দুই প্রধান জোটের বিরোধপূর্ণ অবস্থানে সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 24 Aug 2013, 09:39 AM
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আর আলোচনায় না বসার পরিকল্পনা এতদিন না থাকলেও বিভিন্ন মহল থেকে জোর দাবি ওঠার প্রেক্ষাপটে একজন নির্বাচন কমিশনার সংলাপের এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের অন্যতম স্টেকহোল্ডার রাজনৈতিক দল। তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্র্রয়োজন বোধ করলে তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আমরা।”
সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারি মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হবে। তার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোরে পাশাপাশি সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছে ইসি।
এটিএম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পরই নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল।
এবারো তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বরের মধ্যেই এই সংলাপ শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেনে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির পর আগামী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষপাতি হলেও দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার হুমকি রয়েছে বিএনপির।
রাজনৈতিক এই সঙ্কট উত্তরণে কূটনীতিকসহ বিভিন্ন মহল সংলাপের তাগিদ দিয়ে আসছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনও।
মো. শাওনেওয়াজ বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।”
নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, তা ঠিক করার এখতিয়ার ইসির নেই। তবে সংলাপের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে কাছাকাছি আনা যাবে বলে মনে করছে তারা।
পাঁচ সদস্যের বর্তমান ইসি গত বছর রাজনৈতিক দলগুলোতেক নিয়ে সংলাপ করলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোট শরিকরা তাতে অংশ নেয়নি। তবে সংলাপ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে ইসির চিঠি চালাচালি ও যোগাযোগ রয়েছে।