somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন বিআরটিসি বাসে মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত ছয়টি আসন নিয়ে নয়-ছয় অবস্থা।

০৭ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজধানীতে নতুন চালু হওয়া বিআরটিসি বাসগুলোতে মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ছয়টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। কমলা রং এর এই ছয়টি আসনের উপরে ডানদিকে সংরক্ষিত কথাটি কোন কোন বাসে লেখা থাকলেও সব বাসে লেখা নেই। প্রায় সময়ই বাসে উঠে এই সীটগুলোর জন্য পুরুষ যাত্রীদের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। ফার্মগেট থেকে বাসে উঠে আমি বেশ কয়েকদিন এই ঝামেলায় পড়েছি। মহিলার পাশে সীটে বসে থাকবে। তাও ছাড়বে না সীট। অনেক পুরুষযাত্রী অনুরোধ করার পরও একই অবস্থা। অগত্যা দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে আমাকে। কেউ কেউ বলে সংরক্ষিত লেখা নেই, তাই সে ছাড়বে না এই সীট। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা হলো সংরক্ষিত লেখা থাকা সত্ত্বেও সীট দখল করে বসে থাকা পুরুষযাত্রী অবলীলায় বলে দেয় সংরক্ষিত আবার কি? মহিলারা আমাদের সীটে অহরহ বসছে। আবার এও হচ্ছে যে, অনেক সীট খালি। মহিলা সীটে একজন মহিলা বসে আছেন। পুরুষযাত্রী উঠে মহিলার পাশেই বসবে। আমি এই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি একাধিকবার। ভদ্রতাবশত বললাম, ভাই আরও তো সীট খালি রয়েছে। তাছাড়া এই সীটগুলো সংরক্ষিত। মহিলা যাত্রী উঠলে ছেড়ে দিতে হবে। কেউ কেউ একথা শুনে স্যরি বলে উঠে যায়। আবার উল্টো দুটো কড়া কথা শুনিয়ে সীট আগলে বসে থাকে। তারপর কোন মহিলা উঠলে তাকে দাঁড়িয়ে যেতে হয়।

বলা বাহুল্য সকাল-বিকালে বাসে চড়া এই যাত্রীদের প্রায় সবাই শিক্ষিত চাকুরীজীবি। বাসের অন্য যাত্রীদের প্রতি তাদের সহনশীলতার নিদর্শন যদি এই হয় তবে আমরা নিজদেরকে সভ্য হিসাবে দাবী করবো কি দিয়ে? উল্টো পিঠে আবার এও দেখা গেছে যে, কোন মহিলাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুরুষযাত্রী উঠে দাঁড়িয়ে নিজের সীটটা ছেড়ে দেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমি। কিন্তু সংরক্ষিত মাত্র ছয়টা সীট নিয়ে তাদের টানাটানি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। এরা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্তৃপক্ষের এই বিশেষ ব্যবস্থাকে। তবে কি তারা মেনে নিতে পারছে না মহিলাদের বাইরে বের হয়ে পুরুষদের সাথে সমানতালে এগিয়ে যাওয়াকে?
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×