somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষ পুড়িয়ে মারলো বিএনপি-জামাত। ছি... বাকশালীদের সাথে আর কি পার্থক্য রইলো...??

০১ লা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা, জুলাই ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- হরতালের আগের রাতে রাজধানীর মগবাজারে ট্যাক্সিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ মো. ফারুক হোসেন (২৮) মারা গেছেন।

বুধবার রাত দেড়টার দিকে ফারুক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে বৃহস্পতিবার সকালে তার ছোট ভাই মো. সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

গত রোববার বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাতে মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের কাছে একটি ট্যাক্সিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে ফারুক এবং সুমন নামের আরেকজন মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হন। আগুনে ফারুকের শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের দেখতে বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যান।

ওদিকে রমনা থানার ওসি শিবলী নোমান বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, মগবাজার রেল ক্রসিংয়ের কাছে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বুধবার আদালত চারদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, ফারুক মারা যাওয়ায় ওই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হবে।

ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "হরতালের নামে এভাবে মানুষ হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।"

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ফারুকের লাশ দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে আসেন। এ সময় তিনি ফারুকের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ফারুক হত্যার ঘটনায় তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রতিমন্ত্রীর কাছে ফারুকের ছোট ভাই সেলিম হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

একইসঙ্গে টিঅ্যান্ডটিতে লাইনম্যানের সহকারী হিসাবে তার চাকুরি স্থায়ী করার অনুরোধ জানান।

প্রতিমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ফারুকের লাশ জুরাইন কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত ফারুকের বাবা মকবুল হোসেন অনেক আগেই মারা গেছেন। ছোট ভাই, দুই বোন আর মা শিরিন বেগমকে নিয়ে তিনি থাকতেন সূত্রাপুর থানা এলাকার গেন্ডারিয়ার ডিস্টিলারি রোডে।

ফারুক একটি ফ্যানের কারখানায় কাজ করে যে মজুরি পেতেন তা দিয়েই মূলত চলছিলো তাদের সংসার।

বড় ভাই ফারুকই পরিবারপ্রধানের ভূমিকায় ছিলেন জানিয়ে সকালে সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ভাইয়া চলে গেলো। এখন আমি কীভাবে সংসার চলাবো? ও-ই তো সব দেখাশোনা করতো।"

সেলিম জানান, তিনি টিঅ্যান্ডটিতে লাইনম্যানের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু এ কাজ করে সংসারে তিনি কোনো সাহায্য করতে পারেন না।

প্রধানমন্ত্রী অগ্নিদগ্ধ ফারুক ও সুমনকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার পর বিরোধী দলকে সংসদে এসে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "ইস্যুবিহীন হরতালের নামে নিরীহ মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাদের জীবন ধ্বংস করা কোনো রাজনীতি হতে পারে না।"

এ সময় তিনি আহত ফারুক ও সুমনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে তাদের শরীরে আগুন লাগানো হয়েছে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার বর্ণনা দেন।

এ সময় ফারুকের মা প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রীও তখন অশ্র"সিক্ত হয়ে পড়েন।

ফারুকের মা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন,"আমার ছেলে কারো কোনো ক্ষতি করেনি। তাহলে দুর্বৃত্তরা তার শরীর কেন পুড়িয়ে দিল?"

তাকে সান্ত্বনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সরকার আহতদের উন্নত চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বহন করবে।"

কর্তব্যরত চিকিৎকদের কাছে তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সুস্থতা কামনা করেন। অগ্নিদগ্ধ দুজনকে আর্থিকভাবেও সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডে আহত কয়েকজনকে দেখতে যান। তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।


Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৫২
১৫টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×