আজ বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল দেশ ছেড়ে এসেছি। দেশের প্রতি মায়া মমতা আর ভালবাসা কেমন জিনিস এখন একটু একটু করে টের পাচ্ছি। আমাদের মত যারা দেশের বাইরে থাকেন তাদের দেশের প্রতি যে রকম ভালবাসার টান থাকে যারা দেশে আছেন তাদের ততটুকু না থাকলেও একেবারে যে নেই তা বলব না। বেশ ভাল রকমই আছে। কিন্তু সেটা টের পাওয়া যায় না এই আর কি।
আজকে সারাটাদিন বেশ ভাল রকম মন খারাপ ছিল, কেন ছিল সেটা বুঝতেই সারাটাদিন কেটে গেল। দিন শেষে যখন হিসাব করতে বসলাম তখন দেখি জীবন থেকে ১২টা ঘন্টা কেটে গেছে। এরকম কত সময় যে জীবন থেকে হারিয়ে গেছে, ভাবতেই গাঁ শিউরিয়ে উঠে। একবার ভাবুনত।
বয়স ২৫ পেরিয়ে ২৬ ছুঁই ছুঁই অবস্থা, আছা বলুনত প্রতিদিন যদি ৩ ঘন্টা করে সময় জীবন থেকে এভাবে চলে যাই তাহলে এই ২৫টা বছরে আমার জীবন থেকে কত সময় চলে গেছে। সঠিক হসাব না দিতে পারলেও অইযে আমার ভাজতেটা ক্লাস টুতে পড়ে সে ঠিকই বলে দিতে পারে, চাচ্চু তুমি তোমার লাইফ থেকে ২৭,৩৭৫ ঘন্টা নষ্ট করেছ। যেটা মিনিটে হিসাব করলে হবে ১,৬৪,২৫০০ মিনিট। সেকেন্ডে হলে হবে ৯,৮৫,৫০,০০০ সেঃ।
সামনে কত দিন বাঁচব কে জানে, হয়ত কালকেই মৃত্যু এসে হাতছানি দিয়ে ডাকতে পারে। হয়ত আমিও শিকার হতে পারি কোন দুর্ঘটনার। তখন আর আমাকে কেউ মনে রাখবে না। হয়ত আমার বাবা, মা, বউ, পরিবারের কয়েকজন কান্না কাটির পরে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
এদানিং বেশ দেশের কথা মনে পড়ে, অথচ দেশ থেকে আসার সময় আমার মধ্যে যে আনন্দ আর উল্লাস কাজ করছিল, আজকে তার বিন্দু মাত্র লেশ নেই। দেশের কথা মনে পড়ারও কিছু কারন আছে। আপনাদের সাথে একটু খোলামেলা কথা বলি, এখানে মানুষের জীবন কেমন জানি, কেমন জানি এরা ছন্নছাড়ার মত জীবন যাপন করে।
জীবনের কোন লক্ষ্য নেই। সকাল হয় কাজে যায়, কাজ শেষে কোন বারে বা কোন মদের দোকানে ঢূকে যে কয়টা টাকা রোজগার করেছিল সবই উড়ায়। ওরা চিন্তাও করেনা যে কালকের জন্য কি রেখেছে, কিন্তু তাদের জীবন দিব্যি কেটে যাচ্ছে, একবার ভেবে দেখুনত, এরা যখন যাকে ভাল লাগে তার সাথে লিভটুগেদার করে, ভাল না লাগলে ছেড়ে আরেকটা কে ধরে। এটা এদের শখ। এরা বলেকিনা একজনকে দিয়ে এদের হবে না। আহ! আস্তাগফিরুল্লাহ।
একটা সময় মনে মনে ভাবতাম বিদেশে মাইয়াগুলার খোলামেলা দেখুম আরো ও কত কি। কিন্তু মাগার মাইয়া গুলা খোলামেলা ঠিকই কিন্তু মাগার ভাল লাগে না, অদের দিকে তাকালেই মনে পড়েযায় দেশের কথা, আর দেশের মাইয়াগুলার কথা, আমাগোর দেশের মাইয়ারা কত ভাল।
রাস্তায় বের হওন যাইনা, অস্তাগফিরুল্লাহ। চোখ আমার পুড়াটায় আছে না গেছে কে যানে, চশমা একখান হান্দায় নাকখানির উপরে মাগার চশমা খুললে আর কিছুই ঠাহর পাইনা । এই কয়েকদিনে দেখি চোখের আরোও বেশি অবনতি হয়েছে। কি করুম তাকাতে চাই না মাগার চোখের সামনে আইয়া হান্দায় থাকে কেমততে কি করি।
এগোর কথা কইতে কইতে মনটা আমার ভালা হয়ে গেছে...
আর লিখুম না। পড়ে সময় সুযোগ মত মাগার একখান লেহা দিমুনে...এদের কিষ্টি কালাপ নিয়া।
যাই আমি ভাগি, কালকে প্রেজেন্টেশন আছে, এইগুলান আপনাদের জানাইলে প্রফ আমারে বুলেটপ্রুফ কইরা দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে।
যাই জলদি কিছু কাম করি না হলে...টিকিট কাটলাম বলে।