বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ কয়েকটি দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার কর্মীরা।
Published : 20 May 2013, 06:39 AM
এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন।
ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপের কারখানর শ্রমিকরা সোমবার সকালে কারখানায় প্রবেশ করে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে তারা কারখানা থেকে বেরিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে।
শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরুর পরপরই হা-মীম গ্রুপ ও পাশের মেডলার এ্যাপারেলসের কারখানা সোমবারের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ থাকা তিন দিনের হাজিরা দাবি এবং ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে শ্রমিকদের মারধরের’ প্রতিবাদে তারা সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা এক পর্যায়ে হা-মীম গ্রুপের কারখানার মূল ফটকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ সময় সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশ কাঁদানে গাস ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে শিল্প পুলিশ-১ আশুলিয়া জোনের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার জানান।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ, আর্মড পুলিশ, এপিবিএন ও শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।
হা-মীম গ্রুপের নরসিংহপুর ও বাংলাবাজার এলাকার কারখানা থেকে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেরিয়ে গেলে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে জানান তিনি।
শ্রমিকদের দাবি প্রসঙ্গে দেলোয়ার হোসেন বলেন, “আগে শ্রমিকদের দুপুরের খাবার টাকা দেয়া হতো না। আজ থেকে তাদের ২৫ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়া টিফিনে ১৫ টাকার বদলে ২০ টাকা, হাজিরা বোনাস হেলপারদের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকার জায়গায় ৩০০ টাকা ও ৩০০ টাকার বদলে ৪০০ টাকা করা হয়েছে।”
বিজিএমইএর দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী গত সপ্তাহে কারখানা বন্ধের তিন দিনের জন্যও কর্মীদের হাজিরা বোনাসও দেয়া হবে বলে জানান তিনি।