somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জার্মানিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি

৩০ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিলেত-আমেরিকার নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন কে না দেখে৷ তবে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার সাধ্য সবার কি আছে?

শুধু বিশাল অঙ্কের টিউশন ফি নয়, অনেক দেশে থাকা-খাওয়ার খরচও কম নয়৷ তাই গত কয়েক বছরে অনেক ছাত্রছাত্রীই জার্মানি পাড়ি দিচ্ছে, কারণ এখনো এদেশে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই প্রায় বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা পাওয়া যায়৷

উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি দেয় কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশন
বন শহরের পাশেই অবস্থিত কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশন
কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশন নামের বৃত্তি সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে৷ প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলর কনরাড আডেনাওয়ারের নামানুসারে৷

তাঁর চিন্তা চেতনার প্রতিফলন এবং আদর্শকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর এই বৃত্তি প্রতিষ্ঠানটি৷

কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশন সাধারণত উচ্চশিক্ষা এবং বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য দেশী বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করে থাকে৷ বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ দেয়া হয় জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা এবং পি এইচ ডির জন্য বৃত্তি দিয়ে থাকে৷ উদ্দেশ্য প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো বেশি দক্ষ হতে সাহায্য করা৷

এই সংস্থাটি পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামগুলোর জন্য বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করে থাকে৷ অর্থাৎ যে সব ছাত্র-ছাত্রী ইতিমধ্যে তার নিজ দেশে সর্বোচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছে এবং পি এইচ ডি করার মত যথাযথ যোগ্যতা তার আছে৷ প্রাথমিক বাছাইয়ে সবসময়ই এরা এগিয়ে আসে৷ তবে এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি নিজেও প্রার্থীর যোগ্যতা এবং কাগজপত্র যাচাই করে দেখে৷

প্রার্থীকে অবশ্যই অত্যন্ত মেধাবী হতে হবে৷ দেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলোর প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে হবে৷ প্রার্থীদের সুবিধার্থে জানাচ্ছি সামাজিক কোন সংগঠনে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত আছেন বা কাজ করছেন এই অভিজ্ঞতাগুলো সবসময়ই সাহায্য করবে৷

অন্য আরেকটি বিষয়ে কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশন জোর দেয় তা হল প্রার্থীকে অবশ্যই জার্মান ভাষায় পারদর্শী হতে হবে৷ জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার পর প্রার্থী তার নিজ দেশে ফিরে যাবে এবং সেখানে কাজ করবে এটি হচ্ছে অন্যতম একটি শর্ত৷

প্রার্থীদের সব সময়ই বলা হয় নিজ দেশ থেকে আবেদন করার জন্য৷ প্রাথমিক নির্বাচন সেভাবেই করা হয়৷ এই সংস্থাটির প্রতিনিধিত্ব কোন দেশ করলে সেই দেশের প্রার্থীকে বিশেষ বিবেচনা করা হয়৷ কোন প্রার্থী যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা সংগঠনের মাধ্যমে আবেদন করে তাহলেও তার আবেদনপত্রকে প্রাধান্য দেয়া হবে৷

কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা ডঃ বের্থোল্ড গিস৷ তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে এই সংস্থায় কাজ করছেন৷ বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ করে এশিয়ান ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন পত্র জমা নেয়া এবং বৃত্তি দেয়ার বিষয়টি তিনি দেখাশোনা করেন৷ ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে কি পরিমাণ আবেদন পত্র এই সংস্থাটি পেয়ে থাকে সে প্রসঙ্গে তিনি বললেন, প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ আবেদন পত্র এই সংস্হাটি পেয়ে থাকে৷ কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে এই মুহুর্তে কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই৷ আগে অনেক ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী ছিল কিন্তু বিগত বছরগুলোতে একেবারেই আসেনি৷ এই উপমহাদেশ থেকে প্রতিবছর যাতে অন্তত ৫ থেকে ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী আসে সে লক্ষ্যে সংস্থাটি বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে৷ ভারতীয় প্রার্থী নির্বাচন করতে এ বছরেই একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হবে৷ ঠিক কবে এই সম্মেলনটি হবে তা এখনও ঠিক হয়নি৷ সংগঠনটি চেষ্টা করছে ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের আবারো ফিরিয়ে আনতে৷

ডঃ বের্থোল্ড গিস আরো জানালেন প্রার্থী নির্বাচনে ঠিক কোন বিষয়গুলোর ওপর জোর দেয় এই সংস্থাটি৷

যে সব বিষয়ে সংগঠনটি বিশেষ নজর দেয় তা হল প্রার্থী যে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে সে বিষয়ে যথেষ্ঠ দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা আছে কিনা৷ এছাড়াও দেখা হয় সংস্কৃতি, সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে প্রার্থীর আগ্রহ, সচেতনতা এবং সক্রিয়তা৷

এই সংস্থার ওয়েব সাইটের ঠিকানা http://www.kas.de

কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশনের ঠিকানা

Konrad-Adenauer-Stiftung e.V.(KAS)

Rathausallee 12

D- 53757 Sankt Augustin

Tel: 0049 2241 246 0

Internet: http://www.kas.de


৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×