somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি সমুদ্রের রূপ দেখেছি

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি সমুদ্র দেখেছি, একবার নয়, বার বার - বহুবার।
বন্দর থেকে বন্দরে, সাগর মহাসাগর পেরিয়ে ছুটে গেছি বার বার!
কৌতূহলী তারাদের সাথী করে - সমুদ্রে, মহাসমুদ্র্রে কেটেছে
জীবনের অগণিত নিঃসঙ্গ রাত - প্রায় একটা গোটাজীবন!
একে একে সবই দেখেছি - সাগর, উপ-সাগর, মহাসাগর।
বহু সূর্যোদয়, বহু সূর্যাস্ত দেখেছি- একবার নয়, বার বার - বহুবার।

পৃথিবীর কোলাহল থেকে দূরে, চিরতন-হরতন-ইস্কাপনের
গৎ বাঁধা নিয়ম ভেঙে, একান্তে নিজের কাছে থাকবো বলে -
আমার সমুদ্রগামী হওয়া।
শব্দদূষণ আর সংকীর্ণতা এড়াতে, জীবনের যানজট থেকে বাঁচতে,
অহেতুক বাক-বিতন্ডা পরিহার করতে - আপন মনে থাকবো বলে-
আমার প্রথম সমুদ্রে যাওয়া।

ভেবেছিলাম পৃথিবীর অগণিত ব্যথার নদীগুলোর নীল জল -
সমুদ্রে গিয়ে মেশে বলেই বুঝি সমুদ্রের রং নীল।
পরে জেনেছি, সাগরের জলরাশি কেবল নীলই নয় -
সময়ের সাথে বদলায়, আরো বহু রঙের হয়।
সে রং কখনো সবুজ, গাঢ় নীল - কৃষ্ণ কালো অথবা বর্ণহীন।
ঋতু বা নারীর মতই প্রতিনিয়ত রং রূপ বদলাতে থাকে তার।
সমুদ্র কেবল প্রশান্তই নয়, বরং আমাদের মতই শোক-দুঃখে কাতর
কখনো জরাগ্রস্ত, কখনো পরাভূত, অস্থির, অশান্ত।

ভেবেছিলাম সমুদ্রের কি বিশাল হৃদয় হবার কথা -
সব জলধারা, আর সকল অশ্রুর নোনা জল যেথায় গিয়ে মেশে
তার আবার দুঃখ কি - নিশ্চয়ই সে সকল দুঃখ হরণকারী প্রশান্ত, নিথর।
কিন্তু পরে জেনেছি, ঝড়ো বাতাস হঠাৎই এসে সমুদ্রের
জীবন যখন তছনছ করে দিয়ে ফিরে যায়, সমুদ্র তখন আমাদের
নারী প্রকৃতির মতই হত-বিহ্বল - কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে -
ফুঁসে ওঠে অভিমানে, কিছুই-না-করতে-পারার দুঃখে।
তারপর ঝড় থেমে গেলে, একসময় কান্ত ও পরিত্যক্ত
সমুদ্রের কান্না থামে, লাভ-ক্ষতির সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা চলে -
আমাদেরই মত, সে আগামীর তরে বুক বাঁধে, সকল দুঃখ ভুলে।



[ছবিটি জাহাজ থেকে তোলা দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান(পুসান) বন্দরের]
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১০ ভোর ৫:৪৬
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×