১. ঘানার আক্রমন ঠেকাতে গিয়ে উরুগুয়ের গোলকীপার বল মিস করলেন । বল ঘানার প্লেয়ারের পায়ে ।পোস্টে কীপার নাই । কীপারের জায়গায় চইলা আসলেন ৯ নম্বর জার্সির সুয়ারেজ (চিনতে পারছেন ? দক্ষিন কোরিয়ার সাথে দুই গোল দিয়েছিলো )। ঘানার স্ট্রাইকারের প্রথম শট পা দিয়া ফিরাইলেন । তারপর আবার শট আসলে মনে করলেন আমিই কীপার হয়ে যাই । তিনি বলটা ফিরাইলেন হাত দিয়ে ।
২. বেরসিক ঘানার প্লেয়াররা চিল্লানো শুরু করলো । বেরসিক রেফারী লুই সুয়ারেজকে ডাকলেন । লুই সুয়ারেজ বললো - "কে কইছে আমি হাত লাগাইছি বলে ? জীবনেও আমি এই কাম করি নাই । " তো রেফারী সেই কথা শুনলো না । লাল কার্ড বাইর করে তারে মাঠ থেকে বাইর কইরা দিলো । ঘানাকে দিলো পেনাল্টি ।
৩. লুই সুয়ারেজ কানতে কানতে মাঠ থেকে বাইর হইল । পেনাল্টি শট নিলো ঘানার গিয়ান । গিয়ান শট কি নিলো আল্লাই মালুম । বল ক্রস বারে লাইগা উইড়া চইলা গেলো্। সাথে সাথে লুই সুয়ারেজের কান্না থাইমা গেলো । খুশীর চোটে জোলে চিল্লান দিলো একটা । আর কান্না শুরু হইল এইবার গিয়ানের । দুই তিন জন মিইল্লা ওরে ধইরা রাখলো ।
৪. তারপর পেনাল্টি শু্ট ওয়াট । টাইব্রেকারে ঘানার একজন মিস করল। পরের শটটা ঠিক মত নিতে পারলে উরুগুয়ে অনেক আগায়ে থাকে, এই সময় উরুগুয়ের প্লেয়ার ও মিস করল।তারপর ঘানার প্লেয়ার আবার মিস করলো । উরুগুয়ে এইবার আর কোনো মিস করলো না । ৪-২ এ জিতে উরুগুয়ে সেমিফাইনালে । এই হইলো ওভার অল নাটক । ম্যাচের ম্যান অব দি ম্যাচ
দিয়োগো ফোরলান । কিন্তু হিরো লুই সুয়ারেজ । নিজে লাল কার্ড পাইয়েও যে দলকে নিয়ে গেলো সেমিফাইনালে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ রাত ১২:২৭