আমার চোখে আমার বাবা বর্তমান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। নিতান্তই এক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান আমি। তিনি ছিলেন এক জন কৃষক। আমার বাবার জমিজমা যা ছিল তা নিতান্তই সামান্য। কিন্তু তিনি মাটির ভাষা বুঝতেন। ফলে সামান্য জমিতেই তিনি ফলাতেন সোনার ফসল। আমাদের সংসার চলত সুখেই। তিনি নিজে কোন ডিগ্রীধারী নন। এক সময় নাম দস্তখত শিখেছিলেন। পরে চোখে কম দেখেন বলে আর শিখেননি। কিন্তু এটা বুঝতেন আমাদের সবারই পড়াশোনা করা দরকার। তাই তো আমাকে তিনি স্কুলে পাঠিয়েছেন। অন্য অনেক কৃষককেই তো জানি । তারা তাদের সন্তানদেরকে স্কুলে পাঠাননি। আমার বাবার উদারদতার জন্য আমার আজ বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবোর্চ্চ ডিগ্রী পর্যন্ত রয়েছে। এটা তা ই আমার নয় আমার বাবারই অর্জন। তার কারণেই আজ আমি বিশ্বকে দেখতে পারছি। আধুনিক সব প্রযুক্তি সাথে পরিচিত হতে পারছি। আলো আর আধারের পার্থক্য বুঝতে পারছি। এসবই আমার বাবার অসামান্য অবদান। তিনি আমার নিকট বিশাল এক বটবৃক্ষ। আমার আশ্রয়।
আমাকে শিক্ষার আলোর সুযোগ তিনি যদি না দিতেন তাহলে আমি নিজে আজো অজপাড়াগায়ের এক জন কৃষকই থাকতাম। জানা হতো না কিছুই। আমি সর্বান্তকরণে আমার বাবার সর্বলৌকিক কল্যাণ কামনা করি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা তিনি যেন আমার বাবার সার্বিক কল্যাণ করেন।
আজ আমি নিজেও এক জন বাবা। এখন আমি বুঝি একজন বাবার তার সন্তানের জন্য কি আকুতি।
যখন আমি নিজেই বাবা