এই আমাদের বাস্তবতা!!!!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
-হ্যালো,
--হুমম, কি খবর তোর?
-ভাল।
--তোর গলার স্বর কাঁপে কেন?
-কই নাহ তো !
--তুই কি আজকেও আবার . . . . .
–............................
--কথা বলিস না কেন?
-দোস্ত, অনেক try করলাম but পারলাম না ।
--মানে?
-তোর কথা মত কাল আমি নেই নাই, but না নিয়ে আর থাকতে পারলাম না। সারা গা কাঁপে। believe কর!
--বুঝলাম, তোকে যে বললাম ডাক্তারের কাছে চল, তুই তো তা শুনছিস না।
-না, আমি যাব না।
--শুধু শুধু কেন নিজের life টা শেষ করছিস?
–............................
--কথা বলিস না কেন?
-ওকে ছাড়া বেঁচে থেকে লাভ কি বল?
--কি লাভ হবে মানে?
-দেখ, “মানুষের বাচাঁর ইচ্ছা মরে গেলে বেঁচে থাকা স্বত্তেও আত্মা মরে যায়, তখন তার বেঁচে থাকা আর না থাকার মানে একি হয়”।
--এ কথার মানে কি?
-ভুলে গেছিস? এটা তুই ই আমাকে একদিন বলেছিলি, যখন আমি বেঁচে ছিলাম, তখন তোর কথার মানে বুঝি নাই। কিন্তু এখন বুঝি।
--মোহিত, আমি তো. . . . .
-আমার আত্মা মরে গেছে, তাই আমাকে অহেতুক বাচাঁনোর চেষ্টা করিস না।
--শোন . . . . .
কেউ কি কিছু বুঝলেন? মনে হয় না। আমিই বলি। মোহিত, class 10 এ পড়ে। Drags addicted! অনেক ভাল ছাত্র ছিল। একটা ঘটনা ওর জীবন টা ওলট-পালট করে দিল। ঘটনাটা হল, ও যাকে ভালবাসতো সে ওদের ৮ মাসের সম্পর্ক ভেঙ্গে অন্য একজন কে ভালবাসলো। মোহিত অনেক বড় একটা ঝটকা খেল। অনেক ভালবাসতো মেয়েটাকে। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ওর আজ এই অবস্থা। প্রথম দিকে যখন ও ড্রাগস নিত কেউ কিছু জানত না। একটা সময়ে এসে যখন সবাই জানল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওর পরিবার (বাবা নেই, শুধু মা) অনেক চেষ্টা করেও ওকে ফেরাতে পারেনি। ওর সব বন্ধুরা ওর কাছ থেকে সরে গেছে, নেশা নেয় বলে। একটা বারও কেউ একে মানা করার জন্য বা mental support দেয়ার জন্য ওর কাছে থাকে নি। এরাই ওর সেই বন্ধুরা, যারা ওর জীবনের অর্ধেক জায়গা জুরে ছিল।
ওকে অনেক বোঝান হল, আগের জীবনে ফিরে আসার জন্য। প্রথম দিকে একদমই রাজি হয় নি। কয়েক মাসের জোড়াজোড়ির পর রাজি হল, ড্রাগস ছারবে। কিন্তু এক দিনের জন্যও পারল না। না খেলে নাকি হাত-পা কাঁপে, ঠিক থাকতে পারে না।
আমাদের আশেপাশের অনেকের জীবন আমাদের চোখের সামনে এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অথচ আমরা সব জেনেও কিছুই করতে পারছি না। হয়ত বা করতেই চাচ্ছি না। এটাই কি বাস্তবতা?
হয়ত বা হ্যাঁ, হয়ত না।
এটা তো এক মোহিতের কথা। এরকম শত শত মোহিত আজ বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে। তরুণ সমাজে এখন প্রেম না করলে বন্ধুদের সামনে “part” থাকে না। সামান্য ভাব দেখানোর জন্য যে খেলা তারা শুরু করে, অথবা যে “মোহ” কে তারা ভালবাসা ভাবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তার ফলাফল খুব খারাপ হয়। কৈশর-তারুণ্যে প্রেম করাটা কি খুব বেশি জরুরি, যখন তাদের কাছে “ভালবাসা” শব্দের মানে স্পষ্ট নয়? আর যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফলাফলটা হয় শুধুই কষ্ট পাওয়া আর জীবনের কিছু মুল্যবান সময় নষ্ট???
দ্বিতীয়ত, আজকের যুগে সবাই সর্বদা ব্যস্ত। সন্তান ভাল স্কুলে পড়বে, ভাল ফল করবে, মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে,- এই কথাগুলোর বাইরে অভিভাবকরা অন্য কিছু চিন্তাই করতে চায় না। যার ফলে ছেলে-মেয়েদের সাথে বাবা-মা এর বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক খুব কম দেখা যায়। এই দুরত্ব আর মানসিকতা অনেক সময় কিশোরদের ঠেলে দেয় মাদকের দিকে। যেখান থেকে হয়ত বা কখনো তাদের আর ফেরান যায় না।
এটাই হচ্ছে আমাদের তরু্ণ সমাজের বর্তমান অবস্থা। যেখানে তারা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ, এবং এই আবেগ তাদের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। শত ব্যস্ততার মাঝে আজ এই আবেগী এবং হতাশ তরুনদের পাশে থাকার সময় কারো নেই। আজ অবহেলার কারণে ঝরে পরছে শত শত কিশোর আর তরুণ। আমরা কখন চাই না, যাদের হাতে ভবিষ্যত গড়ার দায়িত্ব তারাই নিজেদের বর্তমানকে এভাবে মাদকের কাছে সপে দিক। তাই মাদক সেবীদের ঘৃণা না করে তাদের একটু সাহায্য করুন। ভালবাসা আর সঠিক নির্দেশনাই পারবে এই পথভ্রষ্টদের ফিরিয়ে আনতে।
অবহেলা, গ্লানি বা লাঞ্ছনা নয়।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন