এই ব্লগে কাজী মামুন জামাত নেতাদের নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুনে দাড়িযুক্ত ছাগলের মুন্ডু ব্যবহার করায় অনেকে তার প্রতিবাদ করেছেন। সেখানে আমি একটি কমেন্ট দিয়েছি। কমেন্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ধর্মকে হেয় করার জন্য যদি কেউ দাড়ি নিয়ে ব্যঙ্গ করে তবে তা নিন্দনীয়। কিন্তু অর্থডক্স্র গীর্জার পাদ্রীরা সবাই দাড়ি রাথে বলে কি তারা পাদ্রীদের সম্মানে তাদের সকল ছাগলের দাড়ি সেভ করে ফেলবে?
দাড়ি তো অর্থডক্স খৃষ্টান, ইহুদী, হিন্দু, শিখ, চীনের মাঞ্চুরিয়ান, জাপানের সামুরাই, এস্কিমো, প্রায় সব জাতি, সম্প্রদায় ও ধর্মের লোকে রাখে। আফ্রিকার প্রকৃতি পূজারীরাও রাখে। এমন কি আন্দামান, ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা এবং পপুয়া নিউ গিনির যে সব আদিবাসী গোষ্ঠী কোন কাপড়ই পরে না, তারাও দাড়ি রাখে। তাছাড়া অনেক প্রণীর দাড়ি হয়, যেমন, ছাগল, শ্যাম্বার হরিণ, মুজ (কানাডার বড় সাইজের বল্গা হরিণ- তদের জাতীয় পশু), বেশ কয়েক প্রকার বল্গা হরিণ, কয়েকটি প্রজাতির বানর ও হনুমান, আফ্রিকান ওয়াটার বাখ, বাইসন, ইয়ক বা পাহাড়ী বন গরু, ইত্যাদি। কয়েক প্রজাতির পাখীর মাথায় ঝুটি ও দাড়ি থাকে।
দাড়িকে একটি বিশেষ ধর্মীয় ট্রেডমার্ক বানানোর চেষ্টা কি সঠিক? রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দাড়ি নিয়ে কোন ইস্যু না বানানোই ভাল। আর এখানে মহানবী (সঃ) বা কোন আউলিয়া, গাওয, কুতুবের দাড়ি নিয়ে ক্যারিকেচার হয়নি। রাজনীতিকদের নিয়ে ক্যারিকেচার হয়েই থাকে।
সবাই সহনশীল হলে ভাল হয়। আর রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী ইস্যুটি একটি স্পর্শকাতর জাতীয় ইস্যু। অপরাধ তারা অবশ্যই করেছেন। আবার জাতীর কাছে ক্ষমা না চেয়ে, তারা দম্ভ করে বলে আসছেন যে, "ক্ষমা চাইতে হবে কেন? ক্ষমাচাওয়ার মত কোন কাজ আমরা করিনি।"..... ১৯৭১ এ আমরা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলাম, কোন অপরাধ করিনি"। ইত্যাদি, ইত্যাদি...।
তারা পাকিস্তানে থাকতে যেমন নির্বোধ ছিলেন, এখনও তেমনি আছেন। বাংলাদেশের সংবিধানের মুখবন্ধ পড়লেই বুঝতে পারবেন যে, ১৯৭১-এ পাকিস্তান কে সমর্থন করাটাই শস্তিযোগ্য অপরাধ।
আল্লাহ এইসব নির্বোধকে হেদায়াত করুক। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫