somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শোনা কথা B-)

২৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙ্গালী আড্ডাপ্রিয় জাতি। দুইজন হলেই শুরু হয় চরম আড্ডা। আর আড্ডা জুড়েই চলে নান শোনা কথার ফুলঝুড়ি। সত্য কি মিথ্যা এটা নিয়ে কেউ তেমন চিন্তিত থাকে না। তবে আড্ডার বিষয় হিসেবে এইসব গসিপ কিম্বা গুজব যাই বলিনা কেন তার দারুণ চাহিদা। এরকমই কিছু শোনা কথা নিয়ে আমার এই পোষ্ট।

নুরুল ইসলাম বাবুল :: যুগান্তরের মালিক শিল্পপতি এই ভদ্রলোক প্রথম জীবনে গোপীবাগের ব্রাদ্রার্স ইউনিয়ন ক্লাবে এলাকার বড় ভাইদের ফাই-ফরমাশ খাটতেন বলে শোনা যায়। মতান্তরে তিনি ছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের টিবয়। "এই বাবুল চা নিয়ে আয়", "বাবুল সিগ্রেট নিয়ে আয় তাড়াতাড়ি" এভাবেই চলতো বাবুল। তবে ঠিক কি উপায়ে তিনি শিল্পপতি হলেন সেটা অজ্ঞাত।

সাদেক হোসেন খোকা : গোপীবাগের আরেক রত্ন। তরুণ বয়স থেকেই একটু নেতা গোছের। স্বাধীনতার পরে ঢাকায় বেশ কিছু ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় এরকম এক বা একাধিক ডাকাতির ঘটনার সাথে খোকা জড়িত ছিলেন বলে শোনা যায়। এরকম একটি ঘটনা পুলিশ / রক্ষী বাহিনীর ত্বড়িত পদক্ষেপে ভেস্তে যায়। একজন স্পট ডেড, ডাকাত শহিদ নামে একজন পালিয়ে যায়। আর খোকা পালিয়ে গোপিবাগের এক ভদ্রলোকের বদান্যতায় রক্ষা পান। তবে বেয়নেট বা অন্য কোন কিছুর আঘাতে তার গালে গভীর ক্ষত তৈরী হয়। আর সেটা ঢাকতেই খোকা পরবর্তীকালে দাড়ি রাখেন। সাকাচৌ সংসদে একবার এটা নিয়ে কথা বলেছিলেন কোন নাম উল্লেখ না করে।

রউফ চৌধূরী : শোনা যায় Rangs এর মালিক রউফ চৌধূরী ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় চোরাকারবারী। বড় বড় শিপ থেকে সাম্পানে করে বিভিন্ন পণ্য আনোয়ারায় নিয়ে এসে পূরো দেশে ছড়িয়ে দিতেন তার মজবুত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। মূল পণ্য ছিল বিদেশী সিগারেট (বেনসন / ৫৫৫) আর ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। ইলেকট্রনিক্স পণ্য চোরাচালান করতে করতেই একসময় সনির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে হয়ে যান তাদের অথরাইজ ডিলার।

মির্জা আব্বাস গং : আব্বাসের মূল বাড়ী কিশোরগঞ্জ হলেও তারা ঢাকায় আসেন অনেক আগে। শাহজাহানপূর / রাজারবাগ এলাকায় এদের ছিল বিশাল ভূসম্পত্তি। এরা লেখাপড়ায় খূব একটা আগ্রহী ছিলেন না। মূল আয় ছিল ভূসম্পত্তি কেনা-বেচা। রাজারবাগের উল্টাদিকে এলাকাটির নাম শহিদবাগ শহিদ সাহেবের নামে (এই ভদ্রলোক আব্বাসের বাবা নাকি চাচা ঠিক জানি না) যিনি ছিলেন আইয়ূব খানের বেসিক ডেমোক্রেসির এক মনোনিত সদস্য। কোন এক সময় আব্বাস ছিলেন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আর সেই সুবাদে ঢাকার ৪টি বাস টারমিনাল থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকা প্রতিদিন চাঁদা কালেক্ট করতেন। এই পরিবারটির বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসায়ে মদদ দানের অভিযোগও আছে। আব্বাসের বাড়ীর ঠিক পাশেই ৬তলা হালিম ম্যানশন, যার ৩য়-৫ম তলা পর্যন্ত ছিল একটা আবাসিক হোটেল, যার বিরুদ্ধে মূলত এই অভিযোগ। এই ভবনটির মালিক আব্বাসের চাচা হাজী আবদুল হালিম। তবে হোটেলের মালিক তিনি না, তিনি কেবল ফ্লোর ভাড়া দিয়েছেন। হাজী সাহেবকে এটা নিয়ে নাকি একবার কটাক্ষ করেছিলেন এলাকার এক লোক এই বলে যে হাজী হয়েও তিনি কিভাবে এই ভাড়ার অর্থ দিয়ে জীবনধারণ করেন। হাজী সাহেব নাকি সতেজে জবাব দিয়েছিলেন তিনি বাড়ী ভাড়া দিয়ে জীবনযাপন করেন। ভাড়াটিয়া কি করে সেটা তার বিষয় না। এই পরিবারের আরেক সূর্য সন্তান ফালু নাকি ছিলেন শাহজাহানপূর গোরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক। বেগম খালেদা জিয়ার কৃপায় তিনি এখন কোটিপতি।

আপাতত এই পর্যন্তই মনে পড়ছে। আরো ছোট-খাট দুয়েকটা আছে। যেমন আখতারুজ্জামান বাবু আর সবুর খান স্বর্ণের চোরাকারবারী। সবুর খান (ড্যাফোডিলের মালিক) কম্পিউটার কেসিং এর মধ্যে করে স্বর্ণের বার নিয়ে আসতেন বলে শোনা যায়। যেহেতু সেসময় কম্পিউটার সামগ্রী করের আওতা বহির্ভূত ছিল, সেসব তেমন একটা চেক করা হোত না।

ডিসক্লেইমার : এগুলো সবই শোনা কথা। কেউ যদি এসব সত্য বলে বিশ্বাস করতে চান তিনি নিজ দায়িত্বে সেটা করবেন। লেখক এর জন্য দায়ী না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫৪
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×