আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে মেট্রোরেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
Published : 19 May 2013, 02:56 PM
তিনি বলেন, উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপো নির্মাণে রাজউকের মালিকানাধীন ৪১ বিঘা জমির মালিকানা রোববারই বুঝে নিচ্ছে ডিটিসিএ।
ইতোমধ্যে মেট্রোরেল অপারেশনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্রও পাওয়া গেছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল রুটের বিস্তারিত নকশা তৈরি ও নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাবের মূল্যায়ন চলছে। এছাড়া এ প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অর্থদাতা সংস্থা জাইকার সম্মতির জন্য পাঠানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯শত ৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ১৬ হাজার ৫ শত ৯৪ কোটি টাকা জাপান সরকার দেবে।
এ বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাইকার সঙ্গে সরকারের একটি ঋণচুক্তিও হয়েছে।
২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এই উড়াল রেলপথ উত্তরা থেকে শুরু হয়ে পল্লবী হয়ে সংসদ ভবনের পাশ দিয়ে খামারবাড়ি হয়ে ফার্মগেইট দিয়ে মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত যাবে।
পরিকল্পনা কমিশন তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলবে তিন ধাপে। প্রথমে পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত (১১ কিলোমিটার) ২০১৯ সালের মধ্যে, দ্বিতীয় পর্যায় সোনারগাঁও হোটেল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত (৪ দশমিক ৪০ কিলোমিটার) ২০২০ সালের মধ্যে এবং তৃতীয় পর্যায় পল্লবী থেকে উত্তরা পর্যন্ত (৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার) ২০২২ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই মেট্রোরেল চালু হলে এ রুট ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৬০ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারবে।
অন্যদের মধ্যে যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।