somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হ্যাপি বার্থ ডে to CANADA

০২ রা জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পহেলা জুলাই কানাডার জন্মদিন। এক সময় বলা হতো, বৃটিশ রাজত্বের সূর্যাস্ত নেই, বৃটিশের পূর্ব-পশ্চিম একাকার। সেই সূত্রে বৃটিশদের উপনিবেশিকতা ছিল কানাডাতেও। নিরীহ কানাডিয়ানদের প্রথমে ফ্রান্স পরে বৃটেন শাসন করেছে দীর্ঘ সময়। কানাডার ইতিহাসে অনেক রক্তাক্ত যুদ্ধ আছে, যুদ্ধের স্মৃতি আছে। আমাদের মহান বিজয় দিবসের মতো ১৮৬৭ সালের ১ জুলাই বৃটিশ কলোনী থেকে মুক্তি অর্জন করে।
কানাডা মুক্ত হলেও বৃটেনের সাথে ভিন্ন বন্ধন রয়েছে। অর্থাৎ এখনো প্রথাগত বিধি মোতাবেক এ রাষ্ট্রের প্রধান হচ্ছেন- বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ। তাঁর অনুকূলে প্রতিনিধিত্ব করেন নির্বাচিত গভর্নর জেনারেল। যদি রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাণীর কোনেই নির্বাহী ক্ষমতা নেই।
দক্ষিণ মহাসাগর, আটলান্টিকা এবং প্যাসিফিক এই তিন মহাসমুদ্রে পরিবেষ্টিত কানাডা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। অর্থাৎ ৯৯,৭৬,১৮৬ বর্গকিলো মিটার। যার রাষ্ট্রীয় নাম- ডমিনিয়ন অব কানাডা। কানাডায় ১০টি প্রোভিন্স বা প্রদেশ এবং ৩টি টেরিটোরিস রয়েছে। আর জনসংখ্যা মাত্র ৩.৩ কোটি মাত্র। এক সময় কাশ্মিরকে ভূস্বর্গ বলা হতো, এখন বলা হয় ভ্যান্কুভারকে। শুধু তাই নয়, কানাডা শরণার্থী এবং ইমিগ্রান্টদের জন্যও স্বর্গরাজ্য। বর্তমানে অভিবাসীর সংখ্যা প্রতি ৫ জন কানাডিয়ানদের মধ্যে ১ জন।
কানাডার সরকারী ভাষা ইংরেজী এবং ফ্রান্স হলেও এখানে শতাধিক ভাষায় কথা বলে কানাডিয়ানরা। কারণ কানাডা মাল্টি কালচারাল অর্থাৎ বহুজাতির সংস্কৃতির দেশ। প্রত্যেকেই ভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ফলে কানাডিয়ানরা জাতিগত বৈচিত্রতায় বর্ণিল।
বর্তমান কানাডার সব ছোট প্রদেশ প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডকে বলা হয় গার্ডেন অফ কানাডা। এই মনোরম দ্বীপে বৃটিশরা বিদায় নেয়ার সময় বৈঠক করে কানাডাকে আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা প্রদান করে । এসময় অন্টারিও, কুইবেক, নোভা স্কোশিয়া এবং নিউ ব্রান্সউইক যোগদান করে। কিন্তু সেই সময় প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড যোগ দেয়নি। দিয়েছে অনেক পরে অর্থাৎ ১৮৭৩ সালে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রদেশ কানাডার সাথে যুক্ত হয়।
১৮৬৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির নাম কী হবে, কী হতে পারে, কী হলে সুন্দর হবে- এ নিয়ে আলোচনা, চিন্তা-ভাবনা চলে। কিংডম অব কানাডা, কানাডিয়া, কলাম্বিয়া, ক্যাবোটিয়া, উরমালিয়া, ব্রিটানিয়া, নিউ বৃটেন, লাউরেন্টিয়া, ইউনিয়ন অব দ্য ম্যারিটাইমস প্রভৃতি প্রস্তাবের পর চূড়ান্ত হয়- ডমিনিয়ন অব কানাডা। ১৩৪ বছর আগে কানাডা স্বাধীন হলেও এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন হয় এবং হচ্ছে। যেমন-
ক ॥ ১৯৬৪ সালে জাতীয় পতাকার নকশা করে তা অনুমোদন করা হয় ১৯৬৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর।
খ ॥ ১৯৮০ সালের ১ জুলাই ‘ও কানাডা’... গানটিকে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেয়া হয়। অথচ গানটির রচনাকাল ১৮৮০ সালে।
গ ॥ ১৯৮২ সালে ‘ডমিনিয়ন ডে’ নাম পরির্বতন করে ১ জুলাই ‘কানাডা ডে’ ঘোষণা করা হয়।
কানাডার দুই ‘স্ট্যানলি’র কাছে কৃতজ্ঞ। একজন ক্যালগরির সৈনিক, যিনি মাপেল খচিত জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেন। আরেক জন মন্ট্রিয়লের রবার্ট ‘স্ট্যানলি’, যিনি জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা, যার সুর করেন ক্যালিক্স লাভালী। মূল গানটি ফরাসি ভাষায় হলে পরে তা ১৯২৭ সালে তা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয় : O Canada!/ Our home and native land./ True patriot love in all thy sons command./ With glowing hearts we see thee rise,/ The True North strong and free!/ And stand on guard, O Canada,/ We stand on guard for thee./ O Canada, Glorious and free./ O Canada, we stand on guard for thee./ O Canada, we stand on guard for thee.
কানাডা ডে উপলক্ষে জমজমাট হয়ে উঠে পুরো কানাডা। নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে উঠে সারা দেশ। নানান কর্মসূচীতে মুখরিত হয় ক্যানডিয়ানেরা। তীব্র শীতের শেষে জেগে উঠা অপূর্ব প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
রাজধানী অটোয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রভিন্সের প্রতিটি শহরেই রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হচ্ছে- কানাডার উৎসব। আদিবাসী থেকে শুরু করে অভিবাসীরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ সংস্কৃতির মাধ্যমে বরণ করছে কানাডা ডে’ কে।
একদিকে সামার। অন্যদিকে স্কুল-কলেজ ছুটি। সেই সাথে সরকারি ছুটি। সব মিলিয়ে কানাডিয়ানরা বহুমাত্রিকভাবে গৌরবের সাথে কানাডা ডে পালন করে। লক্ষাধিক প্রবাসী বাঙালিরাও দিনকে আনন্দময় ভাবে উদযাপন করছে।
তাই শুভেচ্ছা-স্বাগতম-অভিনন্দন জানিয়ে বলিঃ হ্যাপি বার্থ ডে টু কানাডা।

----bengalitimes.com
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১০ রাত ১:২৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি বললে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৭

তুমি বললে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

খুব তৃষ্ণার্ত, তুমি তৃষ্ণা মিটালে
খুব ক্ষুধার্ত, তুমি খাইয়ে দিলে।
শ্রমে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত দেহে তুমি
ঠান্ডা জলে মুছে দিলে, ঊর্মি
বাতাস বইবে, শীতল হবে হৃদয়
ঘুম ঘুম চোখে পাবে অভয়।
তোমার আলপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×