সমাজ থেকেই তো আসবে রাষ্ট্রের ভিত....
তবে কেন জানি মনে হয় দুই এর সংমিশ্রন ভাল ভাবে হলেই মনে হয় ভাল হয়।আর আমাদের দেশের সরকার তো প্রথম দফায়ই সমালোচনার মধ্যে থাকে,যদিও সেই সমালোচনা গুলো যৌক্তিক অনেক ক্ষেত্রে।অবশ্য তারা মানে,৯০ এর পরবর্তি সময়ে যদি দেখি কোন সরকারই দুই মেয়াদে নির্বাচিত হয় নাই।আর এর ফলে যা হয়েছে,আগের সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো পরে হয় ধামাচাপা পরে গিয়েছে আর না হলে পাশ কেটে ঐ সংশ্লিষ্ট আরেকটি ব্যাপার নতুন করে নেয়া হয়েছে।এ ক্ষেত্রে আমি কিন্তু সরকার বা রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষ দিব না।দোষ আমাদের!
আমরা চাই রাতারাতি পরিবর্তন।তা কি সম্ভব খুব দ্রুত।সম্ভব না।হ্যা কিছু ক্ষেত্রে সরকারের ত্বড়িৎ সিদ্ধান্ত শুরু করতে পারে নতুন কিছু।কিন্তু তা বাস্তবায়নে তো সর্বনিম্ন একটা সময় তো লাগে এবং তা দরকারও কার্যসম্পাদনে।আবার কিছু ক্ষেত্রে সরকারে যাওয়া দলটি যখন হয়ে পরে স্বেচ্ছাচারী তখন বাধ্য হয়ে আমরা খুজে নেই আরেকটি অপশন।কিন্তু দিন দিন এই অপশন যে কমে যাচ্ছে তা প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিক এবং রাজনীতিকমনা মানুষদেরই চিন্তার বিষয়।আমরা জনগন আর চিন্তা করবোনা এই অপশনের স্বাদ গ্রহন করতে,তা অন্তত আমি কেন বেশিরভাগই চিন্তা করবে এবং করে জানি।হোক আমাদের সময় নষ্ট তাতে কি।কথায় আছে না-যার ঘরই নাই তার আবার ঘরের চিন্তা কি?
মাহাথির মোহাম্মদ যিনি সফল মালয়েশিয়ার রুপকার এবং বাস্তবায়নকারি,উনার একটি সাক্ষাতকার আমি দেখেছিলাম বাংলাদেশেরই একটি টিভি নিউজে।আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে উনি বলেছিলেন-আপনাদের একটা ভাগ্য খারাপ যে আপনাদের সরকার দীর্ঘমেয়াদের ক্ষমতায় থাকে না।যা দরকার একটি দেশের প্রাথমিক উন্নতির জন্য।
হ্যা মাহাথির আপনি ঠিকই বলেছেন।আমাদের ভাগ্য খারাপ এবং তা আমাদের ভোগাচ্ছে এবং ভোগাবে মনে হয়।আমাদেরই বা কি করার আছে তা যখন চিন্তায় আসে,সত্যি কিছুই খুজে পাই না ভবিষ্যতের জন্য।কোন সরকারের বা আমাদের পরিচালনাকারি প্রশাসন এর বিরুদ্ধবাদি আমি নই।আমি শুধু এ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারগুলোর কার্যস্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কিত।আমরা বন্ধুরা যখন গল্প করি তখন চলে আসে অনেক ব্যাপার,সেখানে দেশ নিয়েও কথা হয়,তর্ক হয়,আলোচনা হয়।কিন্তু কেউই আমরা বলতে পারি না অথবা বলতে পারেন ভাবতে পারি না দেশের সবকিছু হচ্ছে দির্ঘস্থায়ী কোন কিছু।তা কি শুধু আমাদেরই দোষ?
যে পথ দেখায় সে ওস্তাদ,তিনি গুরু।কিন্তু আফসোস যে আমাদের দেশে সে ধরনের দৃষ্টান্তমুলক কোন মানুষ নাই যাকে দেখে আমরা উৎসাহিত হবো,যে আমরা পারবো।হতে পারে আমার চিন্তা ভাবনা আমার মতো।কেউ কেউ বলতে পারেন এ আবার জ্ঞানীর মতো কথা,তা বলতে পারেন ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে।তাতেও আমার সমস্যা নাই।কিন্তু জানি আপনারাও কোন না কোনভাবে চিন্তা করেন আপনার এই প্রিয় মাতৃভুমিটাকে নিয়ে।তাই তো এই জ্ঞানগর্ভ কথা এই সাধারন মানুষের কাছ থেকেও বের হওয়ার পায়াতারা সমাজে বিদ্যমান।
প্রায়ই আমরা বলে থাকি সমাজটা আগের মতোই থাকলে মনে হয় ভাল হতো।একসময় মানুষ তার গন্ডিটা ততটা প্রসারিত করতে পারতো না,কিন্তু যা ছিল তা পিউর বা বিশুদ্ধ ছিল তা কি আর বলতে।সেখানেও যে খারাপ মানুষ ছিল না যে,তা না।কিন্তু সেই ভাল মানুষের ভিড় আর সীমাবদ্ধ গন্ডির ভেতর থেকেও যারা খারাপ ছিল তারা কতটা খারাপ ছিল তার প্রথম উদাহরনের জন্য মনে হয় ‘মীরজাফর’ নামটাই উচ্চারন করা যথেষ্ট।
আর এখন কি সমাজ কি রাজনীতি কি বুদ্ধিনীতি সব জায়গায় বেশিরভাগই দুষ্ট আর স্বার্থপরতার ছোয়া।তা থেকেই প্রথম বের হয়ে আসা দরকার তা বলতেন মাহাথির,যদি উনি জানতেন আমাদের সম্পর্কে।
বলছিলাম দেশ নিয়ে এইতো আমি এই মুহুর্তে নেমে আসলাম ব্যাক্তি কেন্দ্রিকে।সমাজের সব মানুষ আর সব চিন্তা আসলে ব্যাক্তি কেন্দ্রিকই এখন।তার মানে এই আমিও!আর এটাই সমস্যা।দেশের সরকারী দল চেষ্টা করছে কিছু গুনগত পরিবর্তন আনতে।তারা সে ব্যাপারগুলোতে কিছুটা সফল হওয়ার আশা জাগিয়েছে তা ঠিক আছে।কিন্তু আমাদের চিন্তা-ভাবনা?
দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিনেট নির্বাচন হয়েছে,আমাদের বিচার নিয়ে যারা লড়বে সেই আইনজীবি সমতির নির্বাচন আর আমাদের যারা সংবাদ পরিবেশন করবে তারাতো নির্বাচিত হয়েই আছে।কিন্তু সবগুলোতে বর্তমান সরকারি দলের সুদৃষ্টিতে থাকা পক্ষ একপ্রকার পরাজয়ের স্বাদ গ্রহন করেছে।অবশ্য আর কেউ শংকিত হলেও আমি অন্তত এই ব্যাপারে শংকিত না।এই ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি-যার যত লোক তার তত ভোট!সেখানে কতটুকু সংশ্লিষ্ট সু-চিন্তার বীজ রোপিত হবে তা যেমন আমি জানি তেমনই আপনারাও জানেন।হবে না।
সমাজে অপরাধ করলে তার শাস্তি বিদ্যমান থাকবে,এইটাই চিরাচরিত নিয়ম।কিন্তু আমাদের এখানে তা ঝুলেই থাকবে।সেক্ষেত্রে প্রথমেই সর্বোচ্চ বিচারিক জায়গায় তার বিচার আটকে থাকবে বা আটকে রাখা হবে।আর তা লড়ার জন্যও রেডি থাকবে সব নির্বাচিত মানুষজন।
আর তাই হোক এ পরিবর্তন,তা যা আছে তার চেয়েও বেশি যতটা আমাদের দরকার।দিন কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে,সময় কিন্তু পিছিয়ে আসতেছে।এ সময় ভাবনা যদি সঠিক না হয়,শুভ না হয়।তাহলে এই ব্যাক্তিকেন্দ্রিক সমাজ আর দলীয়ভিত্তিক রাষ্ট্রকাঠামো কখোনোই স্থায়ীত্বভাবে গতিয়মান হবে না।থাকবে সব অস্থায়ী আর আমরাও হবো ক্ষনিকের।প্রজন্মর পর প্রজন্ম আসবে।বদলাবে না এই সমাজ।
সমাজ থেকেই তো আসবে রাষ্ট্রের ভিত...
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা
আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন
One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes
শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।
আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!
এই... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঁচতে হয় নিজের কাছে!
চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু। লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন