somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাত্রলীগের কাছে দেশ জিম্মি না সরকার জিম্মি?

১১ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছাত্রলীগের ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃক্মখলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও কঠোর অ্যাকশন নিতে নির্দেশও দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাতেও নিবৃত্ত হচ্ছে না। একদিকে হুমকি-ধমকি; অন্য দিকে নেতা আর কতিপয় এমপির প্রশ্রয়ে যা হবার তাই হচ্ছে। ঘটনার পর মাঝেমধ্যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারের ঘটনাও কোন ফল দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের অভিভাবকত্ব না মানলেও ঘুরেফিরে ছাত্রলীগ কিন্তু আওয়ামী লীগকেই তাদের অভিভাবক বলে মানছে। যে যা-ই বলুক, জনগণও বিষয়টি বিশ্বাস করে না যে, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কেউ নয়। এ প্রসংগটি এলে নাকি হাস্যকর মনে হয় অনেকের কাছে। সুতরাং ছাত্রলীগের অপকর্মের দায়ভার এড়ানোর কোন সুযোগ নাই। বলতেই হয় ছাত্রলীগের চেইন অব কমান্ড একেবারেই ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের চেয়ে জেলা-উপজেলা শাখার নেতাদের বয়স অনেক বেশি। ফলে কেউ কাউকে মানছে না। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বিগত দেড় বছরে ছাত্রলীগ থেকে প্রায় পৌনে ৩শ নেতা বহিষ্কৃত হয়েছেন। সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দু'গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় যে ১৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিন্তু বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরাই কিছুদিন বাদে আবার খোলস পাল্টে যা-তাই হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যদি মনে করে যে, যত রক্তপাতই করি না কেন, শান্তি হবে না। তবে এখন তারা যে ত্রাস সৃষ্টি করছে, তা সময় বুঝে বহুগুণে বাড়বে। জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনায় ঢাকার সংবাদপত্রগুলো বিষয়টিকে যত গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে, দেশের অন্য কোন স্থানের খবর ততো গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয় না। সকল সংবাদ প্রকাশিত হলে ছাত্রলীগের অগ্নিমূর্তি সকলের কাছেই ধরা পড়তো। আমরা সারাদেশ থেকেই ছাত্রলীগের তান্ডবের এমন ভয়াবহ চিত্র পাই। ক'দিন আগে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দেখলাম ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দলের এমনি এক ভয়াবহ চিত্র। বেঞ্চের ওপর শুইয়ে একই দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের এক ছাত্রকে জবাই করার চেষ্টা করছে। জবাই-এ উদ্যত ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ ছাত্র আরিফকে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। তার শাস্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার। আছে সে বীরদর্পেই। বিষয়টা এমন বড় পাপ শাস্তি লঘু। তাই ছাত্রলীগ ধরাকে সরা জ্ঞান করছে বারবার।
এ সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকেই আমরা দেখেছি যে, ছাত্রলীগ দেশের সর্বত্র উন্মত্ত আচরণ শুরু করেছে। আর কোথায়ও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন অবশ্য ক্ষমতাসীন দল থেকে বলা হচ্ছে, ছাত্রলীগ তাদের অঙ্গ সংগঠন নয়। ছাত্রলীগের অপকর্মের দায় দলটি নেবে না এমন কথাও দেশের আকাশে বাতাসে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু ছাত্রলীগকে শাসন করার কোন উদ্যোগ সরকার থেকে নেয়া হচ্ছে এমন আভাসও নেই। বরং ছাত্রলীগের বেপরোয়া আচার-আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেয়ার কারণেই প্রশ্রয় পাচ্ছে সংগঠনটি। অন্যদিকে ‘দায় নেবে না' মুখে ক্ষমতাসীন দল এ কথা বললেও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের অতীত, বর্তমান- হয়তো ভবিষ্যৎও এক সুতায় বাঁধা। দায় না নিলেও দায় এড়াতে পারবে এমন কোন সম্ভাবনাই নেই। আর একটি সংগঠন দিনের পর দিন দেশে খুনাখুনির ঘটনা ঘটিয়ে যাবে, আইনের হাত তাদের ক্ষেত্রে বামনের হাত হয়ে থাকবে তাইবা হয় কি করে? সংগঠনে নাকি বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছে। তাহলে ধরেও নেয়া যায়, সময় এলে এ বহিরাগতরা বেরিয়েও যাবে। তাদের অপকর্মের দায় জমা পড়ে থাকবে সংগঠনের হিসাবের খাতায়। সরকার যদি সত্যটি বুঝেন তাহলে ক্যাডারদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়াই বাঞ্ছনীয় নয় কি?
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×