মোটা লোক দেখলেই কেমন যানি অসস্তি হয়। লোকটা আমাকে দেখেই একটা হাসি দিলো।হাসি দেখেই চিনলাম, লিংকন ভাই। উনার হাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে, এই গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার।
আরে লিংকন ভাই চেনায় যায় না।
আরে ফুলে গেছি বুঝলা..উফ কি গরম।
এই হরতালে বের হইছেন?
আরে সরকারি চাকরি, আজ অফিস না গেলে অবস্তা খারাপ। বলেই বিকট শব্দে একটা হাসি দিলেন। আমিও উনার সাথে হাসলাম। বেচারা হাসলেও উনার ভুড়ি দুলে উটছে।
২ নং গেইটে কোন গাড়ি নাই, একঝাক রিক্সা সার বেধে দাড়ান। লিনংকন ভাইয়ের বিশাল বপু দেখে রিক্সাওয়ালার অধিকাংশই নারাজ।তবে একজন রাজি হয়ে গেলেন, সুতরং রিক্সায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল। পুরা রাস্তা জুড়ে খালি রিক্সা আর রিক্সা জানজট নেই ভালই লাগছে। বাদামতলির কাছে আসতেই পুলিশ আর পিকেটারদের সংঘর্ষ শুরু হল। আমি আর লিংকন ভাই প্রানপনে দৌড়াতে থাকি...কিছুদুর গিয়েই সব শান্ত। লিংকন ভাই এমন হাপতে লাগলেন যে উনার ফুসফুস ছিড়ে যাচ্ছে। শান্ত হতেই উনার বস কে এমন গালাগালি শুরু করলেন.. আমি মৃদু হেসে বিদায় নিলাম, আফিস যে সামনেই