somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারত যদি মালাউনের দেশ হয়, তবে বাংলাদেশ কিসের দেশ ?? আত্ন উপলব্ধি মুলক পোস্ট।

০৯ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশেষ দৃস্টব্যঃ যারা পোস্টের হেডিং এর সাথে কন্টেটের মিল পাবেন না। তারা গালা গালী না করে পরের পোস্টের জন্য অপেক্ষা করুন। পোস্টটি দুই পর্বে শেষ হবে।

আজকে থেকে ৫ বছর আগের ঘটনা। আমি চট্রগ্রামে থাকতাম। কোনো এক সকলে, আগ্রাবাদ চৌমহনি মোড়ে আমার চোখের সামনে একটি লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করে। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি বিহবল হয়ে যাই। রাস্তার সাথে লেপ্টে যাওয়া মাথা, চারিধারে ছিটকে পড়া মগজ আর রক্তে ভেসে যাওয়া রাস্তা। ওফফফফফফ আমি এখনো ভাবতে পারিনা। আমি ভার্সিটি না গিয়ে আবার বাসায় চলে আসি। ওই ঘটনার পরে আমার স্বাভাবিক হতে ৭ দিন সময় লেগেছিলো।

কিন্তু আমি স্বাভাবিক এখনো হতে পারিনি। এখনো মাঝে মাঝে ঘুমে সেই দুঃস্বপ্ন দেখি। কিন্তু কাউকে বলি না। প্রতিদিন অফিসে যেতে হয়, কিন্তু রাস্তা পার হতে এখনো অনেক ভয় পাই। সবচেয়ে বড় কথা আমি মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখি।

ঘটনা ১৭ মে রাত আনুমানিক ২টা। আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ভারতীয় সৈন্যরা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাস্মীরে ঢুকে পড়েছে, ১৯৪৭ সালে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া কাস্মিরের ভুমি পুনিরুদ্ধারের জন্য। বাধা হয়ে দাড়ালো, শক্তিমান পাক বাহিনী। শুরু হলো যুদ্ধ। ভয়ঙ্কর বিভতস সেই যুদ্ধ। একে অপরকে হিংস্র জানোয়ারের মতন মেরে ফেলছে। মানুষ হিসেবে কোনো পক্ষের ভিতরেই ন্যূনতম মানবিকতা দেখাচ্ছে না।

সর্বাত্নক যুদ্ধের পর্যায়ে শুরু হলো পারমানবিক যুদ্ধ। এক দেশ অপরের উপরে, একের পর এক পারমানবিক মিসাইল নিক্ষেপ করে যাচ্ছে। চোখের পলকে বৃহত এবং বিশালাকার শহর নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যেতে লাগলো। পাপরের মতন উড়ে গেল সব ইমারত।

হঠাৎ পাকিস্তান থেকে নিক্ষিপ্ত পরমানু ওয়ার হেড লক্ষ্য ভ্রস্ট হয়ে ঢাকা শহরের কোনো এক প্রান্তে আঘাত করলো। চোখের নিমিষেই শেষ হয়ে গেল লক্ষ লক্ষ মানুষের সাজানো সংসার। শেষ হয়ে গেলো কোটি মানুষের ঘামে ভেজা পরিশ্রম করে বেচে থাকার স্বপ্ন।

আমি ধরফর করে জেগে উঠলাম। এটা ছিলো একটা দুঃস্বপ্ন ।আমি ঘেমে গেছি। আমার জ্বর ছেড়ে দিয়েছে, কারন ঘুমানোর আগে এস প্লাস খেয়ে শুয়েছিলাম। কয়েকদিন শরীরটা ভালো যাচ্ছিলো না। ৫ বছর আগে দেখা দুর্ঘটনা এখন বিভিন্ন ভয়ঙ্কর স্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়।


আসুন এবার একটু আলোচনাতে যাই। ছোট বেলা থেকেই আমি অনেক উদার মনের। কিন্তু কেন জানি বড়দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আমি বিভ্রান্ত হতাম। কেউ আমাকে প্রশ্ন করলে বাবু তোমার দেশের বাড়ি কোথায়? আমি ঝট পট উত্তর দিতাম বাংলাদেশে। অনেকেই হাসতো। আমার অনেক সাথীদের জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিতো বরিশাল বা কেউ বলতো নোয়াখালী। আমার সরল মনে প্রশ্ন জাগতো, আমার দেশের নাম বাংলাদেশ, তাহলে যদি কেউ প্রশ্ন করে তোমার দেশ কোথায়? তাহলে আমার বলা উচিত বাংলাদেশে। কেন বরিশাল,নোয়াখালী বা সিলেট হবে?কেন এলাকা ভিত্তিক জেলা ভিত্তিক মানুষের পরিচয় হবে??কেন চট্রগ্রামের লোক, আরেক জনকে নোয়াখাইল্যা বলে ছোট করবে।নোয়াখাইলির ছেলেরা কেন বরিশালের মেয়েদের বিয়ে করতে চায় না।চট্রগ্রামের লোক কেন নিজ জেলার মানুষ না হলে বইঙ্গা বলে সম্বোধন করবে। ছোটবেলা থেকেই বড়রা ও সমাজের মানুষেরা আমার মনে বিভেদের দেয়াল ধীরে ধীরে তুলে দেয়।

আস্তে আস্তে আমি বড় হলাম। এখন আমি অনেক বড়। জীবনে অনেক কিছু দেখে বুঝলাম দেশের মানুষ আসলে এখন সমাজের একজন হয়ে গেছি। আমার মন আর শিশুর মতন সরল নেই। সকলের মতই আমিও নানাবিধ বিধিনিষেধের জালে আবদ্ধ।
সমাজের মানুষ জন ও অনেক বিভক্ত। ধর্ম থেকে শুরু করে জেলা ভিত্তিক এমনকি পিতার পদবিও বিভক্ত।
যেমনঃ রাজীব কুমার হিন্দু, কোনো কারনে তার সাথে ঝামেলা বাধলে অন্য আরেক মুসলিম ব্যাক্তির কাছে গিয়ে, জামাল সাহেব বলবেন ঃ আরে বুঝলেন না মিয়া ভাই। শালা একটা ডান্ডির বাচ্চা। মালাউনের জাত। কোনো ভরসা নাই। কোন সময় টাকা পয়সা নিয়া কাইটা পরবো, ভারতে যাইয়া বাড়ী কইরা থাকবো। হাতের নাগালেই পাবেন না।

অনেক হিন্দুই আবার এই দেশটাকে নিজের দেশ বলে মনে করতে পারে না। গোপনে গোপনে অনেকেই টাকা পয়সা জমিয়ে ওই পাড়ে পাঠিয়ে দেয় জমি জমা বা অনান্য সম্পত্তি কিনার জন্য। ভবিষ্যত নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে। এটি আমাদের দেশের অর্থনীতীর জন্য চরম ক্ষতিকর। তাদের ছেলে মেয়ে বড় হলে শিক্ষা দিক্ষার জন্যেও অনেক হিন্দু পরিবার ভারতে তাদের মাসী বা পিসির বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

তেমনি ভাবে কোনো মুসলিম ছেলের মা, তার সন্তানের জন্য পাত্রী খুজতে গে
লে চিন্তা করবে ওই মেয়ের বাড়ি কই। দ্বিতীয় কথা ওই মেয়ের বাপ কি করে।

**** আগামী পর্বে সমাপ্ত হবে।



১৫টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×