somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডা. জাকির নায়েক অবাক বিস্ময়ের নাম!

১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকল মসলমানদের বলছি একটু কষ্ট করে হলেও এই পোষ্টটি একবার পড়ুন

ইসলাম ও মসলমান আজ মহুমূখী ষড়যন্ত্রের শিকার প্রশস্ত এই পৃথিবী আবারো যেন সংকীর্ণ হয়ে আসছে মুসলমানেদের জন্য।
ইসলামের বিরুদ্বে তাগুতি শক্তির আক্রমণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রুপে হয়ে থাকে কখনও বা তারা সরাসরি শক্ররুপে ইসলাম ও মসলমানদের নিশ্চিত করে দেওয়ার চেষ্টা করে আবার কখনও বন্ধুবেশে ইসলাম ও মুসলমানদের খেদমতের নামে তাদের তগুতি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটানোর প্রচেষ্টা চালায়। যাই হোক ইসলাম ও মসলমানদের বর্তমান সময়ের কারুন দূর্দশারগল্প শোনানো আমার উদ্দেশ্য নয়। বরং সেদিকে সামান্য ইঙ্গিত দিয়ে বর্তমান সময়ের আলোচিত ব্যক্তিত্ব ডা. জাকির নায়েক সম্পর্কে ইসলামিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিজ্ঞ আলেম ওলামাদের কিছু মন্তব্য ও আলোচনা কুরআন-হাদিসের আলোকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। তার আগে উপরে বর্ণিত আলেম শদ্ব সম্পর্কে আপনাদেরকে সামান্য ধারণা দিতে চাই। হুজুর সা. এরশাদ করেন, আমরা নবীরা মৃত্যুর সময় ধন-সম্পত্বি রেখে যাই না, আমাদের সম্পত্বি হচ্ছে ইল্ ম। আর কুরআন-হাদিস তথা ওহীর ইলমপ্রাপ্ত হয়েছেন সরাসরি আল্লাহ থেকে। সুতরাং, হুজুর সা. এর শিক্ষক হচ্ছেন স্বয় আল্লাহ জাল্লাশানুহ। আর একথাও বলা নিশ্প্রোয়োজন যে, আল্লাহ তাআলা নবী সা. কে শুধুমাত্র কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন তাবিঈদেরকে, তারা শিক্ষা দিয়েছেন তবে-তাবিঈদেরকে। এভাবে কিয়ামত অবধি হুজুর সা. থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষাদানে এ সিলসিলা চালু থাকবে। আর এ মমস্ত শিক্ষকের কাছ থেকে যারা শিক্ষা লাভ করেন ইসলামের পরিভাষায় তাদেরকে আলেম বলা হয়। এখন ডা.জাকির নায়েকের যে সমস্ত বই বাংলাদেশে পাওয়া যায়, চাই তা বাংলায় হোক বা ইংরেজি হোক তাতে তার যে জীবনী পাওয়াযায় তাতে লিখা আছে ডা. জাকির নায়েক ১৯৬৫ সালের ১৫ অক্টোবর ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। তাতে আরো লিখা আছে, তিনি মুম্বাই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এ পর্যায়ে আমি আপনাকে জিজ্ঞস করি, জনাব নায়েক সাহেব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করে ডা. জাকির নায়েক হয়েছেন, না নিজে নিজে বই পড়ে ডাক্তারি ডিগ্রি পেয়েছেন? অবশ্যই শিক্ষকের কাছে পড়ে। তার ডাক্তারি পেশা চলাকালে হঠাৎ এসময় তার ধর্ম সম্পর্কে জানার এবং তা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণের আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই তিনি কুরআন-হাদীস ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থাদি অধয়ন করতে আরম্ভ করেন। এবং স্বল্প সময়ের পরিসরে তিনি করআন-হাদীসের আলোকে বিজ্ঞান, গঠনমূলক যুক্তি ও অন্যান্য শিক্ষাকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াসি হন। বর্তমান আধুনিক মুসলিম সমাজে তিনি ইসলামী পন্ডিত, দ্বীনের দাঈ, বাগ্মিবক্তা হিসাবে পরিচিতি। এ পর্যায়ে আমি আপনাদের কয়েকটি প্রশ্ন বরব। আপনি আপনার ইনসাফপূর্ণ বিবেক দ্বারা প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা জানি যে, ইঞ্জিনিয়ারং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে মানুষ হয় ইঞ্জিনিয়ার, মেডিকেলে পড়ে হয় ডাক্তার। ঠিক এমনিভাবে এজন শিক্ষার্থী কুরআন-হাদীসের শিক্ষাকেন্দ্রে মাদরাসায় পড়ে হয়, আলেম বা ইসালামী পন্ডিত। এখন ডা. জাকির নায়েকরে বইয়ের মধ্যে দেখা যায় যে, তিনি বর্তমান বিশ্বের একজন ইসলামী ব্যাক্তিত্ব বা পন্ডিত। তিনি যেহেতু কুরআস ব্যখ্যা করেনে এ জন্য তাকে- মোফাচ্ছির, হাদীস ব্যাখ্যা করেন বলে- মোহদ্দিস এবং ধর্মবিশ্লেষণ করেন বলে ধর্ম বিশ্লেষক বলাহয়। এখন আমি আপনাদের প্রশ্ন করি, জাকির নায়েক সাহেব মেডিকেল কলেজে পড়ে যদি ডা. জাকির হন, তাহলে তিনি ইসলামের পন্ডিত ব্যাক্তিত্ত হলেন কোন মাদ্রাসায় পড়ে? কিশ্বের অন্যাণ্য দেশের কথা বাদই দিলাম আমাদের বাংলাদেশেআপনি কখনো শোনেছেন যে, কেউ মেডিকেল কলেজে না পড়ে ডাক্তার হয়েছে? অবশ্যই উত্তর দিবেন না। এই না উত্তর কেন দিলেন। বাংলাদেশের লাইব্রেরীতে কি এমবিবিএ কোর্স তথা মেডিকেল কলেজের বই পাওয়া যায় না? বাংলাদেশে তো ডাক্তারী পেশার বহু দামী এবং বিজ্ঞ ডাক্তারের বড়ই অভাব, তাহলে কোন মেধাবী ছাত্র লাইব্রেরী থেকে বইকিনে নিজে নিজে বই পড়ে ডাক্তার হয় না কেন? এই কেন প্রশ্নটির জবাব হচ্ছেম কেউ যদি ডাক্তারী বইগুলো নিজে নিজে পড়ে মুখস্থ কের তার নামের সাথে ডা. লেবেল লাগিয়ে কোন দিন ডেম্বার খোলে বসে, তাহলে বেচারা জনাবের ডাক্তারি পেশার প্রথম রাতটা বাসার নরম বিছানায় কাটবে, না তার লোহা-শিকলে আব্দ জেলখানায় কাটবে? এখন আপনি চিন্তা করুন দুনিয়ার সামান্য একটি পেশা ডাক্তারির জন্য যদি নিজে নিজে মেডিকেল সাইন্সর বই পড়ে ডাক্তার হওয়া যায় না, তাহলে যে কুরআন-হাদীস মানব জীবনের ইহ-পরকাললীন সকল সমস্যার সমাধানকল্পে প্রেরিত তার বেলায় কি নিজে নিজে পড়াশোনা করে কুরআন-হাদিস বুঝা যায়? সামান্য ডাক্তারি বিদ্যার্জনে যদি এত আইন কানুন প্রযোজ্য হয়, তাহলে ইসলামকি এতই দেউলিয়া যে যারা পেটায় এরাও কি গন্ডমূর্খ নয়? আপনি নিশ্চই গাড়ি দেখেছেন। আচ্ছা বলুন তো মানাষ কি জন্মগতভাবেই গাড়ি চালানো শিখা জন্ম নেয়, না, কোন উস্তাদের তত্ত্বাবধানে? অবশ্যাই উস্তাদের তত্ত্বাবধানে। এখন যদি কোন সানুষ একথা বলে যে গাড়ি যারা চালানো শিখায় তারাও তো আমার মত মানুষ, তাহলে তারা পারলে আমি পারব না কেন? এই বলে সেই ড্রাইভিংয়ে অজ্ঞ ব্যাক্তি যদি নিজে নিজে গাড়ি চালানো শিখতে যায়, তাহলে বিবেককে জিজ্ঞাসা করে বলুন তো সে গাড়ি চড়বে, চালাবে না গাড়ি তাকে চড়বে, চালাবে? প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনিই তৈরী করুন। এখন একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন তো কুরআন-হাদীস আল্লাহ ত’আলা আমাদের দিয়েছেন, এর মাধ্যমে আমাদের জীবনের আসল উদ্দেশ্য আল্লাহ তা’আলাকে সন্তষ্ট করে জান্নাতে যাওয়া এবং জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভের জন্য। এই দৃষ্টিকোণ হতে চিন্তা করলে দেখা যায় যে এই পৃথিবীটা হচ্ছে একটি গাড়ি, হুযুর মা. কে মহান প্রভু এই গাড়ি চালানো শিক্ষা দিয়েছেন । শিক্ষা-শিখনোর এ সিলসিলা কিয়মত অবধি চলতে থাকবে। বর্তমান সময়ে এ সিলসিলাভূক্ত হয়ে যারা কুরআন-হাদীস শিখেছেন তাদেরকেই আলেম বলে। বুঝে থাকলে বলুন নিজে নিজে বই পড়ে আলেম হয়েছেন, না নবী সা. এর শিখানো ছাত্রদের সিলসিলাভূক্ত হয়ে? নিশ্চই সিলসিলাভূক্ত হয়ে, এখন কোন ব্যক্তি যদি রাস্তার মধ্যে ড্রাইভিং না শিখে গাড়ি চালানোর দুঃসাহস করে বসে, তাহলে তার ঠিকানা যেমন হসপিটাল বা কবর হবে, তেমনিভাবে আরেম না হয়ে যদি কেউ কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা করার ধৃষ্ঠতা দেখায় তাহলে তার গোমরাহী বা পতদ্রষ্ট হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। আর জাহান্নাম ছাড়া কোন গন্তব্য নাই। ডা.জাকির নায়েকের জীবনীতে তিনি আলেম হওয়ার কোন গোমরাহী তথা জাহান্নামারে পথে পা বাড়ালেন এবং শত মানুষকেও এ পথের যাত্রী বানালেন তা আমার বুঝে আসে না। হে ভাইয়েরা আমার, সরল মনেরকঠিন কথাগুলো আবেগের বশীভূত হয়ে কিংবা জাকির নায়েকের শত্রু বাভাপন্ন হয়ে বলছি না। আপনি একু গভীর মনযোগের সাথে চিন্তা করলে আপনিও এক মত হবেন। এখন অনেকে হয়ত আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে. বেচারা নায়েক সাহেব তো কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা করে এর খেদমত করছেন। এতে অসুবিধা কোথায় এবং এটা তার গোমরাহীর কারণ হয় কিভাবে? আপনি এই রেখাটি মনযোগের সাথে পড়ে থাকলে আপনা এ প্রশ্নের উত্তর আপনি পূর্বেই পেয়ে গেছেন। তার পরও বুঝার স্বার্থে ডা.জাকির নায়েকের বিকৃত ব্যাখ্যার দু একটি উদাহারণ পেশ করছি। কুরআন-হাদীস শিক্ষক ছাড়া নিজে নিজে পড়ে এর ব্যাখ্যা করার হীনমন্যতা দেখিয়ে কতজন যে গোমরাহ ও পথদ্রষ্ট হয়েছে ইতিহাসে তাদের আলোচনায় ভরপুর। জনাব নায়েকের মুখ থেকে এই অল্পদিনে কুরআন-হাদীসের যে বিকৃত ব্যাখ্যা বের হয়েছে তা লিখতে গেলে দীর্ঘ পরিসর প্রয়োজন। তাই এ ক্ষুদ্র পরিসরে সেদিকে সামান্য ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করব। এক হাদীসে আছে হুযুর সা. এরশাদ করেন বনী ইসরাইল ধর্ম নিয়ে দলাদলি করে ৭২ দলে বিভক্ত হবে। আর আমার উম্মতরা ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। মুহাদ্দীসিনে কেরাম সবাই একমত যে এখানে উম্মত বলতে মসলমানকেই বুঝানো হয়েছে। কিন্ত ডা.জাকির নায়েক সাহেব তার “ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের সাদৃশ্য” বইয়ে এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, এখানে উম্মতের বুঝানো হয়নি বরং এখানে উম্মত দ্বারা মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের সৃষ্টি হবে যেমন মসলমান, হিন্দু, বৌদ্ব, খীসা্টন ইত্যাদি ধর্মে বিভক্তি বুঝানো হয়েছে। এখন আপনি বলুন তো আলেমদের ব্যাখ্যা আর ডা.জাকির নায়েকের ব্যাখ্যা কি একই না আকাশ পাতাল ব্যবধান? অবশ্যই ব্যবধান। বিষয়টি আরেকটু খোলাসা করে দেই। উম্মত আরবী শদ্ব, এর বাংলা অভিধানিক অর্থ হচ্ছে অনুসারী। যারা মাহান আল্লাহকে এক বলে শ্বীকার করে এবং মুহাম্মদ সা. কে নবী বলে মান্য করে ইসলামের পরিভাষায় তাদেরকে উম্মতে মুহাম্মদী বা মুহাম্মদ সা. এর অনুসারী বলা হয়। আর মুহাম্মদ সা. কে যারা অনুসরণ করে তাদেরকে বলা হয় মুসলমান। বুঝে থাকলে একন আপনি বলুন তো অন্যান্য দর্মালম্বীরা যদি মুহাম্মদ সা. কে নবী বলে শ্বীকার করতো তাহলে তার আনীত ধর্ম ইসলাম ছেড়ে অন্য ধর্ম পালন করে কেন? আর উসলাম ধর্ম পালন না করে নবী স. কে অশ্বীকার করলে উম্মতে মুহাম্মদী বা মুহাম্মদ (সা) এর অনুসারী হয় কেমন করে? আমার বুঝে আসেনা এই অতি সাধারন একটি আরবী শদ্বের আভিধানিক ও পরিভাষিক শদ্বের পার্থক্য যে নিরুপণ করতে পারে না, সে আবার ইসলামী পন্ডিত হয় কেমন করে? যারা তাকে পন্ডিত বলে মুলিম সমাজে প্রচারণা চালায় তারাও কি গন্ডমূর্খ নয়? জনাব ডা. নায়েক কয়েকটি র্ফেকাহের বই পড়ে, নিজে নিজে ফাতওয়াও দিয়ে দিয়ে দিলেন যে জুমার নামাজের “খুতবা” নিজ নিজ মাতৃভাষায়। আমার বুঝে আসে না, এ রকম শিয়ালমার্কা মুজতাহিদ সেজে কিভাবে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ইনলামী পন্ডিত হওয়া যায়? এর আরেকটি কথা হয়তো এও হতে পারে যে, কুরআন, হাদীসের বিকৃত ব্যাখ্যা করলে বুঝি আলোড়ন সৃষ্টি কারী ইসলামী চিন্তাবিদ হওয়া যায়? আর যারা কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা দেয় তারা পশ্চদপদ, মূর্খ, অন্ধ বিশ্বাসী, গোঁড়া, আরো কত কি? কি আজব মানুষ, আর কি আজব খেল! বেজী মার্কা জ্ঞানী ভক্ত-অনুরক্ত হলেই বুঝি, বাঘ সিংহকে ছেড়ে পন্ডিত শিয়াল বাবাকেই রাজা- বলে উপাধি দেওয়া যায়। ডা.নায়েক সাহেব পন্ডিত্বের ভেলা কি এখানেই শেষ। তিনি পতোওয়া দিয়ে দিলেন, কুরআন শরীফ কেই যদি না বুঝে তেলওয়াত করে তবে তাতে কোন সওয়াব নেই। সাধারণ মুসলমানদের তেলওয়াত করা থেকে নিরুৎসাহিত করার কি ভয়ানক ষড়যন্ত্র। অথচ সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং সমস্ত হক্কানী আলেমরা একমত যে, কুরআন শরীফ বুঝে পড়ুক অথবা না বুঝে পড়ুক প্রতি ক্ষেত্রেই সওয়াব আছে। তাহলে ডা.জাকির নায়েকের এমন ভাওতাবাজী ফতোওয়া কি সরাসরি হাদীস বিকৃত নয়? ফযায়েলে কুরআনের ৫৪ নম্বর পৃষ্টায় লিখা আছে; হযরত আহমত বিন হাম্বল রাহ. বলেন “আমি একদিন স্বপ্নে আল্লাহ তায়ালার ডিয়ারত লাভ করে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহ! তোমার নৈকট্য লাভের শ্রেষ্ট আমল কি? ইরশাদ হল, হে আহমদ! কালাম, বুঝে পড়লে, না, না বঝে পড়লে। ইরশাদ হল, বুঝে পড়ুক অথবা না বুঝে পড়ুক। হে বায়েরা, আহমদ ইবনে হাম্বলের এ কথা থেকে কি বুঝলেন। জাকির নায়েক আমার ভায়েরা এই ফতোওয়াকে সামনে রেখে ডা.নায়েককে একটু পর্যবেক্ষণ করুন। আপনা আপনিই তার মুখোশ উম্মচিত হয়ে যাবে। চেনা যাবে তার আসল চেহারা। বুঝতে পাবেন তিনি কি ইসলামের খেদমতদার, দ্বীনের দাঈ না কি ইসলামের জন্য অশনী সংকেত? অজ্ঞ ড্রাইভারকে চালক নিয়োজিত করে যারা সেই গাড়ির যাত্রীদেরকে যদি বিপদ সংকেত দেওয়া হয় তাহলে সংকেত বাহকের ভুল হবে? বাংলাদেশে ডা. নায়েকের বক্তব্য সম্বলিত বই অনুবাদ করে পিস পাবলিকেশন্স। পর্বে মনে করতাম তারা হয়তো ডা.জাকর নায়েককে আলেম ভেবে তার কৃত বক্তব্য বাংলা ভাষাবাসী মুসলমানদের উপকারর্থে বাংলায় অনুবাদ করছে। কিন্তু যখন তাদের অনুবাদকৃত একটি বই “সুদ মুক্ত অর্থনীকির” ভিতরে লিখা আছে, বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে তাথাকথিত ইসলামী অর্থনীতির স্বপ্ন দ্রষ্টা মি. মওদুদঅর নামে। তখন আমার চোখের রঙ্গিন চশমা খুলে গেল। খালি চোখের সামনে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে উটল, ইসলামের খেদমতের অন্তরালে তাদের আসল স্বরুপ। এতো দেখি গুরু-শিষ্যের আজব মিল! মি.মওদুদীর মতবাদ, “একজন অধ্যাপকই কুরআন-হাদীস ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট” কথার পূর্নরুপ ডা.নায়েক! হরিপুর মাদ্রাসা থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের লিখা দেখলাম হযরত আব্দুল্লাহ হরিপুরী রাহ. আলীয়া-মাদ্রাসা মাঠে দাঁড়িয়ে দৃঢ় কন্ঠে হাজারো মুসলিম জনাতার সামনে বলেছিলেন. “মি.মওদুদী এই উম্মতের ফেরাউন”। তাহলে যারা এই ফেরাউনের নামে বই উৎসর্গ করে তারা কি ফেরাউনের অনুনারী চেলা- চামুন্ডা নয়? আপনি কি জানেন এরা জাকির নায়েককে নিয়ে এতো ঢাকডোল পেটায় কেন? কারণ আর কিছুই নয়, জাকির নায়েকের বক্তব্যের দর্শনের মধ্যে রয়েছে মওদুদী মতবাদের প্রতিচ্ছবি। তারা দেখলো যে, জাকির নায়েকের ব্যাক্তিত্ব, পন্ডিত্ব মুসলামানদের মাঝে প্রচার প্রসার করা যাবে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, জাকর নাঢেকের ভক্ত, অনুরক্ত বেশীরভাগই মওদুদীবাদী, আর মওদুদীবাদী না হলে ইসলামী জ্ঞান বহির্ভূ, পাশ্চত্যে শিক্ষত মুসলামান তরুণ-তরুণী।

লেখক: শাহ আব্দুল হামিদ
৩১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×