখা গেল না।

পত্রিকাটি জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ব্যাপারে একটি খবর দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় তার ব্যাপার নানান সংবাদ দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ বিডি নিউজ সংবাদ দিয়েছে এই নেতার উপর গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। তিনি গ্রেফতারও হতে পারেন। ফোকাস বাংলাকে উদ্ধৃত করে নয়া দিগন্তের খবরটির বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়েছে, গোলাম আযমকে গ্রেফতারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে নজরদারিতে রাখার বিষয়টিও সঠিক নয়। রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে মহানগর পুলিশ কমিশনার শহিদুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য দেন।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ গত সোমবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ৫০ জনের বেশি আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারের জন্য ছাত্ররা এতটা পৈশাচিক ও বর্বর হতে পারে কল্পনাও করা যায় না। আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে ছাত্রলীগের নামে এ বর্বরোচিত কর্মকান্ড একে একে ঘটে চলেছে। এ ধরনের সংঘর্ষ ও এর প্রভাব ছাত্রদের বাইরেও স্বাভাবিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা পুলিশ ডাক্তারও নার্সরাও। লাঞ্চিত হচ্ছেন সম্মানিত শিক্ষকরা।

ঘটনার দিন সকাল ১০টায় আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগ নেতা কাজী মুস্তফা মনোয়ার সজীবকে ওই হলের এমিল গ্রুপের জুনিয়র কর্মীরা পরিবেশ বিজ্ঞান ভবনের সামনে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। একাজে তারা ব্যবহার করে রড, লাঠি, হকি স্টিক, রামদা, চাপাতি। সজীবকে মুমুর্ষু অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নেয়া হয়। মানুষ কতটা নির্মম হতে পারে এ ঘটনা তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে। সজীবকে মেডিক্যালে চিকিৎসা দিতে গেলে সেখানে মেডিকেলের ওই নির্ধারিত রুমের দরজা ভেঙ্গে দ্বিতীয়বার চাইনিস কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়। তাকে কোপাতে গিয়ে এ বর্বরতার শিকার হন কর্তব্যরত নার্স। এসময় কর্তব্যরত ডাক্তাদের এ ঘটনা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। ঘটনা এখানে থেমে থাকেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আহতকে দেখতে গেলে তাকে লাঞ্চিত করে প্রতিপক্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ পর্যন্ত ছাত্রলীগের একটি পক্ষের তান্ডবের বর্ণনা। ঘটনাটি বিরোধী গ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শহীদ সালাম বরকত হল এবং আল বেরুনী হলের নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে এক ছাত্রলীগ ক্যাডারের নেতৃত্বে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় হলের তিনতলা থেকে দুই ছাত্রকে ফেলে দেয়া হয় এবং তিন ছাত্র ভয়ে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। আহত ছাত্রলীগ নেতা এমিলকে মেডিক্যালে নেয়ার পথে সহকারী প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসানকে রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করা হয়। ওই শিক্ষক সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসা নেন।

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলটির সংশ্লিষ্ট প্রায় সব নেতাই একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য হল ঘটনার সাথে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার হোক। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্যও মিলে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের কোনো ঘটনার বিচারতো দুরের কথা কোনো তদন্তই দেখা যায়নি। পরের দিন এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অনভিপ্রেত। তিনি বলেছেন, এ ধরনের ঘটনাতো ঘটতেই পারে। আহত ছাত্রদের মাঠে পড়ে থাকার ভিডিও ফুটেজ ও পত্রিকার ছবির ব্যাপরে তার দেয়া মন্তব্যও দুঃখজনক। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে অন্য ছাত্রসংগঠনের ছেলেদের ঢুড়ে পড়ার বিষয়টি তিনি এ প্রসঙ্গে আবারো উল্লেখ করেন। সমস্যার সমাধানে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে কর্তা ব্যক্তিদের এ ধরনের বক্তব্য শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা বাড়াবে বৈ কমাবে না। কত ঠুনকো অভিযোগে হামলা মামলা রিমান্ডের নামে নির্যাতন কারাগারে প্রেরণ এমন কি বিনা বিচারের আটকের ঘটনা এখন ঘটছে। কিন্তু প্রকাশ্যে এ ধরনের খুন খারাবি যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না।

শুক্রবারের পত্রিকা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের আরেকটি সংঘর্ষের খবর দিয়েছে। পত্রিকায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে দলটির বিবদমান গ্রুপের ছবি প্রকাশিত হয়েছে।
লেখকঃ সাংবাদিক
Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×