তিথনাস হয়ে গেছে বুড়া । চুল তার গেছে পেকে । কিন্তু মওত নাই তার কপালে । অমরত্বের বর পেয়ে এখন তার ছেড়ে দে মা কেদে বাচি দশা । তার প্রেমিকা অরোরা দেবী এখনও সাকিরার মত সমান ওয়াকা ওয়াকা আবেদনময়ী । কিন্তু, তিথনাস এখন আর তার প্রতি আকর্ষণ বোধ করেনা । সে মরণ চায় । মরণ তার কাছে তুহু মম শ্যামসম ।
অরোরা যেহেতু দেবী, সেহেতু তিনি চির-যৌবনা । তিনি তিথনাসের অবস্থা দেখে করূণা বোধ করেন । বোকা মানুষ ! দেবীর কিছু করার নেই । কেননা, দেবতারাও নিজেদের দেওয়া বর ফিরিয়ে নিতে পারেন না !
তিথনাসের এখন নিজের অবস্থার জন্য আফসোস হয় । কেন অমর হতে চাইলো সে ? মরণশীল মানুষের কেন অমর হওয়ার খায়েশ? কেন মানুষ মানবজাতির অন্য সদস্য হতে আলাদা হতে চায় ? এতে আদতে কি লাভ ? প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে গেলে কষ্টের শেষ থাকেনা । মিথ হতে উপদেশ ভাষা পায় ইংরেজ রাজকবি টেনিসনের কবিতায় । Tithonus কবিতায় তিথনাসের মুখ দিয়ে চরম দূ:খে ফিলোসফি বেরিয়ে আসে :
Why should a man desire in any way
To vary from the kindly race of men,
Or pass beyond the goal of ordinance
Where all should pause, as is most meet for all?