আচ্ছা বলোত! এমন হলে কেমন হবে,
আমাদের নাই কোন ঠিকানা
ঘুরছি ফিরছি মোরা যাযাবরের মত
এই গাঁও সেই গাঁও সারা গাঁও ধরে
মুক্ত গগনে মোরা যাই উড়ে উড়ে।
খাচ্ছি বাগিচার ফলমূল তুলি
দুনিয়ার সব কাজ পিছনেতে ফেলি
তোমার বাড়িটা হবে আমার হৃদয়ে
সেই নীড়ে রাখব যে তোমায় লুকিয়ে।
না হলে এমনিভাবে জীবন সাজাই
দুজনে চল অজানার দেশে যাই,
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ছোট্ট কুটির
ঘাসের ডগায় জমে ভোরের শিশির।
সূর্য্যিটা পূবাকাশে উঁকি মেরে যাবে
চলনা সেই গাঁয়ে বাঁধি মোরা নীড়
তালপাতার ছাউনিতে বাঁধিব কুটির।
রাতে চাঁদের আলো ঝরে ধরনীতে
সাগরে তুফানভারী ভরা জোয়ারেতে
পাহাড় চূড়ায় বসে দেখিব দুজন
থেকে থেকে ডেকে যাবে পাখির কূজন।
নাবিক হাকিয়া কবে তুলে ধর পাল
ঐ বুঝি নামিয়াছে পাহাড়ের ঢল,
শক্ত করিয়া ধর নোঙ্গরখানা
জাহাজ ভাসিয়া চলে দূর অজানায়।
সাগর তীরে চল বাঁধি মোরা ঘর
আমি হব বধুয়া তুমি হবে বর
সাগর তীরে বয় মিষ্টি বাতাস
মাথার উপরে রবে মুক্ত আকাশ
সেইখানে চল মোরা বাঁধি ছোট নীড়
খুড়কুটো দিয়ে তোল ছোট্ট কুটির
একদিন বৈশাখি ঝড়ো হাওয়া এসে
গহিন সাগর জলে নিয়ে যাবে ভেসে
সাগরের মাঝবুকে গড়ব যে বাসা
দুচোখে স্বপ্ন আজ দোলে ভাসা ভাসা।