পা রাখলো আমার উঠোনে। তুমি বলেছিলে আনন্দের কি কোনো রং হয়
কিংবা বিষাদের? আমি জানিনা আনন্দের কিংবা বিষাদের কোনো রং হয়
কি না। শুধু জানি বিষাদের নৈঃশব্দ্য থেকে প্রায়ান্ধকার একটি কাক উড়ে
গিয়েছিল সেদিন।
কিভাবে কিছু কিছু অপার্থিব দৃশ্য তবু নৈঃশব্দ্যের ভাষায় কথা বলে।
শূন্যতার পারম্পর্য গাঁথে। নিরালম্ব কিছু কোলাহল স্থিতি পায়।বিহ্বলতা কিংবা ভয়াবহ কোনো থমথম বিষন্ন বিকেলের মতো থম ধরে থাকে।
মেঘের স্তব্ধতার মতো কিছু স্তব্ধতা লেপ্টে থাকে মরাটে আলোর মতো
অদৃশ্য কিংবা বিমূর্ত কোনো দেয়ালে।
ফোকর গলে তবু জীবনাভাস অথবা তীব্র আহ্লাদী কোনো জিজীবিষা
কাতর প্রার্থনার মতো হাঁটু গেড়ে বসে আমাদের গার্হস্থ্যে ও যন্ত্রণায়।
দুঃখবাদী নারীর মতো বিষাদের জলছবি আঁকে। জলছবি আঁকে ধূসর
হয়ে যাওয়া দেয়ালের অথবা আমাদের খুব অনিশ্চিত হয়ে যাওয়া ভবিতব্যের।
বিষাদ হাঁটু গেড়ে বসে থাকে আমাদের ধুলোবালিঘেরা উঠোনে। আনন্দের
কোলাহল থেকে মুঠো মুঠো বিষাদ থমথম মেঘের মতো ছিটকে যায়
আমাদের অভ্যস্ত হওয়া অনভ্যাসের ভেতর। প্রায়ান্ধকার একটি কাক তবু
উড়ে যায় তীব্র পাখসাটে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:০৭