বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ কার্যকর করতে হলে এই 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১-এর খ'-এর সংশোধনী অত্যাবশ্যক। এর কোনো বিকল্প নেই। উক্ত 'আর্টিকেল ৬৭-এর ১-এর খ'-এ 'একজন সংসদ সদস্য যদি সংসদ থেকে ছুটি না নিয়ে অনধিক ১ কার্য দিবস সংসদে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাঁর সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে।' আইন প্রবর্তণ করলে বাংলাদেশে সংসদে অনুপস্থিত থাকার এই রেওয়াজ বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে শূন্য পদে ওই সাংসদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিজয়ী ঘোষণা করার সুযোগ প্রদান করলে আরেকটি উপ-নির্বাচনের খরচ থেকে জাতি মুক্তি পেতে পারে।
আমাদের দেশের যারা আইনপ্রণেতা তাঁদের নিজেদের এমন লজ্বাকর সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশের জাতীয় সংসদ কার্যকর করা সম্ভব নয়। নিজেরা আইন মানবেন না অথচ জনগণের জন্য আইন বানাবেন এটা অন্যায়। আমরা এই অন্যায় সুযোগ সুবিধার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং এর জরুরী সংশোধনের দাবি জানাই।
আমাদের মহামান্য সাংসদরা সংসদে অনুপস্থিত থেকেও রাষ্ট্রের বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। দেশের ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ থেকে ২০০৮ সালের নবম সংসদ পর্যন্ত দেশের সকল সাংসদ এই অন্যায় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন। আমরা এই অন্যায় ভোগ করা ও সুযোগ সুবিধার তীব্র নিন্দা জানাই।
পাশাপাশি আমি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত এরকম অসংখ্য অন্যায় আইন ও সুযোগ সুবিধার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার অনুরোধ জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৯