somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নামায

২২ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারাবীহ রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। দিনের বেলা সিয়াম, রাতের বেলা কিয়াম রমজানের প্রধান বৈশিষ্ট্য। রোজার দ্বারা যেমন মানুষের সকল পাপ মোচনে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তেমনি তারাবীর দ্বারাও। রোজা ফরজ আর তারাবী সুন্নতে মুয়াক্কাদা। তবে সুন্নত হলেও গুরুত্বের দিক থেকে অন্যান্য সুন্নত থেকে এর গুরুত্ব অনেক বেশি।

নামাজের দৈহিক উপকারিতা
ইসলাম ধর্মে যে পাঁচটি কাজকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তার মধ্যে নামাজ অন্যতম। এটা এমন একটি ইবাদত যা মানুষকে মহান আল্লাহপাকের কাছাকাছিই করে না, শারীরিক কল্যাণও সাধিত হয়। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হলো কারো বাড়ির পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত স্রোতধারার মতো। কোনো ব্যক্তি তাতে পাঁচবার গোসল করলে যেমন গায়ে ময়লা থাকতে পারে না, তেমনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও মানুষকে পবিত্র করে দেয়।’

মহিলাদের জামাতে সালাত
জামাতের সাথে সালাত আদায়ের জন্য মহিলাদের মসজিদে উপস্থিতির বিষয়টি তর্কাতীত নয়। এ বিতর্কটি খোদ সাহাবায়ে কিরাম রাঃ-এর যুগ থেকে চলে আসছে। এখনো মতানৈক্য চলছে। কিন্তু মহিলারা জামাতে সালাত আদায় করতে পারবেন না বা তারা যদি জামাতে সালাত আদায় করেন তাহলে সেটি শুদ্ধ হবে না­ এমন কথা কেউ বলেননি। কারণ অনেক মহিলা সাহাবি খোদ রাসূলুল্লাহ সাঃ-এর সাথে জামাতে সালাত আদায় করেছেন বলে বহু হাদিসে বর্ণিত আছে।

ভোর রাতের শরঈ পরিভাষা
গলছের সময়টা ফাজরে সাদেকের সময়ের অন্তর্গত এবং এর প্রাথমিক অংশ। শাফেই ও হাম্বলি ইমাম ও ফকিহগণের মতে ফাজরে সাদেকের সময় যখন শুরু হয় তখন ভূ-পৃষ্ঠেও ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকে, যেমন থাকে পূর্ব দিগন্তে। হানাফি ফকিহগণের বক্তব্য হলো ফাজরে সাদেকের মতো গলছের সময়ও শুধু অন্ধকার নয়, বরং তার সাথে আলোর প্রকৃতি দিয়েই নির্ণীত হবে।

ফাজরে সাদেকের সময় নির্ধারণের মানদণ্ড
কুরআনে করিমে ফাজরে সাদেকের সময় নির্ধারণের মূল মানদণ্ড একটিই নির্দেশ করা হয়েছে। সেটা হচ্ছে, ‘আল-খায়তুল-আছওয়াদ’ থেকে ‘আল-খায়তুল-আবইয়ায’-এর ‘তাবাইয়ুন’ হলেই ফাজরে সাদেক শুরু হয়। ফাজরে সাদেক কখন শুরু হয় সে বিষয় নিশ্চিত করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাঃ এদের ব্যাখ্যা দিয়ে এরশাদ করেছেন, ‘আল-খায়তুল-আছওয়াদ’-এর অর্থ দিগন্তের সাথে সেঁটে থাকা রাতের অন্ধকার এবং ‘আল-খায়তুল-আবইয়ায’-এর অর্থ ‘দিনের আলো’।

নিয়মিত নামাজ আদায়ের তাৎপর্য
কালিমা স্বীকার করার পরেই যে কাজটি একজন মুসলমানের জন্য অবধারিত হয়ে যায় তাহলো নামাজ। কারণ কালিমা বিশ্বাস করার পরে নামাজ না পড়লে এই বিশ্বাসের কোন অর্থ হয় না। তাছাড়া কালিমা বিশ্বাস করার সঙ্গে সঙ্গে তার উপর ইসলামের যে পাঁচটি বুনিয়াদ-কালিমার পরে বাকী চারটি তথা- নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাত ও তার উপর অবধারতি হয়ে যায়।

ফজর-এর ইসলামী সংজ্ঞা
ফজর-এর প্রকারভেদ এবং তার প্রকৃতি সম্পর্কে মোফাসসেরিনে কেরাম, মোহাদ্দেসিনে কেরাম ও ফকিহ-মোজতাহেদিনে কেরাম র্কতৃক কুরআনে কারিম ও হাদিসে নববী সাঃ-এর নির্দেশনার আলোকে দেয়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ আমি এখানে তুলে ধরতে চেষ্টা করব। ফজরের ইসলামী ব্যাখ্যাঃ ফজর অর্থ প্রত্যুষে পূর্বাকাশে দৃশ্যমান শুভ্র আলো। ভোরবেলায় এ আলোর (লম্বা, বিস্তৃত, কৃত্রিম ও প্রকৃত নির্বিশেষে) উদয়ের মুহূর্ত থেকে সূর্যোদয়ের মুহূর্ত পর্যন্ত পুরো সময়কালকে শরিয়তে ফজরের সময় বলা হয়।

জুমার নামাজের শর্ত
জুমার নামাজ বড় শহর বা ছোট শহর বা শহরতুল গ্রামে হওয়া আবশ্যক। কেননা ছোট পল্লীতে বা মাঠে, নদী বা সমুদ্রের মধ্যে জুমার নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়। যে গ্রাম ছোট শহরতুল্য যেমন- ৩ থেকে ৪ হাজার লোকের বসতি আছে, তথায় জুমার নামাজ জায়েজ।

ফরজ নামাজ শেষে ইমাম ও মুক্‌তাদির করণীয়
ফরজ বলতেই মনে করা হয় অবশ্য পালনীয় কিছু একটি কাজ। ফরজ সালাত আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নির্দেশিত ইবাদত। এখানে ইচ্ছা করলে পালন করলাম আর ইচ্ছা না থাকলে ছেড়ে দিলাম। এমনটি হয় না। এ ছাড়া সালাত সুন্নত ও নফল সবই আল্লাহর জন্য। তবে রাসূল (সাঃ)-এর অনুকরণে বা তার নির্দেশে আদায় করা হয় বলে একে সুন্নত বলা হয়। গুরুত্বের দিক দিয়ে ফরজ সালাত তুলনাহীন, এর সাথে যাতে অন্য কোনো সালাতের গুরুত্ব সমান মনে না করা হয়, সে জন্য ফরজ সালাত অন্তে রাসূল (সাঃ) এমন কিছু কাজ করতেন যাতে এর পরবর্তী সালাত হতে এর বৈশিষ্ট্য আলাদা হয়ে যায়।

জুমার খুতবা
রাসূল (সা·)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির পর আল্লাহর একেশ্বরবাদ যখন জারি হল, তখন আরব দেশে প্রচলিত ছিল বহু দেব-দেবীর মূর্তিপূজা। পৌত্তলিকরা ছিল অর্থবিত্তে, সামাজিক মর্যাদায় এবং প্রভাব প্রতিপত্তিতে সমাজের অত্যন্ত প্রতাপশালী ব্যক্তি। বহু দেব-দেবীর প্রতিমা পূজাকে বাতিল ঘোষণা করে, সেই জায়গায় ইসলামের একেশ্বরবাদ প্রচার করা রাসূল (সা·)-এর জন্য ছিল যথেষ্ট ঝুঁকির কাজ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×