আমার শৈশব কৈশর পেরিয়ে আজ এই যৌবনে-
একাকি অলস সময়ে স্মৃতির পাতা খুলে,
অনেক অঙ্কের ই মেলেনা সমাধান।
হাঁটি হাঁটি পায়ে হেঁটেছি খেলেছি
যখন উঠোন ছিল আমার পৃথিবী,
আধো আধো বলা,পা পিছলে চলা
সে সময়ের হয়েছে অবসান।
তার পর যখন হলাম একটু বড়
দুরন্ত সময় কেটেছে মাঠে ঘাটে পুকুরে-
কখনো ফুটবল কখনো কানামাছি গোল্লাছুট খেলে,
কাঁদা মাটি জলে ভিজে একাকার সাঁতার কাটার ছলে।
বাড়ীর পাশের ছোট্ট জঙ্গলে,পাখির বাসা খুঁজে-
কেটেছে সময় কাঠবিড়ালির পিছু ছুটে।
বুনোফুল আর ফলের মোহে গাছের শাখায় চড়ে,
বিষ বোলতার কামড় খেয়ে মাটিতে গিয়েছি পড়ে।
শৈশব পেরিয়ে যখন আমার কৈশরে পদার্পন,
ছুটির দিনে শালুক তুলতে যেতাম বাবুদের দীঘিতে-
সে এক মজার অনুভুতি, লুটোপূটি করে অনেকের ভীড়ে
কখনো বা পেট ভরে যেত দীঘির ঘোলা জল খেয়ে।
মনে পড়ে- একবার মাঘের প্রচন্ড শীতের রাতে,
কনকনে বাতাসে কুয়াশার চাঁদর মোড়ানো অন্ধকারে
বাবাকে না বলে যাত্রা দেখতে গিয়েছিলাম,বিনিময়ে-;
আস্ত একটা বাঁশের কঞ্চি,ভেঙ্গেছিল পিঠে-পশ্চাতে।
আজ এই যৌবনে, বাস্তবের সম্মুখে দাঁড়িয়ে যখন,
খুঁজে ফিরি হারানো সে দিন-যা এসেছি পিছনে ফেলে।
স্বপ্নের মত মনে হয়,ভাবতে অবাক লাগে এই কি সেই আমি?
হাজার কাজের মাঝে নিজেকে চেনার সময় টূকূও না মেলে!
সকালে ঘুম থেকে ওঠা, কাজের স্বার্থে ছোঁটা-
দিন নেই রাত নেই এতটূকু মেলেনা অবসর।
খেলার সাথী বন্ধুরা কোথায় কেমন আছে-
কেও জানিনা,রাখতে পারিনা কারও খবর।
হে প্রকৃতি,খোলা মাঠ- আমাকে ক্ষমা করো,
আমি তোমার অকৃতজ্ঞ সন্তান।অপরাধীও বটে-
আমার জন্ম, বেঁড়ে ওঠা সে তো তোমারই বুকে,
তোমাকে ছেড়ে আজ আমি বহু দুরে-জীবনের প্রয়োজনে।void(1)