রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ তুলে বলেন, “এই দেশটা যেন সরকার মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা যেটা বলছেন; তার মন্ত্রিসভা, উকিল-মোক্তাররা তাই করছেন।”
বিরোধী দলকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার সমালোচনা করে করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, “অন্যদিকে সরকারের আশ্রিত ১৪ দলীয় জোটকে কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হচ্ছে। তাদের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, একাত্তর সালের অর্জিত গণতন্ত্রকে এই সরকার কবরস্থ করছে।”
নয়া পল্টনে ওই সংবাদ সম্মেলনে শামসুজ্জামান অভিযোগ করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কার্যত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দলের নেতাদেরও ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে।
দলের যুগ্মমহাসচিব ও সংসদ সদস্য বরকতউল্লাহ বুলুকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি জোনে রাখার নিন্দা জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, “ওই জোনে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারীদের রাখা হয়। অথচ সেখানে রাখা হচ্ছে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যকে।”
সারাদেশের কারাগারগুলোতে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আটক রাখা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, যত গ্রেপ্তার, হুমকি, নির্যাতন করা হোক না কেন, আন্দোলন থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না।”
আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া থেকে পিছিয়ে গেছেন কেন- জানতে চাইলে শামসুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত।
“কর্মসূচির মধ্যেই আমরা চলছি। অপেক্ষা করুন, কঠোর কর্মসূচি আসছে।”